বিএনপি এখন পর্যন্ত হার্ড লাইনেই থাকছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে আগামীকাল। নির্বাচন কমিশন আগামীকাল তফসিল ঘোষণা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক আহ্বান করেছেন। এরপরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারেন।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, তফসিল ঘোষণার সাথে সাথেই বিএনপি সর্বাত্মক আন্দোলন, অনির্দিষ্ট অবরোধ এবং অসহযোগ আন্দোলনে যেতে পারে। বিএনপির নীতিনির্ধারক মহলে আলোচনা করে এই ধরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সংলাপ বা সমঝোতার ব্যাপারে বিএনপি কোন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি বরং সংলাপের জন্য বিএনপি পাঁচটি শর্ত জানিয়ে দিয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও, জেলায় জেলায় জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ঘেরাওসহ বিভিন্ন সহিংস কর্মসূচি ঘোষণা করার পরিকল্পনা নিয়েছে দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি। এছাড়াও এই সময়ে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি করবে বলে দলটির একাধিক নেতা জানিয়েছে।
বিএনপির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন যে, এখন তারা যে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন এটি শুধুমাত্র রিহার্সেল। কারণ তারা জানে যে তফসিল ঘোষণার পরেই বিএনপিকে বড় আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করতে হবে, রাজপথে নামতে হবে। আর সে কারণেই এখন তারা শক্তিক্ষয় না করে তফসিলের পর শক্তিক্ষয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপির একাধিক সূত্রগুলো বলছে, তফসিল ঘোষণার পর অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিএনপি অবরোধ ডাকতে পারে। শুধু অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অবরোধই নয়, তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি অসহযোগ আন্দোলনেরও ডাক দিতে পারে এবং এই অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লোকজনকে সরকারের সাথে সম্পর্ক ত্যাগের ঘোষণা, জনগণকে খাজনা-ট্যাক্স না দেওয়ার আহ্বান ইত্যাদি জানাতে পারে। একই সাথে ঢাকাকে অবরুদ্ধ রাখারও ঘোষণা দিতে পারে।
তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে যে বিএনপির কর্মসূচির একটি অন্যতম লক্ষ্য হল সন্ত্রাস, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি করা। অবরোধের পর থেকেই বিএনপি সহিংস রূপে দাঁড়াতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে এবং টার্গেট কিলিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন বড় বড় স্থাপনাতে আক্রমণের মাধ্যমে সরকার বিরোধী আন্দোলনকে তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে জানান দিতে চায়।
বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত তারা তাদের অবস্থান থেকে এতটুকু সরে আসেনি। বরং অনমনীয় অবস্থায় থেকে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এখন পর্যন্ত দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আর এ কারণেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপির কর্মসূচি কি হবে বা বিএনপি কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেটি নিয়ে নানামুখী আলাপ-আলোচনা চলছে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, বিএনপি একা নয়, বিএনপির সঙ্গে তার সমমনা রাজনৈতিক দল, যাদেরকে নিয়ে তারা আন্দোলন করছে এবং জামায়াত এই আন্দোলনে যুক্ত হতে পারে। এখন পর্যন্ত বামফ্রন্ট বা বামমোর্চা বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়নি। কিন্তু নির্বাচনের তফসিলের পর তারাও বিএনপির মতো করে কর্মসূচি দিতে পারে। আর এইসব কর্মসূচি মিলিয়ে দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করাই তাদের লক্ষ্য।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, অতীতেও বিএনপি এই ধরনের অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ হয়েছিল। ২০১৫ সালে বিএনপি যে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছিল সেই কর্মসূচি এখন পর্যন্ত প্রত্যাহার করেনি। এ ধরনের অবরোধের ব্যাপারে জনগণের এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া নেই এবং বাংলাদেশে হরতাল অবরোধ, জ্বালাও পোড়াও সন্ত্রাস রাজনীতিকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করছে এবং এই ধরনের কর্মসূচির এখন আর কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই।
বিএনপি তফসিল ঘোষণা অবরোধ-অসহযোগ হার্ডলাইন নির্বাচন কমিশন
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।