বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেয়া বক্তব্য- ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক ছিল’- এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, ২১ আগস্ট ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের কলঙ্কময় দিবস। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বাংলাদেশে পৃথিবীর ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছিল।’
হানিফ বলেন, ‘একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়। এই মির্জা ফখরুল নাকি শিক্ষকতা করেছেন। শিক্ষক পেশা সারা পৃথিবীর মধ্যে নোবেল প্রফেশন। একজন শিক্ষক কীভাবে এত নির্লজ্জ মিথ্যাচার করতে পারে। মির্জা ফখরুল বলেছেন, ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক ছিল। মির্জা ফখরুল চরম মিথ্যাবাদী একজন মানুষ। এরকম মিথ্যাচার কেউ করতে পারে আমার জানা ছিল না। উনি বললেন, আওয়ামী লীগের সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল মুক্তাঙ্গনে। কী মিথ্যাচার! সেই সময়কার প্রত্যেকটা পোস্টারে লেখা ছিল আওয়ামী লীগের সমাবেশ হবে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। ২১ তারিখ সকালে পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছে আওয়ামী লীগের সমাবেশ হবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে। তাদের নেতা লম্পট, খুনি তারেক রহমান ভাবছে লন্ডনে বসে মিথ্যাচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করবে। দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। এগুলো রেকর্ড ডকুমেন্টেড। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এত বড় মিথ্যাবাদী আর কাউকে দেখিনি।’
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়াম আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ : স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুকন্যার অঙ্গীকার শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রতিটি কর্মকাণ্ড ছিল এই দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশী পাকিস্তানের এজেন্ট। সেটা ইতিহাসে প্রমাণিত। আর এই কারনে তার প্রতিটি কর্মকান্ড ছিলো রাজাকারদের পক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে। কাজেই জিয়াকে খুনি বলতে কেন কুণ্ঠাবোধ হয়?
তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যতদিন জিয়ার মতো খুনি কুশীলবের মুখোশ জাতির কাছে উন্মোচিত না হবে, ততদিন এই দেশের বিভাজন দূর হবে না। আর এক্ষেত্রে আমরা আগেও বলেছি, আর এখনও বলছি, বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক। তার মাধ্যমে জিয়ার মতো পেছনের কালপ্রিটদের জাতি চিনুক।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, কর্নেল রশিদ, ফারুকরা একাধিক সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে জিয়ার সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছেন জানিয়েছেন। আর জিয়া যদি জড়িত না থাকত, তাহলে কেন তার জুনিয়রদের এই জঘন্য কাজের জন্য গ্রেফতার করল না? বরং উল্টো তাদেরকে উৎসাহ দিয়ে পরিকল্পনায় সহায়তা করেছে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৯ মে ঢাকা থেকে পাকিস্তানের বিগ্রেড কমান্ডার আসলাম বেগ, জিয়াকে একটা চিঠি লিখেছিল, যেটা এখন ইতিহাসের দলিল। জিয়াকে লেখা চিঠিতে আসলাম বেগ লিখেছিলেন, উই আর হ্যাপি উইথ ইউর জব। গো এহেড, উই উইল এ্যাসাইন মোর জব। এর মানে আমরা তোমার (জিয়া) কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট। জিয়া এমন কী কাজ করেছিলেন যে পাকিস্তানের ব্রিগেড কমাণ্ডার তার ওপর খুশি। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পরে পাকিস্তানিদের সাথে দেখা হলে গোলাগুলি ছাড়া আর কিছু হয়নি। সেই সময়ে এত বন্ধুত্ব থাকার তো কিছু নয়। তিনি কোন কোন কাজ করছিলেন? এতেই প্রমাণ হয় জিয়া ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট।
হানিফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের দায়িত্ব ছিল সিলেটে। আমি সিলেটে বহু জায়গায় জনসভা করেছি। সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভবাজার, সুনামগঞ্জে জনসভায় জিজ্ঞেস করেছি- জিয়া পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে জানা আছে কিনা, আমাকে জানাইয়েন। জিয়া যুদ্ধ করেছে আমি ইতিহাসে এমন তথ্য পাইনি। আজ পর্যন্ত কেউ জানাতে পারেনি। তাহলে জিয়া যুদ্ধের সময় কী করেছিলেন- প্রশ্ন রাখেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ছিলেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আত্মস্বীকৃত খুনিদের গ্রেফতার করে তাদের বিচারের আওতায় না এনে বরং তাদেরকে পুরস্কৃত করেছিলেন। জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত ছিলেন এটাই তার বড় প্রমাণ। আর না হলে খুনিদের বিচার না করে কেন দূতাবাসে নিয়োগ দিবে, প্রমোশন পুর্নবাসন করবে।
জিয়া বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্য বানানোর চেষ্টা করেছিলেন এমন অভিযোগ করে হানিফ বলেন, জিয়া ক্ষমতা দখল করে সরকার গঠন করলেন কাদের নিয়ে? পাকিস্তানের আদর্শের জন্য যারা লড়াই করেছে তাদের দিয়ে মন্ত্রিসভা করলেন। রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে করলেন প্রধানমন্ত্রী, কুখ্যাত রাজাকার আব্দুল আলিমকে বানালেন মন্ত্রী। যারা একাত্তরে গণহত্যা জড়িত ছিল এরকম সাড়ে ১১ হাজার রাজাকার আলবদরদের দালাল আইন বাতিল করে মুক্ত করে দিলেন। কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব দিলেন। আর যাদের কারণে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়েছিল, মা-বোনদের পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়েছিল, আমাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল সেই জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিলেন। এতে প্রমাণ হয় জিয়া বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্য বানানোর চেষ্টা করেছেন, বলেন হানিফ।
তিনি বলেন, জয় বাংলা স্লোগান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের শিহরণ, প্রেরণা জাগাত সেই স্লোগান নিষিদ্ধ করলেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নামই নিষিদ্ধ করলেন। যে ব্যক্তি সারাজীবন বাঙালির স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই সংগ্রাম করলেন তার নাম মুছে দেয়া হলো৷ ৩০ লাখ শহিদের আত্মাকে পদদলিত করে পাকিস্তানি ভাবাদর্শের দেশ প্রতিষ্ঠা করলেন।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকে দেশে জঙ্গি ধরা পড়লে বিএনপি নানা কথা বলছে। জঙ্গি ধরলে যেন বিএনপির গায়ে জ্বর আসে। এই জঙ্গি সৃষ্টিও করেছে তারা। এজন্য তাদের মায়া লাগে। তবে আমরাও স্পষ্ট করে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর এই দেশে কোন জঙ্গিবাদের ঠাঁই নাই।
দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সমস্ত অপশক্তিকে পরাজিত করে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। সকল অশুভ শক্তিকে রাজপথে প্রতিহত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো, আজকে এটাই হোক আমাদের শপথ, অঙ্গীকার।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া মিয়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ-উল-আলম। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মেফ্তাহুল হাসান, স্বাগত বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মমিন উদ্দিন,আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ।
মির্জা ফখরুল শিক্ষক আওয়ামী লীগ মাহবুবউল আলম হানিফ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।