দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোট ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি। সম্প্রতি ঘোষিত এই তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে উৎসব করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে তফসিল প্রত্যাখ্যান করে হরতাল-বিক্ষোভে নেমেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
যে কারণে, আগামী
নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা
বিরাজ করছে। সমসাময়িক নানা ইস্যু নিয়ে বেসরকারি
একটি টেলিভিশন চ্যানেলে টকশো আয়োজন করা
হয়। সেখানে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ কথা বলেছেন।
ব্যারিস্টার
পার্থ বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ দাবি করে—
দেশে তাদের ৩০ শতাংশ ভোট
রয়েছে। অথচ তার মধ্যে
থেকে ৫ শতাংশও ভোট
দিতে আসছে না। সর্বশেষ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫৩ সেকেন্ডে ৪৭
ভোট দেওয়া হলো, এটি কিন্তু
জেতার জন্য দেওয়া হয়নি। এটি
মূলত ৩০ শতাংশ ভোট
দেখানোর জন্য দিয়েছে। এটি
না করলে তো ২
শতাংশ ভোটও পড়ত না।
আগামী নির্বাচনেও যদি বিএনপি অংশ
না নেয়, তা হলেও
একই কাণ্ড করবে আওয়ামী লীগ।
এটি করে ৪০ শতাংশ
বা ৫০ শতাংশ ভোটার
উপস্থিতি দেখাবে।
তিনি
বলেন, প্রশ্ন হতে পারে— হঠাৎ
কেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইভিএম বাতিল করল আওয়ামী লীগ?
কারণ হচ্ছে— ইভিএমে ৩০ শতাংশও ভোট
কারচুপি করতে সক্ষম হয়নি
আওয়ামী লীগ। এর কারণ,
রাতে সেখানে ব্যালট বাক্স ঢোকানো হয়নি। বর্তমানে নির্বাচনগুলোতে যখন বিএনপি বা
বিরোধী দল থাকবে না,
তখন প্রিসাইডিং অফিসার ব্যালট বাক্স এগিয়ে দেবে, আর আওয়ামী লীগের
লোকজন ভোট দিতে থাকবে।
তা ছাড়া তো ৪০
শতাংশ ভোট কাস্ট হবে
না।
সরকারের
উদ্দেশে আন্দালিব পার্থ বলেন, সরকারকে একটা কথা মনে
রাখতে হবে— গণতন্ত্র হলো
শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে একটা প্রক্রিয়া। সরকার
যদি মনে করে থাকে
যে, আমি ক্ষমতা ছাড়ব
না? তাহলে এটি কীসের গণতন্ত্র?
এখন যে অবস্থা দাঁড়িয়ে
গেছে, বিএনপির ৫ হাজার নেতাকর্মী
মারা গেলেও ক্ষমতা ছাড়বে না আওয়ামী লীগ।
এমনভাবে ১৫ বছর চালিয়েছে
যে, কোনো দিন ক্ষমতা
ছাড়তে হবে না তাদের।
এখন ক্ষমতা ছাড়ার কথা বললে পুরো
সিস্টেম ভেঙে পড়বে।
তিনি
আরও বলেন, এ জন্য বারবার
তারা বলছে— আমরা নির্বাচন করে
ফেলব। আওয়ামী লীগ ভাবছে নির্বাচন
করলেই আগামী ৫ বছর স্থায়ী
হয়ে যাব। কিন্তু এটি
সম্ভব না। সত্যি কথা
বলতে— এখন আমরা, বিরোধী
দল ও মিডিয়া বিদেশিদের
দিকে তাকিয়ে আছি।
পার্থ
বলেন, বর্তমান দেশের পরিস্থিতি— এই পরিস্থিতিতে আমি
মনে করি, রাষ্ট্রপতি সংলাপের
আয়োজন করুক। প্রয়োজনে তফসিল পেছানো হোক। এতে সংলাপের
ফলের ইতিবাচক না হলেও অন্তত দেশে রাজনৈতিক নর্মগুলো বিদ্যামান থাকবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন দিয়ে সংলাপ করে
লাভ হবে না। কারণ
তার তো কোনো ক্ষমতা
নেই। গ্রহণযোগ্যতা নেই। বর্তমানে দেশে
রাজনীতিটাই বন্ধ হয়ে গেছে।
ফলে কোথায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, আর কোথায় সমাবেশ।
এ জন্য বিরোধী দলের
সিনিয়র নেতাদের জেলখানায় নেওয়া হয়েছে। এটি তো হাস্যকর।
আন্দালিব রহমান পার্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া তফসিল ভোট
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।