বঙ্গবন্ধু
পরিবারের ওপর আজন্ম আক্রোশ
জিয়া পরিবারের। ’৭৫ এর ১৫
আগস্ট সপরিবারের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের নিহত হওয়ার পেছনে
হাত ছিল তৎকালীন মেজর
জিয়াউর রহমানের। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকেও হত্যা
চেষ্টা জারি রাখে জিয়া
পরিবার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪
সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামাত জোট সরকারের শাসনামলে
রাষ্ট্রযন্ত্রের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ
হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এই ন্যক্কারজনক
হামলায় বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া জড়িত ছিলেন
বলে পরবর্তীতে প্রমাণ পাওয়া গেছে। পুলিশি তদন্ত ও মামলার চার্জশিট
থেকে জানা যায়, তারেকের
রাজনৈতিক কার্যালয় হাওয়া ভবনেই হামলার মূল ষড়যন্ত্র রচিত
হয়। ষড়যন্ত্র স্থল হিসেবে হাওয়া
ভবন ছাড়াও আরও ৭টি স্থানের
নাম উঠে এসেছে।
রাজধানীর
বনানীর ১৩ নম্বর সড়কের
হাওয়া ভবন, মামলার অন্যতম
আসামি জঙ্গিনেতা মুফতি হান্নানের বাড্ডার বাসা, আসামি আহসানউল্লাহ কাজলের মেরুল বাড্ডার ভাড়া বাসা, মিরপুরের
মসজিদ-ই আকবর, আসামি
সুমনের মোহাম্মদপুরের বাসা, তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারেরর উপমন্ত্রী
আবদুস সালাম পিন্টুর ধানমন্ডির সরকারি বাসাসহ আটটি স্থানে বৈঠক
করে ২১ আগষ্টের ভয়াবহ
গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্র রচিত হয় বলে
নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিরপেক্ষ
তদন্তের চার্জশিট অনুযায়ী, ২০০৪ সালের ১৪
আগস্ট হাওয়া ভবনে বসেই ২১
আগস্টের হামলার মূল পরিকল্পনা করা
হয়। হাওয়া ভবনের বৈঠকে তারেক রহমান আসামিদের ঘটনা বাস্তবায়নে আর্থিক
ও প্রশাসনিক সহায়তা দেওয়ার ব্যপারে আশ্বস্ত করেন। আসামিরা এর সত্যতা নিশ্চিত
করে পরবর্তীতে জবানবন্দী দেয়। হাওয়া ভবনে
বসেই তারেক রহমান, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব আবুল হারিস
চৌধুরী, উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ
কায়কোবাদ, জামাত নেতা মুজাহিদ ও
জঙ্গি হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানরা
শেখ হাসিনাকে হত্যার নীল নকশা প্রনয়ন
করেন।
এছাড়া
গ্রেনেড হামলার দুই-তিন দিন
আগে তৎকালীন উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর বাসায় পরিকল্পনা সভা করার জন্য
জমায়েত হন নিষিদ্ধ জঙ্গি
সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি) নেতারা। পিন্টু ছাড়াও ওই সভায় উপস্থিত
ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
হামলার
আগের দিন সকালেও আব্দুস
সালাম পিন্টুর বাসায় পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন,
মাওলানা তাহের, কাজলসহ অন্যান্য আসামিরা জড়ো হয়। সেখান
থেকে তাঁরা ১৫টি আর্জেস গ্রেনেড
ও ২০ হাজার টাকা
গ্রহণ করে। এরপর আসামি
আহসানউল্লাহ কাজলের মেরুল বাড্ডার বাসায় ২১ আগস্টে হামলা
চালাতে কারা অংশ নিবে
সে বিষয়ে বৈঠক ও পরিকল্পনা
হয়।
এছাড়াও
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায়
এই হামলার বিষয়ে পরিকল্পনা করা হয় বলে
মামলার চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরদিন মতিঝিল থানার তৎকালীন এসআই ফারুক আহমেদ
বাদী হয়ে একটি মামলা
করেন। হামলার প্রায় চার বছর অতিবাহিত
হওয়ার পর ২০০৮ সালের
১১ জুন সিআইডির জ্যেষ্ঠ
এএসপি ফজলুল কবির জঙ্গি নেতা
মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে
অভিযোগপত্র দেন। পরে ২০১১
সালের ৩ জুলাই সিআইডির
পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক
রহমানসহ ৩০ জনের নাম
যুক্ত করে মোট ৫২
জনের নামে হত্যা ও
বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র
দেন।
আদালত
সূত্রে জানা গেছে, চার্জশিটে
অভিযুক্ত ৫২ জনের মধ্যে
১৯ জন পলাতক, ৮
জন জামিনে এবং বাকিরা বিভিন্ন
কারাগারে রয়েছে। গ্রেনেড হামলার মূল হোতা তারেক
রহমানও পলাতক অবস্থায় লন্ডনে অবস্থান করছেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হাওয়া ভবন
মন্তব্য করুন
মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে কিছু জরুরি শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার
জন্য আজ বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার
হাসপাতালে নেওয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং
কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
শামসুদ্দিন দিদার জানান, সন্ধ্যায় গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর রোডের ০১ নম্বর বাসভবন
ফিরোজা থেকে
হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে। রাতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা.
