পঞ্চম দফায়
সর্বাত্মক অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিল, পিকেটিং ও সড়ক অবরোধ
করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃবৃন্দ । এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম
মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (১৫
নভেম্বর) সকাল সাড়ে ছয়টায় রাজধানীর শাহবাগ থেকে শেরাটন সড়কে অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের
নিয়ে রাজপথ অবরোধের মাধ্যমে পিকেটিং ও বিক্ষোভ মিছিল করেন রুহুল কবির রিজভী। সংক্ষিপ্ত
বক্তব্যে তিনি বলেন, অবৈধ সরকার ও নির্বাচন কমিশন আরেকটি পাতানো নির্বাচন করতে মরিয়া
হয়ে উঠেছে। সেজন্য নানা কার্যকলাপ শুরু করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ আর কোনো প্রহসনের
নির্বাচন মেনে নেবে না।
জানা যায়, সরকারের
পদত্যাগের একদফা দাবি আদায়, নিহত সাথীদের হত্যার বিচার, আহতদের সুচিকিৎসা এবং সারা
দেশে গ্রেপ্তার হাজারো নেতাকর্মীর মুক্তি ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে এই পঞ্চমবারের অবরোধ
কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে এই আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র
মঞ্চ, এলডিপি, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এবি পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ
বিভিন্ন দল ও জোট পৃথকভাবে সমর্থন জানিয়েছে।
সরকারকে হুঁশিয়ারি
দিয়ে রিজভী বলেন, ‘পদত্যাগ করা ছাড়া আপনাদের হাতে আর কোনো অপশন নেই। টালবাহানা না করে
অবিলম্বে পদত্যাগ ও তফসিল নাটক বন্ধ করুন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর
করুন। আর কোনো ভোট ডাকাতির নির্বাচন বা বিনা ভোটের নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণ হতে দিবে
না। বিএনপির আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। জনগণের বিজয় অতি সন্নিকটে।
এ সময় অন্যদের
মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর
নিলুফার ইয়াসমিন, ছাত্রদল নেতা ডা. তৌহিদ আউয়াল, যুবদল নেতা সোহেল আহমেদ, ছাত্রদলের
ডাক্তার লোহানি, সুমাইয়া, উর্মি, মহিউদ্দিন মাহি, ডা. সাব্বির, ডা. প্রতীক, ডা. মমি,
ডা. জিসান, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি ইমন, ঢাবি বিজয় একাত্তর হলের জিএস বিএম কাওসার,
মহানগর ছাত্রদল নেতা আমান, মিরাজ, আসাদ, সিয়াম, আইএইচটির সাবেক সদস্য সচিব রাফসান হোসেন,
বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক কাজী কাওসার, শেকৃবি সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন,
এটিআই আহ্বায়ক জলিলসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।