গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার হতে পারেন। গতকাল ২৮ অক্টোবর নাশকতার ঘটনায় যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গতকাল পুরো
ঢাকা শহরে যে হামলা ভাংচুর এবং আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে এর পেছনে যারা পৃষ্ঠপোষকতা
করেছেন এবং যারা সরাসরি হামলার সাথে জড়িত তাদের সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া
হবে বলে এবং ইতোমধ্যে ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের খুঁজে বের করা হচ্ছে বলেও খবর পাওয়া
গছে।
ইতোমধ্যে পুলিশ
সদস্য আমিরুল ইসলাম হত্যাকান্ডসহ অন্তত ৫টি মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ,
অডিট ভবনে হামলা এবং বিভিন্ন জায়গায় বাস-গাড়ি ভাংচুর এবং আগুন লাগানোর মামলা।
এই মামলাগুলোতে
বিএনপির সব শীর্ষ নেতারা আটক হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে
প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলাও খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য যে,
আজ সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করেছে পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত
করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে
গুলশানের বাসা থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া রাত থেকে
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসা ঘিরে
রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মির্জা ফখরুলের পর তিনিই গ্রেপ্তার হতে
পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মির্জা আব্বাস আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আবদুল আউয়াল মিন্টু বিএনপি নেতা গ্রেফতার রাজনীতি হরতাল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।