আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদেরকে সবুজসঙ্কেত দেওয়ার কাজ শুরু হবে আগামী মাস থেকেই। আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছেন ব্রিকস সম্মেলনের জন্য। সেখান থেকে ফিরে এসেই তিনি মনোনয়নের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবেন। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ অন্তত ৬টি জরিপ কাজ পরিচালনা করেছে এবং এই সমস্ত জরিপের ভিত্তিতে যারা জনপ্রিয়, তাদেরকেই মনোনয়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ সভাপতির হাতে সবগুলো জরিপ রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে এবং জরিপ রিপোর্টগুলোর বিচার-বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন স্থানের প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে সবুজসঙ্কেত দেওয়া হবে; তারা যেন নির্বাচনের মাঠে গিয়ে প্রচারণা করতে পারে। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, আগাম মনোনীত প্রার্থীদের সবুজসঙ্কেত দেওয়া হবে এই কারণে যে, তারা যেন দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং বিভক্তি মীমাংসা করার একটা সময় পান। কারণ আওয়ামী লীগে এবার মনোনয়নে ইচ্ছুক প্রার্থীর সংখ্যা অনেক। প্রতিটি আসনেই চার থেকে পাঁচজন নূন্যতম প্রার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত, দুই তিন জন সমান জনপ্রিয়। এরকম বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ যাদেরকে প্রার্থী দিবে, স্বাভাবিকভাবেই তাদের বিরোধী একটা পক্ষ দাঁড়িয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের কৌশলগত অবস্থান হচ্ছে, যদি আওয়ামী লীগ আগে থেকেই প্রার্থীতা ঘোষণা করে, সেক্ষেত্রে যারা বিদ্রোহী এবং যারা দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে, তাদেরকে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হবে। এর ফলে তারাও নির্বাচনের সময় নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় থাকবেন। আর এ কারণেই আগামী মাসের শুরু থেকেই যারা মনোনয়ন পাচ্ছেন, তাদেরকে আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করার জন্য বার্তা দিবেন।
তবে কিছু কিছু আসন রয়েছে, যে আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করলে মহাজোটের অন্তর্ভুক্ত জাতীয় পার্টি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং ১৪ দলভুক্ত শরিকদেরকে দিতে হবে, সেইসব আসনে আওয়ামী লীগ এখন মনোনয়ন দিবে না। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’টি কৌশল রয়েছে।
প্রথমত, যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলে আওয়ামী লীগ আবার মহোজোটগতভাবেই নির্বাচন করবে। যদিও জাতীয় পার্টি বলেছে যে, তারা মহাজোটের অংশীদার হতে চায় না এবং তারা এককভাবেই নির্বাচন করবে। ইতিমধ্যেই জাতীয় পার্টি দুই শতাধিক আসনে তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকবে বলেই আওয়ামী লীগের নেতারা আশাবাদী। বিএনপি অংশগ্রহণ করলে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবেই অংশগ্রহণ করবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করলে আওয়ামী লীগ ৫০ থেকে ৬০টি আসন শরিকদেরকে দেবে। এ কারণেই যে সমস্ত আসনগুলোতে তারা শরিকদেরকে দিতে চায়, সে আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের কাউকে সবুজসঙ্কেত দেওয়া হবে না।
দ্বিতীয়ত, যদি বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, তাহলে আওয়ামী লীগ এককভাবে নির্বাচন করবে। আর শরিক অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হবে, তারা যেন তাদের অবস্থান থেকে নির্বাচন করে এবং আওয়ামী লীগ সেই নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিবে।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, যেভাবেই নির্বাচন হোক না কেন, আওয়ামী লীগের যেসব প্রার্থীকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হবে, সেসব প্রার্থীদেরকে আগাম জানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
১ সেপ্টেম্বর মনোনীত প্রার্থী সবুজসঙ্কেত আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।
ওবায়দুল কাদের গত তিন সপ্তাহ ধরে লাগাতার ভাবে দলের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা যেন নির্বাচনে না দাঁড়ায় সে জন্য আহ্বান জানাচ্ছিলেন। এ জন্য তিনি কঠোর হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছিলেন। তিনি বলছিলেন, যারা দলের নির্দেশনা লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু ব্যবস্থাগ্রহণ তো দূরের কথা তাদেরকে সতর্ক পর্যন্তও করা হয়নি। উল্টো ৩০ এপ্রিলে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই বিষয় নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি।