রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ বানানো হয়েছে, টানানো হয়েছে শামিয়ানা। মঞ্চে শিল্পীরা গান গাইছেন। আর বিভিন্ন এলাকা থেকে জড়ো হওয়া আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে অবস্থান নিয়েছেন।
বিএনপিসহ
বিরোধী দলগুলোর চতুর্থ দফার অবরোধ কর্মসূচির
প্রথম দিন আজ রোববারও
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সতর্ক
‘পাহারা’য় আছেন। বঙ্গবন্ধু
এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দলের নেতা-কর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়,
নেতা-কর্মীদের রোদ থেকে বাঁচাতে
শামিয়ানা টানানো হয়েছে। কার্যালয়ের সামনের সড়কের একপাশে মঞ্চ বানানো হয়েছে।
মঞ্চে দেশাত্মবোধকসহ বিভিন্ন ধরনের গান গাইছেন শিল্পীরা।
এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
আওয়ামী লীগ। দক্ষিণের দপ্তর
সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে।
কেন্দ্রীয়
কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে
উপস্থিত আছেন ঢাকা মহানগর
দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহাম্মদ মন্নাফি
ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
আওয়ামী লীগ ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক
লীগ, শ্রমিক লীগ, ঢাকা মহানগর
দক্ষিণ যুবলীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সতর্ক
থাকতে দেখা যায়।
ঢাকা
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)
এলাকার এলিফ্যান্ট রোড বাটা সিগন্যাল
মোড়, গ্রিন রোডের সায়েন্স ল্যাব প্রান্ত এবং উত্তর সিটি
এলাকার শ্যামলী সিনেমা কমপ্লেক্স, শ্যামলী ওভারব্রিজ ও কল্যাণপুর এলাকা
ঘুরে দেখা যায়, আওয়ামী
লীগের নেতা-কর্মীরা ফুটপাতে
চেয়ার পেতে বসেছেন। তাঁরা
বিভিন্ন স্লোগানও দিচ্ছেন।
চতুর্থ
দফায় বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার
অবরোধ আজ সকাল ৬টা
থেকে শুরু হয়েছে, আগামী
মঙ্গলবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত
এ অবরোধ চলবে। অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগে গতকাল শনিবার
রাতে রাজধানীতে কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়ার
ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী
লীগের মহানগর ও ওয়ার্ড পর্যায়ের
নেতা-কর্মীরা বলছেন, অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা চোরাগোপ্তা হামলা ও আগুন দিয়ে
আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছেন।
এই পরিস্থিতি ঠেকাতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আরও
জোরালোভাবে মাঠে থাকবেন।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।