আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই ওয়াশিংটন হস্তক্ষেপ করতে পারে না। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই পান থেকে চুন খসলেই আমাদের নিষেধাজ্ঞা দেবে, ভিসা নীতি দেবে এমন হুমকি-ধামকি দেয়।
শনিবার (১২ আগস্ট) বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্বাচিপের উদ্যোগে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র আছে বলেই উন্নয়নের মুখ দেখছে বাংলাদেশ। বিএনপি এর সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। দেশের উন্নয়নে তারা প্রশংসা করতে পারে না। সব ক্ষমতার মালিক যেখানে আল্লাহ সেখানে বিএনপি কীভাবে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাবে। আওয়ামী লীগের উন্নয়নে বিএনপির অন্তরজ্বালা। পরাজয়ের ভয়ে বিএনপির এক দফা খাদে পড়ে মরণ যন্ত্রণায় ছটফট করছে। বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের সংখ্যা কমে গেছে, তাদের মিছিল সমাবেশে দৈর্ঘ্য বেড়েছে প্রস্থ কমেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল বলেন, বিদ্বেষের রাজনীতি করলে আজীবন আপনাদের বিরোধী দল থাকতে হবে। আজকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়নকে অনুসরণ করছে। আজকে আইএমএফসহ সারা দুনিয়া বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে। এ দুঃসময়েও বাংলাদেশের যে উন্নয়ন অগ্রগতি তা সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি শুধু জ্বালায় জ্বালায় মরে। তাদের অন্তরজ্বালা।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে দেবেন না? ক্ষমতা কি আপনার বাপ দাদার? ক্ষমতার মালিক আল্লাহ পাক এবং এ দেশের জনগণ। বিএনপি ক্ষমতা দেবে ওই ক্ষমতা তো আমাদের দরকার নেই। বিএনপি নিজেরাই ক্ষমতায় যেতে পারে না আবার বড় বড় কথা বলে।
পদ্মসেতু হয়েছে বলে বিএনপির অন্তরজ্বালা হয়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, কয়েকদিন পরে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উত্তরা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। এটা দেখে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
বিএনপির এক দফা উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের এক দফা খাদে পড়ে মরণযন্ত্রণায় ছটফট করতেছে। এক দফা খাদে পড়ে আস্তে আস্তে মলিন হয়ে যাচ্ছে। বিএনপি এখন মিছিল ডাকলে মিছিল লম্বায় কমে যায়।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপিকে প্রতিপক্ষ ভাবে আর তারা আওয়ামী লীগকে শত্রু ভাবে, সেটার যাত্রা শুরু করেছিল ২১ আগস্ট। ১৫ আগস্ট কিংবা একুশে আগস্টসহ সব হত্যাকাণ্ড এবং ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড জিয়া পরিবারের সদস্যরা।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচনে তাদের কি দশা হবে। এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে এ দেশের ৭০ ভাগ ভোট শেখ হাসিনাকে দেবে।
যেকোনো সংকট কিংবা সমস্যায় শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখার জন্য সারা দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী ৬ বার হয় কি করে- প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট কীভাবে তার জন্মদিন হয়।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পার্লামেন্ট বিলুপ্তি, শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ বিএনপির কোনো দাবি মেনে নেওয়া হবে না, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। মন চাইলে নির্বাচনে আসবে, না হয় যা মন চায় তা করবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ওয়াশিংটন ভিসা নীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।