বিএনপির
চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি
দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এক হাজার একজন
শিক্ষক নেতা।
রোববার
(১৭ সেপ্টেম্বর) বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া
গুরুতর অসুস্থ। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে
বিদেশে সুচিকিৎসার সুযোগ দিন।
বিবৃতি
প্রদানকারী নেতারা হলেন- অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া,
কাজী আ. রাজ্জাক, চৌধুরী
মুগীসউদ্দীন মাহমুদ, প্রিন্সিপাল রেজাউল করিম, মাওলানা মো. দেলোয়ার হেসেন,
মো. জাকির হোসেন, এম এ ছফা
চৌধুরী, বাবু কমল কান্তি
ভৌমিক, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম), মোস্তফা মুসা, (টেকনাফ), হোসাইনুল ইসলাম মাতব্বর (কক্সবাজার), মাঈনুদ্দিন ভূঁইয়া, শিবলী শান্তি চাকমা (রাঙ্গামাটি), অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন লিটন, মো. শাহজাহান, সাইফুল
ইসলাম, অধ্যাপক শাহ আলম টিপু,
হারুনুর রশীদ গাজী (চাঁদপুর),
অধ্যক্ষ আ. রহমান, আ.
রাজ্জাক, অধ্যাপক সারোয়ার জাহান দোলন, অধ্যাপক নেসার আহমেদ রাজু, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ,
অধ্যাপক আলী মুর্তজা ভূঁইয়া,
অধ্যাপক ইব্রাহিম রেজা, মাহবুবুল হোক, সোহরাব হোসেন
(কুমিল্লা), বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, সেলিম মিয়া (দাউদকান্দি), অধ্যাপক জানে আলম দিপু,
অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, কামাল হোসেন (নারায়ণগঞ্জ), বিজি নওশের, (নরসিংদী),
কামরুল ইসলাম, আতোয়ার রহমান (মানিকগঞ্জ), অধ্যাপক মুন্জুরুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, (দিনাজপুর), তাজউদ্দীন তাজু (ঠাকুরগাঁও), সাইফুল ইসলাম সোহাগ (পঞ্চগড়), মাওলানা ইনামুল হক মাজেদী (রংপুর),
মাস্টার হাফিজুর রহমান, অধ্যক্ষ আব্দুন নূর, গোলাম সরোয়ার
স্বপন, অধ্যাপক এমদাদুল হক মুকুল (নওগাঁ),
আবুবকর সিদ্দিক, আলমগীর কবির (জয়পুরহাট), আমজাদ হোসেন (রাজশাহী) ইউসুফ আলী, আফসার আলী,
নজরুল ইসলাম, আ. হাকিম (নাটোর),
অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ খোকন,
রয়েল বিশ্বাস অধ্যক্ষ মাহমুদ (পাবনা), আবুল হাসিম তালুকদার,
ওয়াহিদুজ্জামান মিনু (সিরাজগঞ্জ), শহীদুল ইসলাম, আজিজুল হক রাজা, মিজানুর
রহমান, আবদুল্লাহ আলো মূতী মামুন,
আবদুল হাই, অধ্যাপক রিয়াজুল
ইসলাম (বগুড়া), অধ্যাপক জুবায়েরুল হক, মাহমুদ প্রামানিক
(গাইবান্ধা), অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বেবু, অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান (কুড়িগ্রাম), অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল, আব্দুল কাদের, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন (টাঙ্গাইল),
অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী,
এস এম মমতাজ, আবুল
কালাম আজাদ, আ. সাত্তার, আব্দুল
মজিদ, অধ্যক্ষ জাকির হোসেন আকন্দ, সাইদুর রহমান (ময়মনসিংহ), অধ্যাপক মামুন তালুকদার (নেত্রকোনা), অধ্যাপক নওশের আলী, মাওলানা মশিউর
রহমান (জামালপুর), অধ্যক্ষ নিজামুদ্দিন তরফদার, অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, অধ্যক্ষ
সিফাত আলী (সিলেট), ফয়জুর
রহমান, সিহাবুর রহমান (মৌলভীবাজার), অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, অধ্যক্ষ এনামুল
হক (হবিগঞ্জ), অধ্যক্ষ শেরগুল আহমদ (সুনামগঞ্জ), অধ্যাপক এনামুল হক (ভোলা), অধ্যক্ষ
রুহুল আমিন বেপারি, এম
এ তুহিন, অধ্যাপক মুন্জুরুল ইসলাম জিসান, অধ্যাপক ড. নকিব, অধ্যাপিকা
ফারজানা তিথি (বরিশাল), অধ্যাপক জাকির হোসেন (বরগুনা), অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন পলাশ, (পিরোজপুর), অধ্যক্ষ শামীমা (বাগেরহাট), অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, মাও.
এস এম বায়েজিদ, অধ্যাপক
শফিকুল ইসলাম মুন্সি, শাওনুর রহমান শাওন (খুলনা), অধ্যাপক মকবুল আহমেদ, মিজানুর রহমান, অধ্যাপক আসাদুজ্জামান শাহীন, অধ্যাপক ইবাদত খাঁন, রাজীব মাহমুদ (যশোর), মো. আইনুদ্দীন, মো.