এ জেড এম জাহিদ হোসেন হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তারেক জিয়ার একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। তারেক জিয়া তার পছন্দের ব্যক্তিদেরকে দলে রাখছেন। অপছন্দের ব্যক্তিদেরকে দল থেকে বের করে দিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। গঠনতন্ত্রকে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে এবং এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা দলের ভিতরে চলছে। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ এবং কোন্দল।
সাম্প্রতিক সময়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নির্বাচিত হয়েছিলেন। দল তাকে আদেশ করেছিল দায়িত্ব গ্রহণ না করার জন্য। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির পদটি গ্রহণ করেন। আর তার এই পদ গ্রহণের কারণে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম তাকে অব্যাহতি দিয়েছিল। কিন্তু এই অব্যাহতি শেষ পর্যন্ত টেকেনি। এখন তাকে দলে রাখার সিদ্ধান্ত যেমন নেওয়া হয়েছে, তেমনই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তারেক জিয়ার এই সিদ্ধান্তে বিএনপির আইনজীবীদের একাংশ যারা মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে তারা ক্ষুব্ধ হয়েছে। বিশেষ করে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আলীসহ সিনিয়র আইনজীবীরা বলছেন, তারেক জিয়ার নির্দেশেই তারা খোকনের ব্যাপারে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আবার তারেক জিয়াই তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন। মাঝখান থেকে তারেক জিয়া তাদেরকে অসম্মান করবেন বলেও এই সিনিয়র আইনজীবী মনে করেন।
তারেক জিয়ার পরামর্শেই তারা মাহবুব উদ্দিন খোকনকে দায়িত্ব না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারেক জিয়াই এখন মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঙ্গে কথা বলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব পদে যেমন আছেন, তেমনই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদেও বহাল থাকছেন।
বিএনপির মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে মাহবুব উদ্দিন খোকন যদি নির্বাচন করে এবং জিতে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে তাহলে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীরা কী দোষ করল? বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত হল বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। আর এই ধারাবাহিকতায় বিএনপির বিভিন্ন পেশাজীবীদের নির্বাচনও বর্জন করছে। এর আগে বিএনপি নিয়ন্ত্রিত ড্যাব চিকিৎসকদের বিএমএ নির্বাচনও বর্জন করেছিল।
প্রকৌশলীদের নির্বাচনেও বিএনপি সরে গিয়েছিল। আর এরকম একটি পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কেন বিএনপি অংশগ্রহণ করল? সেটি যেমন একটি বড় প্রশ্ন, তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হল যে- একই সিদ্ধান্ত একেক জনের ব্যাপারে এক রকম হবে কেন? এ নিয়ে বিএনপির নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন?
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ দলের কিছু বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদেরকে বলেছেন, এই সমস্ত কীভাবে হচ্ছে আমি জানি না। আপনাদের যদি কোনও কিছু বলার থাকে আপনারা লন্ডনে যোগাযোগ করেন। এখন বিএনপিতে কেউ দায় নিতে চাচ্ছে না। কেউ জানছেও না যে কাকে কখন কীভাবে বহিষ্কার করা হচ্ছে। যার ফলে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে দলটির মধ্যে।
উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করেছেন সে রকম ৭৩ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, উপজেলা নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি নির্দলীয় ধরনের নির্বাচন। এই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক তারা ব্যবহার করবে না।
অনেক বিএনপি নেতা মনে করেন যে, দলীয় প্রতীক ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তটাই সঠিক ছিল। কিন্তু কেউ যদি ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে সেটি তার নিজস্ব ব্যাপার। এ জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা বাঞ্ছনীয় নয় বলেই বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা মনে করেন। আর একারণেই বিএনপির সব নেতারাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন এবং তারা এখন তিক্ত-বিরক্তও বটে।
বিএনপি রাজনীতি মির্জা ফখরুল তারেক জিয়া ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন
মন্তব্য করুন
তারেক জিয়ার একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। তারেক জিয়া তার পছন্দের ব্যক্তিদেরকে দলে রাখছেন। অপছন্দের ব্যক্তিদেরকে দল থেকে বের করে দিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। গঠনতন্ত্রকে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে এবং এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা দলের ভিতরে চলছে। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ এবং কোন্দল।