সরকার পতনের এক দফা দাবি নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে এবার ১৫ দিনের টানা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে নানামাত্রিক সমাবেশের পাশাপাশি রোডমার্চও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিএনপি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণার কথা রয়েছে।
বিএনপি
নেতারা জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফশিল
ঘোষণার আগেই দাবি আদায়
করতে চান তারা। এজন্য
দুই ধাপে কর্মসূচি সাজানো
হচ্ছে। প্রতিটি ধাপের শেষ দিনের কর্মসূচি
হবে ঢাকাকেন্দ্রিক। প্রথম ধাপের কর্মসূচিতে সরকারের অবস্থান বোঝার চেষ্টা করবেন। সরকার কঠোর হলে কর্মসূচিও
কঠোর হবে।
প্রথম
ধাপ: রোডমার্চ ও সমাবেশ
৩ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বৃহত্তর জেলায় রোডমার্চ ও সমাবেশ করার
সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। প্রতিটি রোডমার্চের শুরুতে এবং
শেষে দুটি জনসভা হবে এবং পথে আরও বেশকিছু পথসভা হবে। এই কর্মসূচির ব্যাপারে বিস্তারিত
সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার কথা রয়েছে। বিরোধী দল ও জোট গুলো নিয়ে চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা
রুটে রোডমার্চ পরিচালনা করবে বিএনপি। একদফা
দাবিতে ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ যৌথভাবে পালন করবে জাতীয়তাবাদী যুবদল,
স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
দ্বিতীয় ধাপ:
হরতাল ও অবরোধ
হরতাল
বা অবরোধের মতো ভিন্ন নামে
কর্মসূচির চিন্তা করছে দলটির নীতিনির্ধারকরা।
যা হবে সরকার পতনের
দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলনের শেষ ধাপের কর্মসূচি।
এর মাধ্যমেই আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে
চায় বিএনপি। সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে সব সাংগঠনিক
জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বার্তা দেওয়া হয়েছে। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের
সব সাংগঠনিক জেলার নেতাকর্মীরা ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
যুগপৎ আন্দোলনের
ব্যাপারে আগেই ধারণা দিইয়েছিল বিএনপি। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে
রাজধানীর নয়াপল্টনের এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল
বলেন, ‘সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ে সোমবার বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। দেশের
মানুষকে নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এতে সবাই একত্রিত হয়েছে। সবাই একমত, এ সরকারের অধীনে
নির্বাচনে যাবে না। সংসদে আছে, জাতীয় পার্টির নেতারাও বলেছেন এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু
নির্বাচন হতে পারে না। সুতরাং আমরা একদফা দাবিতে আবারও কর্মসূচি দেব।’
তিনি আরও বলেন,
‘একদফা দাবিতে তরুণ যারা আছে, ভোট দিতে পারে না তারা একটা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। শনিবার
(আজ) রংপুর ও রোববার (কাল) রাজশাহী বিভাগে তারুণ্যের রোডমার্চ। আশা করছি এ কর্মসূচিতেও
দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ঢেউ নামবে।’
প্রধানমন্ত্রীর
উদ্দেশে তিনি বলেন, দয়া করে সাধারণ মানুষের কথা পড়ুন। এখনো সময় আছে, শুভবুদ্ধির উদয়
হোক। প্রতিহিংসা, অহংকার ছেড়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজন করুন।
বিএনপির টানা কর্মসূচি যুগপৎ হবে কিনা তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দল ও জোটের মতামত নিতে দু-এক দিনের মধ্যে বৈঠকের কথা রয়েছে। এছাড়াও চলতি মাসের শেষের দিকে ঢাকায় ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও পেশাজীবীদের পৃথক সমাবেশ করার বিষয়ে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দল ও জোটের পক্ষ থেকে বিএনপিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
কর্মসূচি বিএনপি সমাবেশ রোডমার্চ হরতাল
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।