সরকার পতনের
এক দফা আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি করতে শরিক জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি।
বিএনপির সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেছে ১২ দলীয় জোটসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।
বুধবার (১১
অক্টোবর) রাজধানীর
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকে সংগঠনগুলোর নেতারা এ অঙ্গীকার করেন।
১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী
সমমনা জোট ও লেবার
পার্টির নেতাদের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ তিনটি
বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে স্কাইপে যুক্ত
হয়ে নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।
সমমনা
জোট নেতারা জানান, চলমান আন্দোলনের মূল নেতা তারেক
রহমানের সঙ্গে তাদের এটি প্রথম বৈঠক।
বৈঠকে সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। শরিকদের
মতামত নেওয়ার পাশাপাশি বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে তাদের
প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনাও দেওয়া
হয়েছে। তারা মনে করেন,
চলমান আন্দোলনে এর ইতিবাচক ভূমিকা
রাখবে।
জোট
নেতারা আরও বলেন, বৈঠকে
তারা সবাই একমত হয়েছেন,
চলমান আন্দোলনে সফল না হলে
দেশের মানুষ দীর্ঘদিনের জন্য ভোটাধিকার হারাবে
এবং দেশ দীর্ঘদিনের জন্য
অন্ধকার গহ্বরে চলে যাবে। দেশ
ও জনগণের স্বার্থে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায়
ঐক্যবদ্ধ থেকে চূড়ান্ত আন্দোলনে
সবাইকে ভূমিকা রাখতে বিএনপির পক্ষ থেকে আহ্বান
জানানো হয়।
বাংলাদেশ
এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বৈঠকে সব নেতার মতামত
শোনেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আমাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য
তাকে আমরা ধন্যবাদ জানিয়েছি।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে অঙ্গীকার করেছি সব কিছু উজার
করে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে রাজপথে থাকব।’
উল্লেখ্য, গত
বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে
সরকারের পতনের রুপরেখা ঘোষণা করে বিএনপি তার
সমমনা জোট গণতন্ত্র মঞ্চ,
১২ দলীয় জোট, জাতীয়তবাদী
সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম
ঐক্য, এলডিপি, লেবার পার্টি, এনডিএম প্রভৃতি জোটকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের
সূচনা করে।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?
তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ী-কাপড় আসবে, এছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুইটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।
মার্কিন স্যাংশন ভিসানীতি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চীন সফর বাম দল জাসদ ওর্য়ার্কাস পার্টি সাম্যবাদী দল
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।