জাকারিয়া (কুষ্টিয়া), অধ্যাপক আফজাল হোসেন, মো. আমীর আলী
(মাগুরা), অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার লিজি, অধ্যাপক কামাল উদ্দিন (ঝিনাইদহ), অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, অধ্যক্ষ লোকমান হোসেন, ইমরুল কবির (ফরিদপুর), আহসান হাবীব (রাজবাড়ী), আবুবকর সিদ্দিক, আতাহার আলী (মাদারীপুর), অধ্যাপক
আব্দুল হক (শরীয়তপুর), অধ্যাপক
এজাজ আহম্মেদ (ঝালকাঠি), অধ্যাপক কাজী মাঈনুদ্দিন, অধ্যক্ষ
মোল্লা নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক রানা, অধ্যাপক রাশেদুল ইসলাম (ঢাকা জেলা), অধ্যাপক
কাজী মোহাম্মদ মাঈনুদ্দীন, অধ্যাপক রোকেয়া চৌধুরী বেবী (ঢাকা মহানগর), হাওলাদার
আবুল কালাম আজাদ, শাহনাজ পারভীন, অধ্যাপক নূরুল আলম বুলু, মাহবুবুর
রহমান (লক্ষ্মীপুর), সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল খলিল (ফেনী), অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সাহাবুদ্দিন আহমেদ, আক্তারুল আলম মাস্টার, মোখলেসুর
রহমান, সামসুল হুদা লিটন, শেখ
আহম্মদ আলী, আনোয়ার হোসেন
(গাজীপুর) প্রমুখ।
খালেদা জিয়া ১০০১ শিক্ষক নেতা বিবৃতি
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড লু বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চীন সফর ভারত যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল বিএনপির আশা ভরসার কেন্দ্রস্থল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করবে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করবে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারণ সরকার শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে পারবে না- এমন বক্তব্যগুলো বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে বহুল প্রচারিত ছিল। বিএনপির সব নেতারা প্রকাশ্যেই এ কথা বলত।
বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন র্যাবের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায় না তখন বিএনপি নেতারা উল্লাসে ফেটে পড়েছিলেন। তারা দলীয় কার্যালয়ে মিষ্টিমুখের ব্যবস্থাও করেছিলেন।
আবার ডোনাল্ড লু নির্বাচনের আগে যখন বাংলাদেশ সফর করেছিলেন এবং ভিসা নীতি প্রয়োগ করেছিলেন তখন বিএনপি নেতাদের প্রকাশ্যে মার্কিন বন্দনা করতে দেখা গেছে। ২৮ অক্টোবরের আগ পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই মার্কিন দূতাবাসে বা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের বাসভবনে বিএনপির নেতাদের আনাগোনা ছিল। তারা সেখানে চা চক্রে মিলিত হয়েছেন, নৈশভোজে মিলিত হয়েছেন এবং বিভিন্ন রকমের শলাপরামর্শ করেছেন।
পিটার ডি হাস গত বছরের ১০ অক্টোবর বিএনপি যখন সমাবেশ করতে পারেনি তখনও একতরফা বিবৃতি দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি বিতর্কিত সংগঠন মায়ের ডাকের এক নেতার বাসায় গিয়েছিলেন এবং সেখানে তিনি বিএনপির প্রতি এক ধরনের সহানুভূতি জানিয়েছিলেন। এভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির উপর এক ধরনের প্রচ্ছন্ন সমর্থন এবং সহানুভূতি দেখিয়েছিল।
অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সহানুভূতি এবং পরোক্ষ সমর্থনের কারণেই বিএনপির আন্দোলনের পালে হাওয়া লেগেছিল। নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি চাঙ্গা ভাব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ২৮ অক্টোবরের পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করে। যদিও ২৮ অক্টোবরের পর এই ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং এই আহ্বানের চিঠি নিয়ে পিটার ডি হাস তিনটি দলের নেতাদের কাছে গিয়েছিলেন এবং একটি সংলাপ আয়োজনের শেষ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই সংলাপ আয়োজনে বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কেউই সাড়া দেয়নি।
এখন নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে এবং ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ১১ জানুয়ারি নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলার পরও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া এবং নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছেন। ডোনাল্ড লু’র আগে আফরিন আক্তার নির্বাচনের পরে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন এবং সেই সময় তিনি হোটেল ওয়েস্টিনে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তখন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং শামা ওবায়েদ আফরিন আক্তারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যদিও সেই সাক্ষাতের পর তারা কোনও কিছুই সাংবাদিকদেরকে জানাননি। কিন্তু এবার ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। আর এটি বিএনপির মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে।
বিএনপি মনে করছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদেরকে আর আগের মতো গুরুত্ব দিচ্ছেন না, পাত্তা দিচ্ছে না। বরং সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে বিএনপিকে এড়িয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। বিএনপি নেতারা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ, শামা ওবায়েদ, তাবিথ আউয়ালসহ যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং মার্কিন দূতাবাসে যাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে তাদেরকে দুষছেন। তারা মনে করছেন যে, বিএনপির মধ্যেই সমস্যা রয়েছে। বিএনপির নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পারেননি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিএনপির বক্তব্যগুলো তারা সঠিকভাবে ও যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারেননি। আর একারণেই ডোনাল্ড লু’র সফরের পর বিএনপির মধ্যে চলছে এক ধরনের হতাশা।
ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ রাজনীতি বিএনপি
মন্তব্য করুন
আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, দলের ভেতর সুবিধাবাদী, লুটেরা এবং দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। কিন্তু ২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্র্যাকডাউন হবে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং দলের সুনাম নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণ করবে। আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগ এবং তার আদর্শিক জোট ১৪ দলের নেতাদের চীন সফরে হিড়িক পড়েছে। আওয়ামী লীগ এবং তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর এই চীন সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী আলাপ আলোচনা। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের চীন সফরের ব্যাপারে দৃষ্টি রাখছেন। তবে তারা এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না। বিষয়টি তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় হিসেবেই মনে করছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল বিএনপির আশা ভরসার কেন্দ্রস্থল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করবে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করবে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারণ সরকার শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে পারবে না- এমন বক্তব্যগুলো বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে বহুল প্রচারিত ছিল। বিএনপির সব নেতারা প্রকাশ্যেই এ কথা বলত।