তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি অনেক ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর চেয়েও মারাত্মক। ডেঙ্গু মশা মানুষকে কামড়ায় আর বিএনপি আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষ পোড়ায়, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ায়। তাই ডেঙ্গুর মতো বিএনপিকেও প্রতিরোধ করতে হবে।’
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে রাজধানীর খামার বাড়ি গোলচত্বরে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ‘ডেঙ্গু রোধে এডিস মশা নিধন ও সচেতনতা তৈরি কর্মসূচি’তে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কর্মসূচির জন্য কৃষক লীগকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাজনৈতিক প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিশেষ অতিথি হিসেবে কর্মসূচিতে যোগ দেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি কখনো জনগণের জন্য রাজনীতি করে না এবং তাদের শীর্ষ নেতারা চায় বিএনপি একটি লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে থাকুক।’
এর উদাহরণ হিসেবে হাছান বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধ বা বন্যা-দুর্যোগে বিএনপি কখনো মানুষের পাশে দাঁড়ায় না, করোনার সময়ও তারা শুধু ফটোসেশন করেছে এবং তাদের রাজনীতি শুধু বেগম জিয়া আর তারেক রহমানের জন্য। এখন তারা আছে তারেক আর জোবায়দার সাজা নিয়ে। আর তাদের শীর্ষ নেতারা দলের কাউকে কোনো নির্বাচন করতে দেয় না, এমন কি ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌর কাউন্সিলর পদেও কেউ দাঁড়ালে বহিষ্কার করে। যে দল করলে নির্বাচনই করা যায় না, সে দল মানুষ কেন করবে! অর্থাৎ সেই নেতারা চায় বিএনপি একটি লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে থাকুক এবং এ জন্য তারা মিছিলে লাঠি নিয়ে যায়।’
‘বিএনপি নেতাদের ঈমানের জোর কতটুকু তা গয়েশ্বর বাবু আর আমান সাহেবকে দেখে বোঝা যায়’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গয়েশ্বর বাবু আর আমান সাহেব সরকারের সেবা-শুশ্রূষা নিলেন, তারপর বাইরে গিয়ে উলটো সুরে কথা বললেন। গয়েশ্বর বাবু আরাম করে ভালো ভালো খাবার খেলেন, তার বাসার জন্যও দেওয়া হল, না করেননি, ধন্যবাদ দিলেন। তিনিই বাইরে গিয়ে আবার উলটো সুরে বললেন। তারা বোরখা পরে কোর্টে হাজিরা দিতে যান। এদের দিয়ে কোনো আন্দোলন হবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যে কোনো দুর্যোগে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা জনগণের পাশে থাকে। এবার ডেঙ্গু প্রতিরোধেও আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা সবাই যার যার বাড়ি, আঙিনা, কর্মক্ষেত্র নিয়মিত পরিস্কার রাখবো এবং এই কর্মসূচি সফল করে তুলবো।’
কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি’র সঞ্চালনায় সংসদ সদস্য হোসনে আরা, শামীমা আক্তার খানম এমপি, মশক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ সুব্রত দাস এবং কৃষক লীগ নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন।
শহীদজায়া পান্না কায়সারের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
লেখক, গবেষক, সাবেক সংসদ সদস্য, শহীদজায়া অধ্যাপক পান্না কায়সারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে এই বরেণ্য প্রাণের ইন্তেকালের সংবাদে শোকাহত মন্ত্রী প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সম্প্রচারমন্ত্রী তার শোকবার্তায় বলেন, ‘পান্না কায়সার ছিলেন প্রজ্ঞা আর প্রাণশক্তির অনন্য উদাহরণ। শহীদজায়া পান্না কায়সারের মৃত্যুতে দেশ একজন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, লেখক ও নিবেদিতপ্রাণ শিশু সংগঠককে হারালো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলার কারিগর পান্না কায়সার তার কর্ম গবেষণার মধ্য দিয়ে আমাদের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন।’
১৯৫০ সালের ২৫ মে কুমিল্লায় জন্মগ্রহণকারী পান্না কায়সারের পারিবারিক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে তরুণ বুদ্ধিজীবী, লেখক শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু আড়াই বছরের মাথায় মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আলবদর বাহিনী শহীদুল্লা কায়সারকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তার আর ফেরা হয়নি।
এরপর থেকে পান্না কায়সার একাই মানুষ করেছেন তার দুই সন্তান শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে। শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে, সেই সঙ্গে করে গেছেন লেখালেখি। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে’, ‘মুক্তি’, ‘নীলিমায় নীল’, ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’, ‘মানুষ’, ‘রাসেলের যুদ্ধযাত্রা’, ‘না পান্না না চুনি’।
পান্না কায়সার ১৯৯৬-২০০১ সালে জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদে সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদানের জন্য ২০২১ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন। শিশু-কিশোর সংগঠন খেলাঘরের সঙ্গে আজীবন সক্রিয় পান্না কায়সার ১৯৭৩ সাল থেকে এর প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৯৯০ সাল থেকে চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করে এসেছেন।
তথ্যমন্ত্রী আওয়ামী লীগ ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি ডেঙ্গু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।