বিভক্ত জাতীয় পার্টিতে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। একদিকে রওশন এরশাদপন্থীরা অন্যদেক জিএম কাদের। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হলেও সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে রয়েছে মতভেদ। বরং এ নিয়ে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা দুই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।
জানা যায়, সোমবার
(২০ নভেম্বর) মনোনয়ন
ফরম বিক্রির প্রথম দিন জাতীয় পার্টির
চেয়ারম্যান জি এম কাদের
রংপুর-৩ আসন থেকে
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
এটি জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের
আসন। এরশাদপুত্র রাহাগির আল মাহি সাদ
(সাদ এরশাদ) এই আসনের সংসদ
সদস্য। রওশন এরশাদ ও
জি এম কাদেরের সম্পর্কে
টানাপড়েনের অন্যতম কারণ এই আসন।
জি এম কাদেরের অনুসারীরাও
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
তবে
দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদে
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ
ও তার অনুসারীরা কেউ
ফরম সংগ্রহ করেননি। রওশনপন্থীদের কয়েকজন বলেছেন, তারা পৃথকভাবে মনোনয়ন
ফরম বিক্রি করতে পারেন।
এমন দ্বন্দ্ব
নিয়েও রওশন এরশাদ ও জি এম
কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে
সাক্ষাৎ করবেন বলেন জানা যায়, তবে সে সময়-ক্ষণ
এখনো নিশ্চিত নয়। এর আগেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রওশন এরশাদ।
তবে, জাতীয়
পার্টির চেয়ারম্যানের রংপুর-৩ আসনে মনোনয়ন
ফরম সংগ্রহে দলে কোনো সংকট
তৈরি করবে না বলে
মনে করেন দলের মহাসচিব
মুজিবুল হক চুন্নু। সাংবাদিকদের
তিনি বলেন, সাদ এরশাদ কোন
আসন থেকে নির্বাচন করবেন
তা দলের মনোনয়ন বোর্ড
ঠিক করবে।
জাতীয়
পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রির প্রথম
দিন (২০ নভেম্বর) দলের চেয়ারম্যানের বনানী
কার্যালয় থেকে ৫৫৭টি ফরম
বিক্রি হয়েছে। এদিন দলের মহাসচিব
মুজিবুল হক চুন্নুসহ অন্য
জ্যেষ্ঠ নেতারাও মনোনয়ন ফরম কেনেন। আগামী
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফরম বিক্রি হবে।
জানা যায়, রওশন
এরশাদের পক্ষ নিয়ে দল
থেকে বহিষ্কৃত বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর
রহমান রাঙ্গার রংপুর-১ আসনে প্রার্থী
হতে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন জি
এম কাদেরের ভাতিজা মকবুল শাহরিয়ার আসিফ। তিনি ওই আসনের
সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন।
এই আসন থেকে জাতীয়
পার্টির ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও রংপুর জেলা
জাপার সদস্য আল মামুনও মনোনয়ন
ফরম কেনেন।
মনোনয়নপত্র
বিতরণকালে দলের মহাসচিব মুজিবুল
হক চুন্নু উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখছি। সময়ের বাধ্যবাধকতা আছে, তাই নির্বাচনী
কার্যক্রম এগিয়ে রাখছি৷ দলের চেয়ারম্যান ৩০
নভেম্বরের আগে নির্বাচনে যাওয়া
না-যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন৷’
তবে
দলের কো-চেয়ারম্যান রুহুল
আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি।
দেশ ও মানুষের স্বার্থে
নির্বাচনে যাচ্ছি। দেশে যেভাবে উন্নয়নমূলক
কাজ হচ্ছে, এর ধারাবাহিকতা রক্ষায়
সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে।
সব কিছুর ঊর্ধ্বে দেশের অগ্রগতি, দেশের স্বার্থ। বিদেশিরা এসে প্রেসক্রিপশন কেন
দেবেন? আমরা বিশ্বাস করি,
নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
সাইবার যুদ্ধ আওয়ামী লীগ কোটা আন্দোলন তথ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গ্রেপ্তার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন গ্রেপ্তার তারেক জিয়া নাশকতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
এখন ষড়যন্ত্র এবং আন্দোলনের দু’টি অংশ হচ্ছে। একটি দৃশ্যমান অংশ যেটি মাঠে হচ্ছে। সরকার পতনের লক্ষ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভর করে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, পেশাদার সন্ত্রাসীরা এক জোট হয়ে দেশে নাশকতা সৃষ্টি করেছে। একটি ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা করে সরকারকে হটানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলো। অন্যটি সাইবার জগতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বিএনপির বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান চলছে। নির্বাচনের আগে ২৮ অক্টোবর বিএনপির তাণ্ডবের পর যেভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেছিল সরকার ঠিক একইভাবে এবারও ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে যে সন্ত্রাস, সহিংসতা হচ্ছে তার হোতাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এই সময় নাশকতায় ছাত্রশিবির এবং জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্রদল এবং বিএনপি নেতারা সরকার পতনের একটা নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন। সেই চেষ্টা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তারা আন্দোলনকে সহিংস এবং নাশকতার পথে নিয়ে যান। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো যেমন বিটিভি, সেতু ভবন ইত্যাদি হামলার পিছনে বিএনপির সরাসরি সম্পৃক্ততার খবর পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর এই কারণেই যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
টানা তিন বারের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। দলে তার কর্তৃত্ব এবং ক্ষমতা আওয়ামী লীগ সভাপতির পরপরই। সারাদিনই দলীয় কার্যালয়ে কিছু না কিছু বলেন। সংবাদ সম্মেলন করে নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখাকে তিনি রীতিমতো একটি রেওয়াজে পরিণত করেছেন। কিন্তু সেই ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে আওয়ামী লীগে এখন নানা রকম অস্বস্তি এবং প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে।