বিএনপি জামাত যখন ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে এবং শেষ মহাসমাবেশকে ঘিরে রাজনীতিতে সহিংসতার শঙ্কা দেখা দিয়েছে, ঠিক সেই সময় আওয়ামী লীগের মধ্যে সম্রাটকে নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ঢাকা
মহানগরীতে একক নেতা হিসেবে
সবচেয়ে বেশি কর্মী যার
অনুসারী তার নাম ইসমাইল
হোসেন চৌধুরী সম্রাট। সম্রাটকে ক্যাসিনো ও বাণিজ্যের অভিযোগে
গ্রেফতার করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন
কারাভোগের পর তিনি সম্প্রতি
মুক্ত হয়েছেন। তিনি ঢাকা মহানগর
দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। সেই সময় তাকে
সভাপতি পদ থেকে বের
করে আনা হয়। এখনো
শারীরিকভাবে অসুস্থ সম্রাট কর্মীদের মধ্যে অকুণ্ঠ জনপ্রিয়। কিন্তু দলে তাকে পদ
পদবী কোনো কিছুই ফিরিয়ে
দেওয়া হয়নি। এমনকি তার বিরুদ্ধে বহিষ্কারাদেশ
আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে কিনা
সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য জানা
যায়নি। যদিও গাজীপুরের আওয়ামী
লীগের নেতা জাহাঙ্গীরকে দুইবার
বহিষ্কার করে দুইবারই তার
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অথচ
সম্রাটের ক্ষেত্রে সেই উদারতা দেখানো
হয়নি।
তবে
আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল প্রেসিডিয়াম
সদস্য বলেছেন যে সম্রাটের বিষয়টি
নিয়ে তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রীর
সঙ্গে কথা বলেছেন এবং
প্রধানমন্ত্রী তাকে কাজে লাগানোর
জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের একজন জনপ্রিয় সাংগঠনিক
সম্পাদকও বাংলা ইনসাইডারকে একই রকম তথ্য
দিয়েছেন। এরকম বাস্তবতায় সম্রাট
কি রাজনীতিতে আবার ফিরে আসছে?
২৮ অক্টোবরকে ঘিরে যখন রাজনৈতিক
উত্তেজনা, তখন অনেক কর্মীরাই
সম্রাটের মতো একজন সাহসী
এবং রাজপথের নেতাকে খুঁজছেন। তাঁরা মনে করছেন যে
ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের সাংগঠনিক
অবস্থা এখন স্মরণকালে সবচেয়ে
দুর্বল। এতটাই দুর্বল যে তারা বিএনপির
আন্দোলন এবং বিএনপি যদি
কোন রকম জ্বালাও-পোড়াও
বা সহিংসতা করে সেটাকে সামাল
দেওয়ার সক্ষমতাও রাখে না।
কর্মীদের
মধ্যেও এ ধরনের আলোচনা
হচ্ছে যে এটি সামাল
দিতে পারেন একজনই। তিনি হলেন ইসমাইল
চৌধুরী সম্রাট। কারণ তার নিজস্ব
কর্মী বাহিনী রয়েছে। এই সম্রাটই ২০০৬
সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি
জামাতকে প্রতিহত করেছিল। বিভিন্ন সংকটের সময় সম্রাটের কর্মীরাই
রাজপথে বিএনপি জামাতের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে
দিতে পেরেছিল। কিন্তু এখন সম্রাট কতটুকু
কার্যকর থাকবেন এবং কতটুকু সক্রিয়
হবেন সেটি নিয়ে কারো
কারো সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
বিভিন্ন
সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী
লীগের কর্মীদের মধ্যে এ নিয়ে একধরনের
হতাশা রয়েছে। তারা বলছেন যে
এখন ঢাকা উত্তর এবং
দক্ষিণ মহানগরের যে নেতৃত্ব রয়েছে
তাদের সাথে কর্মীদের কোনো
সংযোগ নেই। কর্মীদের মধ্যে
তারা কোনো রেখাপাতও করতে
পারেননি। কর্মীদের মধ্যে তাদের জনপ্রিয়তাও তেমন একটা নেই।
আর এই কারণেই এসব
নেতাদের ডাকে কর্মীরা অকুতোভয়
হয়ে বিএনপি জামাতকে মোকাবিলা করবে এমন ভাবার
কোনো কারণ নেই। আর
এই কারণেই আওয়ামী লীগ এখন সম্রাটের
দিকে তাকিয়ে আছে।
কিন্তু
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগে
দুর্দিনের এই কাণ্ডারিকে যেভাবে
রাজনীতিতে কোণঠাসা করা হয়েছে সেই
সম্রাট কি আবার আগের
মূর্তিতে ফিরে আসতে পারবে?
কিংবা সম্রাট কি আগের মতো
নির্ভীক ভাবে রাজপথে নামবে?
সম্রাট আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী রাজপথ
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।