আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ১২০ জন এবার নতুন করে মনোনয়ন পেয়েছেন। এরা হলেন-
রংপুর বিভাগ
সংসদীয়
আসন |
প্রার্থীর
নাম |
নির্বাচনী
এলাকা |
১ |
মো:
নাঈমুজ্জামান ভুইয়া |
পঞ্চগড়-১ |
৪ |
মো:
মাজহারুল ইসলাম |
ঠাকুরগাঁও-২ |
৫ |
মো:
ইমদাদুল হক |
ঠাকুরগাঁও |
১৪ |
মো:
গোলাম মোস্তাফা |
নীলফামারী-৩ |
১৫ |
মো:
জাকির হোসেন বাবুল |
নীলফামারী-৪ |
১৮ |
মো:
মতিয়ার রহমান |
লালমনিরহাট-৩ |
১৯ |
মো:
রেজাউল করিম রাজু |
রংপুর-১ |
২১ |
তুষার
কান্তি মন্ডল |
রংপুর-৩ |
২৬ |
মো:
জাফর আলী |
কুড়িগ্রাম-২ |
২৭ |
সৌমেন্দ্র
প্রসাদ পান্ডে |
কুড়িগ্রাম-৩ |
২৮ |
মো:
বিপ্লব হাসান |
কুড়িগ্রাম-৪ |
২৯ |
আফরুজা
বারী |
গাইবান্ধা-১ |
৩২ |
মো:
আবুল কালাম আজাদ |
গাইবান্ধা-৪ |
৩৩ |
মাহমুদ
হাসান |
গাইবান্ধা-৫ |
রাজশাহী বিভাগ
সংসদীয় আসন |
প্রার্থীর নাম |
নির্বাচনী এলাকা |
৩৭ |
তৌহিদুর রহমান মানিক |
বগুড়া-২ |
৩৮ |
মো: সিরাজুল ইসলাম খান রাজু |
বগুড়া-৩ |
৩৯ |
মো: হেলাল উদ্দিন কবিরাজ |
বগুড়া-৪ |
৪০ |
মো: মজিবর রহমান (মজনু) |
বগুড়া-৫ |
৪১ |
রাগেবুল আহসান রিপু |
বগুড়া-৬ |
৪২ |
মো: মোস্তফা আলম |
বগুড়া-৭ |
৪৪ |
মু: জিয়াউর রহমান |
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ |
৪৫ |
মো: আব্দুল ওদুদ |
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ |
৪৮ |
সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী |
নওগাঁ-৩ |
৪৯ |
মো: নাহিদ মোর্শেদ |
নওগাঁ-৪ |
৫৩ |
মোহাম্মদ আলী |
রাজশাহী-২ |
৫৪ |
মোহা: আসাদুজ্জামান আসাদ |
রাজশাহী-৩ |
৫৫ |
মো: আবুল কালাম আজাদ |
রাজশাহী-৪ |
৫৬ |
মো: আব্দুল ওয়াদুদ |
রাজশাহী-৫ |
৬১ |
মো: সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী |
নাটোর-৪ |
৬৩ |
মোছা: জান্নাত আরা হেনরী |
সিরাজগঞ্জ-২ |
৬৫ |
মো: শফিকুল ইসলাম |
সিরাজগঞ্জ-৪ |
৬৭ |
চয়ন ইসলাম |
সিরাজগঞ্জ-৬ |
৭১ |
গালিবুর রহমান শরীফ |
পাবনা-৩ |
খুলনা বিভাগ
সংসদীয় আসন |
প্রার্থীর নাম |
নির্বাচনী এলাকা |
৭৪ |
আবু আলেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক |
মেহেরপুর-২ |
৮৩ |
মো: সালাহ উদ্দিন মিয়াজী |
ঝিনাইদহ-৩ |
৮৬ |
মো: তৌহিদুজ্জামান |
যশোর-২ |
৮৮ |
