দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশজুড়ে ১৯০টি মনোনয়ন বিক্রি হয়েছে।
শনিবার
(১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর
বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কার্যালয়ে প্রথম মনোনয়নপত্র কেনেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই সময়ে সাধারণ
সম্পাদক ওবায়দুল
কাদেরসহ অনেক নেতা মনোনয়নপত্র
সংগ্রহ করেন। শেখ হাসিনার পক্ষে গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন
ফরম সংগ্রহ করেন গোপালগঞ্জ জেলা
আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদ আলী খান ও
সাধারণ সম্পাদক বিএম সাহাবউদ্দিন আজম।
শেষ খবর পর্যন্ত জানা যায়, দুপুর পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে ৫১, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪০, সিলেট বিভাগে ১১, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫, বরিশাল বিভাগে ১১, খুলনা বিভাগে ২২, রংপুর বিভাগে ১৭ ও রাজশাহী বিভাগ ২৩টি দিয়ে মোট ১৯০টি দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে।
তাদের
মধ্যে নোয়াখালী-৫ আসনের দলীয়
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার পক্ষে মনোনয়ন
ফরম সংগ্রহ করেন দপ্তর সম্পাদক
ব্যারিস্টার জবিপ্লব বড়ুয়া।
তারপর
চাঁদপুর-৩ আসনে দলের
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি,
মৌলবিবাজার-২ আসনে সাংগঠনিক
সম্পাদক শফিকুল আলম চৌধুরী নাদেল,
নরসিংদী-৫ আসনে সাবেক
কার্যনির্বাহী রিয়াজুল কবির কাওছার, নেত্রকোনা-৪ আসনে সাজ্জাদুল
হাসান, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আজিজুস
সামাদ ডন, নেত্রকোনা-২
আসনে আরিফ খান জয়,
টাঙ্গাইল-৬ আহসান খান
টুটুল, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে নাসিরুল
ইসলাম খান আওলাদ, শরীয়তপুর-৩ আসেন বাহাদুপর
বেপারী, শরীয়তপুর-১ আসনে আব্দুল
আলীম ব্যাপারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে দক্ষিণ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, কুমিল্লা-৭
আসনের ডা. প্রাণ গোপাল
দত্ত, জয়পুরহাট সদর-১ এডভোকোট
সামসুল আলম দুদু, জয়পুরহাট-২ আসনে গোলাম
মাহফুজ চৌধুরী, পিরোজপুর-১ আসনে শ
ম রেজাউল করিম মনোনয়ন ফরম
সংগ্রহ করেছেন।
নেতাকর্মীদের
অত্যধিক চাপের কারণে বর্তমানে মনোনয়নপত্র বিক্রির কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র
বিক্রির বন্ধ থাকবে বলে
জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।