বিএনপি ইতিমধ্যে একদফা আন্দোলন ঘোষণা করেছে। আজ চট্টগ্রাম বিভাগের রোড মার্চের মধ্যে দিয়ে একদফা আন্দোলনের এই ধাপের কর্মসূচী শেষ হলো। বিএনপির চূড়ান্ত আন্দোলন কখন, এ নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বিএনপির নেতারা বিভিন্ন সময় বলছেন যে তারা সরকারকে আর সময় দিতে চান না। কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য যে ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করা দরকার সে ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারছে না বিএনপি। ফলে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা তৈরি হচ্ছে। তবে বিএনপি’র একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে যে তারা দুইটি কৌশল নিয়ে ভাবছে।
প্রথম
কৌশল হলো নির্বাচন তফসিলের
আগে চূড়ান্ত আন্দোলন করা। বিএনপির নেতাদের
একাংশ মনে করছেন যে চলতি
মাসের মধ্যেই আন্দোলনের গতি বাড়াতে হবে
এবং সরকারকে চূড়ান্তভাবে কোণঠাসা করতে হবে। এই
সময়ের মধ্যে টানা আন্দোলনের কর্মসূচী,
এমনকি অবরোধ ঘেরাও এর মতো কর্মসূচি
দিয়ে সরকারকে যদি চাপে না ফেলা
যায়, তাহলে সরকার নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করবে।
বিএনপির
কোনো কোনো নেতা মনে
করেন যে শেষ পর্যন্ত
যদি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে তাহলে বিরোধী দলের হাতে কোনো
কিছুই থাকবে না। সরকার যেকোনো
মূল্যে একটি নির্বাচন করে
ফেলতে পারে। তাই নির্বাচনের আগেই বড় ধরনের
আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করাটাই তারা যুক্তি সঙ্গত
বলে মনে করছেন।
এ ধরনের রোডমার্চ বা সমাবেশের মতো
কর্মসূচি, গণ অবস্থান কর্মসূচি,
বিভিন্ন প্রবেশ মুখে অবস্থান এবং
ঢাকা অভিমুখে গণমিছিলের কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে এমন একটা অবস্থায়
নিয়ে যেতে হবে যেখানে
সরকার এবং নির্বাচন কমিশন
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করতে না পারে।
কিন্তু এরকম
মতের সঙ্গে একমত নন বিএনপির
অনেক নেতাই। তারা মনে করছেন
যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর কঠোরভাবে নজর
রাখছে। তারা কোনভাবেই জ্বালাও পোড়াও জাতীয় আন্দোলন
পছন্দ করবে না। এ
ব্যাপারে তারা পরিষ্কার বার্তা
দিয়েছে। আর তাই এ
ধরনের কর্মসূচি যদি ঘোষণা করা
হয়, তখন সেটিকে নির্বাচন
প্রতিরোধের কর্মসূচি বা নির্বাচন বানচালের
ষড়যন্ত্র হিসাবে ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগ চিহ্নিত করবে
এবং এর ফলে এমন
একটি পরিস্থিতি তৈরি হবে যেখানে
বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনের প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা
হবে। এটি তারা চাইছে
না। আর এই জন্যই
বিএনপির কেউ কেউ ভিন্ন কৌশল ভাবছেন।
তারা
বলছেন যে, এই ধরনের
কর্মসূচির মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে এবং
নির্বাচনের তফসিল পর্যন্ত দেখতে হবে। নির্বাচনের তফসিল
যখন ঘোষণা করা হবে তখন
চূড়ান্ত কর্মসূচি এবং সর্বাত্মক কর্মসূচি
ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন
বয়কটের মধ্যে দিয়ে এমন একটি পরিস্থিতির
সৃষ্টি করতে হবে যেন
সরকার নির্বাচন করতে না পারে।
নির্বাচনের
তফসিল ঘোষণা করলেই সরকার দুর্বল হয়ে যাবে এবং
তখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের নজরদারিও বাড়বে এই সময় কেন
বিএনপি নির্বাচন করছে না তা
যদি বোধগম্য করে তুলতে পারে
তাহলে বিএনপির প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন বাড়বে এবং সরকারের পতন
ত্বরান্বিত হবে।
তাই
তারা মনে করছে যে,
নির্বাচন তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত শুধুমাত্র
জনসংযোগমূলক কর্মসূচি এবং জনগণকে সম্পৃক্ত
করার কর্মসূচির মধ্য দিয়েই বিএনপির
সীমিত থাকা উচিত।
তবে
সবকিছু মিলিয়ে বিএনপি’র নেতারাও স্বীকার
করছেন যে তাদের হাতে
সময় নেই। সময় দ্রুত
ফুরিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।