জোনায়েদ সাকি। বাম নেতা। গার্মেন্টসের শ্রমিকদের ঘিরেই মূলত তিনি কাজ করেন। তার সংগঠনের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত সেই সমস্ত গার্মেন্টকর্মীদেরকে প্রতি মাসে ১৪ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। দেশে গার্মেন্টসকর্মী ২০ লাখ। তার মধ্যে যদি ১ লাখ গার্মেন্টস কর্মীর সঙ্গেও তিনি সংযুক্ত থাকেন, তাহলে তিনি মাসে কত টাকা পান তা সহজেই হিসেব করা যায়। আর এই টাকা দিয়ে তিনি গার্মেন্টস শ্রমিকদের কোনও উন্নতি করেননি বা গার্মেন্টস কল্যাণে কোনো কাজ করেননি। তিনি কেবল নিজের আখের গুছিয়েছেন।
ঢাকার
ইস্কাটনে তার ৩৫০০ স্কোয়ার
ফিটের বিশাল বাড়ি রয়েছে। ১৯৭৩
সালে জন্ম নেওয়া এই
চৈনিক বাম ইস্কাটনে এত
বিশাল ফ্ল্যাটের মালিক কিভাবে হলেন সেই প্রশ্ন
কেউ করে না। এই
ফ্ল্যাটের বর্তমান বাজার মূল্য ১০ কোটি টাকারও
বেশি। রাজনীতি করে, তাও আবার
বাম রাজনীতি করে শ্রমিকের কাছ
থেকে চাঁদা নিয়ে এভাবে বিত্তশালী
হওয়ার গল্প অবশ্য বাংলাদেশে
নতুন নয়। তবে জোনায়েদ
সাকি এখন আলোচনায় এসেছেন
অন্য কারণে।
সাম্প্রতিক
সময়ে দেশের গার্মেন্টসগুলোতে অশান্তি তৈরি হচ্ছে। প্রতিদিন
গার্মেন্টসে বিভিন্ন ধরনের অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গুজব
ছড়ানো হয়েছে। সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আজ থেকে
বিজিবি মোতায়েন করেছে। আজকের পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও থমথমে অবস্থা এখনও বিরাজ করছে।
হঠাৎ করে বাংলাদেশের প্রধান
রপ্তানি খাতে অসন্তোষ তৈরি
হল কেন? এর পিছনে
কি কেবলই শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবি?
নাকি অন্য কোনও ষড়যন্ত্র
হচ্ছে?
বাংলা ইনসাইডারের
অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে,
এই গার্মেন্টস আন্দোলনটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং
রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে সংযুক্ত করার একটি সুগভীর
পরিকল্পনার নিপুণ বাস্তবায়ন। বিএনপি আগে থেকেই পরিকল্পনা
নিয়েছিল যে ২৮ অক্টোবরের পর
থেকে তারা হরতাল-অবরোধের
মতো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবেন। কিন্তু
এ ধরনের কর্মসূচি পালন করার ফলে
বিএনপি খুব একটা লাভবান হবে
না সেটি তারা জানতো।
আর এই আন্দোলনকে সহিংস
এবং ধ্বংসাত্মক করার জন্য প্রয়োজন
ছিল কিছু ইস্যু তৈরি
করা। গার্মেন্টসের ইস্যু তেমনই তৈরি করা একটি
ইস্যু।
যেহেতু
জোনায়েদ সাকির সংগঠন দীর্ঘদিন ধরেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের
সাথে কাজ করেন এবং
তাদের নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। এই সমস্ত গার্মেন্টস
শ্রমিকদেরকে আগে থেকেই তারা
উত্ত্যক্ত করে রেখেছিল। ২৮
অক্টোবরের ঘটনার
সঙ্গে সঙ্গে গার্মেন্টস শ্রমিক মাঠে নামবে, তারা
বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করবে, ফলে একদিকে রাজনৈতিক
আন্দোলন এবং অন্যদিকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন, এই দুই আন্দোলনে
সরকার চিঁড়েচ্যাপ্টা হবে। এটি ছিল
মূল পরিকল্পনা। আর এই মূল
পরিকল্পনার একটি অংশে বিএনপি
এবং জোনায়েদ সাকিরা ব্যর্থ হলেও গার্মেন্টসে তারা
ঠিকই অশান্তি তৈরি করেছিল। এই
অশান্তি তৈরির পিছনে রয়েছে সুগভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
গত কিছুদিন ধরেই জোনায়েদ সাকি্র
সঙ্গে বিএনপির এক গভীর সম্পর্ক
রয়েছে। বিএনপির অন্যতম থিংক ট্যাংক মনে
করা হয় এই দুর্বৃত্ত
বাম রাজনীতিবিদকে। তিনি গার্মেন্টস শ্রমিকদের ক্ষেপিয়ে তুলেছেন
এবং গার্মেন্টস শ্রমিকরা যেন সরকারের বিরুদ্ধে
অবস্থান নেয় সেজন্য গুজব
এবং নানা রকম অপপ্রচার
করে একটি পরিস্থিতি তৈরি
করেছিলেন। গার্মেন্টসকে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। অথচ
এই গার্মেন্টস ছিল বাংলাদেশের রপ্তানি
আয়ের প্রধান উৎস। একজন রাজনীতিবিদের
যদি ন্যূনতম দেশপ্রেম থাকে তাহলে তিনি
কোনোভাবেই গার্মেন্ট শ্রমিকদের দিয়ে এ ধরনের
ধ্বংসাত্মক কাণ্ড করাতে পারেন না।
বাস্তবে
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে,
যে সমস্ত ব্যক্তিরা গার্মেন্টস এলাকাগুলোতে নাশকতা করছে বা আগুন
লাগিয়েছে তারা কেউই গার্মেন্টসের
কর্মী না। এরা জোনায়েদ
সাকি এবং বিএনপির পেটোয়া
লোক। একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য
সিদ্ধির জন্য দেশের সবচেয়ে
বড় রপ্তানিকারক খাতটিকে অস্থির করে তোলার মতো
ন্যক্কারজনক ঘটনা কতটা শোভন
এবং যৌক্তিক সেই প্রশ্ন উঠতেই
পারে।
গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন বিএনপি জোনায়েদ সাকি
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
বিস্তারিত আসছে....
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।