১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি উঠেছে। যে কোনো সময় তদন্ত কমিশন গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে- এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি লেখা শোকাবহ আগস্টের আগের দিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ‘বেদনায় ভরা দিন’- শিরোনামে এই লেখাটি এখন টক অফ দা টাউন। এই লেখায় তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যর্থতা এবং নির্লিপ্ততা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সেই সময়ের জনপ্রিয় দুই তরুণ নেতার ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রশ্ন তুলেছেন। এদের একজন প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক এবং অন্যজন তোফায়েল আহমেদ। প্রধানমন্ত্রীর লেখায় সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এই দুই নেতাকে বঙ্গবন্ধু ফোন করেছিলেন, এদের একজন স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্বে ছিলেন এবং অন্যজন রক্ষী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন।
স্বাভাবিকভাবেই আওয়ামী লীগ সভাপতির এই লেখা আওয়ামী লীগের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। এই দুই নেতার ব্যাপারে নতুন করে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই লেখাই শেষ বিষয় নয়, আগস্টে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার ভূমিকা নিয়ে যতই গবেষণা করা যায়, ততই নিত্য নতুন তথ্য বের হয়। যে তথ্যগুলোতে সুস্পষ্টভাবে নেতাদের ব্যর্থতা, নির্লিপ্ততা, উদাসীনতা এবং কাপুরুষতার প্রমাণ পাওয়া যায়। ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পরই খুনি মোশতাক নতুন সরকার গঠন করে এবং এই নতুন সরকারে আওয়ামী লীগের সব নেতাই যোগ দিয়েছিল। মজার ব্যাপার হলো- খুনি মোশতাকের মন্ত্রিসভায় কোন প্রধানমন্ত্রী রাখা হয়নি। বঙ্গবন্ধুর শেষ মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনসুর আলী। তিনি ১৫ই আগস্টের পর তার বাসায় অবস্থান করছিলেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো- ১৭ই আগস্ট মনসুর আলীর সঙ্গে খুনি মোশতাক সাক্ষাৎ করেন। তাদের মধ্যে কি আলাপ-আলোচনা হয়েছিল, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য সেই সময়ের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। তবে ১৫ই আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত মনসুর আলী, নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, আব্দুস সামাদ আজাদ, কামরুজ্জামান ও কোরবান আলী কেউই গ্রেপ্তার হননি। তারা স্ব স্ব অবস্থানে ছিলেন।
প্রশ্ন হচ্ছে এই ৮ দিন, অর্থাৎ ১৫ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে তারা কি করলেন? তারা কি একটি প্রতিবাদও করতে পারলেন না? তারা কি ঘর থেকে বের হতে পারলেন না? তারা কি কর্মীদেরকে একটা নির্দেশ দিতে পারলেন না? এতোটুকুই ঝুঁকি যদি রাজনীতিতে কেউ না নেয়, তাহলে সে রাজনীতিকে কি বলা উচিত? জাতীয় চার নেতাসহ অন্যান্যদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ২৩শে আগস্ট। তার আগে পর্যন্ত তারা আসলেই যথাযথ ভূমিকা পালন করেছিলেন কিনা?- সে প্রশ্ন ইতিহাসে অমীমাংসিত হয়েই থাকবে। তবে তোফায়েল আহমেদ এবং আব্দুর রাজ্জাকের দায়টি আরও বেশি। তোফয়েল আহমেদ এবং আব্দুর রাজ্জাক, দুজনই গ্রেপ্তার হন ৬ সেপ্টেম্বর। ১৫ই আগস্ট থেকে ৬ সেপ্টেম্বর, ২১ দিন। অর্থাৎ তিন সপ্তাহের ব্যবধান।
এই তিন সপ্তাহ তারা গৃহান্তরীণ থাকুক, গৃহবন্দি থাকুক বা যে অবস্থায় থাকুন না কেন, তারা বাড়িতে ছিলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার হননি। এই সময়ে তারা কি করেছেন? তাদের সাথে কি খুনিরা কোনো সমঝোতার চেষ্টা করেছিল? খুনিরা তাদেরকে গ্রেপ্তারে এতো বিলম্ব করল কেন? তোফায়েল আহমেদ বা আব্দুর রাজ্জাকের মত বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ নেতারা-তো সাথে সাথেই খুনিদের চরম টার্গেট হওয়ার কথা, যেভাবে টার্গেট হয়েছিলেন শেখ মনি। সেক্ষেত্রে তোফায়েল আহমেদ আর আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তারে এতো বিলম্ব হলো কেন? তাদের সাথে কি কোনো দরকষাকষির চেষ্টা হয়েছিল?- এই প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রয়োজন। আর এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্যই প্রয়োজন একটি জাতীয় কমিশন গঠন।
তোফায়েল আহমেদ আব্দুর রাজ্জাক ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।
ওবায়দুল কাদের গত তিন সপ্তাহ ধরে লাগাতার ভাবে দলের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা যেন নির্বাচনে না দাঁড়ায় সে জন্য আহ্বান জানাচ্ছিলেন। এ জন্য তিনি কঠোর হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছিলেন। তিনি বলছিলেন, যারা দলের নির্দেশনা লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু ব্যবস্থাগ্রহণ তো দূরের কথা তাদেরকে সতর্ক পর্যন্তও করা হয়নি। উল্টো ৩০ এপ্রিলে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই বিষয় নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি।