গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বিএনপির এমন একটি অংশ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে চায় বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি’র নেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তারা যেহেতু নির্বাচন অংশ নিতে পারবে না, তাই বিএনপি’র নেতা-কর্মীদেরকেও অংশ নিতে দিচ্ছে না। তবে গণতন্ত্রকে বিশ্বাসী করে বিএনপি’র এমন একাংশ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। তাদের আমি বলব- আপনারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন।’
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর শ্যামলীর সূচনা কমিটি সেন্টারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মোহাম্মদপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
এই দিন বিকেলে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। বৈঠকের বরাত দিয়ে নানক বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। বিএনপিকে নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাংলাদেশে নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে।
বিগত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার এত উন্নয়ন করেছে এই কারণে জনগণ শেখ হাসিনার পক্ষে বলেও মন্তব্য করেন নানক। তিনি বলেন, সারা বিশ্বের রাষ্ট্রনায়করা শেখ হাসিনাকে এখন সম্মান করে। এত উন্নয়ন ও অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানান। এই অর্জন শুধু শেখ হাসিনার একার নয়। এই অর্জন বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের। তাই বিএনপির নেতাদের বলব আপনারা আসুন, নির্বাচনে এসে আপনাদের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করুন।
মিলাদ মাহফিলে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এদেশে আর কোন আগস্ট ঘটাতে দেওয়া হবে না। ওই খনির দল বিএনপিদের আর সেই সুযোগ দেওয়া হবে না। আগামী নির্বাচনেও আমরা এগিয়ে যাব। কেউ আমাদের ঠেকাতে পারবেনা। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে অনেক ষড়যন্ত্র হতে পারে তাই নেতাকর্মীদেরকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মোহাম্মদপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লায়ন এম এ লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক বাবু। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা ১৩ আসনের এমপি সাদেক খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কে এম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সরোয়ার প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ বিএনপি খালেদা তারেক জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।