এনামুল হক বাবুল |
যশোর-৪ |
৯১ |
সাকিব আল হাসান |
মাগুরা-১ |
৯৩ |
বি. এম কবিরুল হক |
নড়াইল-১ |
৯৮ |
এইচ.এম বদিউজ্জামান হোসাগ |
বাগেরহাট-৪ |
৯৯ |
ননী গোপাল মন্ডল |
খুলনা-১ |
১০১ |
এস এম কামাল হোসেন |
খুলনা-৩ |
১০৪ |
মো: রশীদুজ্জামান |
খুলনা-৬ |
১০৫ |
ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন |
সাতক্ষীরা-১ |
১০৬ |
মো: আসাদুজ্জামান বাবু |
সাতক্ষীরা-২ |
১০৮ |
এস.এম. আতাউল হক |
সাতক্ষীরা-৪ |
বরিশাল বিভাগ
সংসদীয় আসন |
প্রার্থীর নাম |
নির্বাচনী এলাকা |
১১০ |
সুলতানা নাদিরা |
বরগুনা-১ |
১১১ |
মো: আফজাল হোসেন |
পটুয়াখালী-১ |
১২০ |
তালুকদার মো: ইউনুস |
বরিশাল-২ |
১২১ |
সরদার মো: খালেদ হোসেন |
বরিশাল-৩ |
১২২ |
শাম্মী আহমেদ |
বরিশাল-৪ |
১২৩ |
জাহিদ ফারুক |
বরিশাল-৫ |
১২৪ |
আবদুল হাফিজ মল্লিক |
বরিশাল-৬ |
১২৮ |
কানাই লাল বিশ্বাস |
পিরোজপুর-২ |
১২৯ |
মো: আশরাফুর রহমান |
পিরোজপুর-৩ |
ময়মনসিংহ বিভাগ
সংসদীয় আসন |
প্রার্থীর নাম |
নির্বাচনী এলাকা |
১৩৮ |
নূর মোহাম্মদ |
জামালপুর-১ |
১৪১ |
মো: মাহবুবুর রহমান |
জামালপুর-৪ |
১৪২ |
মো: আবুল কালাম আজাদ |
জামালপুর-৫ |
১৪৫ |
এ.ডি.এম. শহিদুল ইসলাম |
শেরপুর-৩ |
১৪৮ |
নিলুফার আনজুম |
ময়মনসিংহ-৩ |
১৪৯ |
মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান |
ময়মনসিংহ-৪ |
১৫০ |
মো: আব্দুল হাই আকন্দ |
ময়মনসিংহ-৫ |
১৫৩ |
মো: আব্দুছ ছাত্তার |
ময়মনসিংহ-৮ |
১৫৪ |
আব্দুস সালাম |
ময়মনসিংহ-৯ |
১৫৭ |
মোশতাক
আহমেদ রুহী |
নেত্রকোনা-১ |
১৬০ |
সাজ্জাদুল হাসান |
নেত্রকোনা-৪ |
১৬১ |
আহমদ হোসেন |
নেত্রকোনা-৫ |
ঢাকা বিভাগ
সংসদীয় আসন |
প্রার্থীর নাম |
নির্বাচনী এলাকা |
১৩২ |
মো: কামরুল হাসান খান |
টাঙ্গাইল-৩ |
১৩৩ |
মো: মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার |
টাঙ্গাইল-৪ |
১৩৪ |
মো: মামুন-অর-রশিদ |
টাঙ্গাইল-৫ |
১৩৭ |
অনুপম শাহজাহান জয় |
টাঙ্গাইল-৮ |
১৬৩ |
আবদুল কাহার আকন্দ |
কিশোরগঞ্জ-২ |
১৬৪ |
মো: নাসিরুল ইসলাম খান |
কিশোরগঞ্জ-৩ |
১৬৮ |
মো: আব্দুস সালাম |
মানিকগঞ্জ-১ |
১৭১ |
মহিউদ্দিন আহমেদ |
মুন্সীগঞ্জ-১ |
১৭৭ |
সানজিদা খানম |
ঢাকা-৪ |
১৭৮ |
হারুনর রশীদ মুন্না |
ঢাকা-৫ |
১৭৯ |
মোহাম্মদ সাইদ খোকন |
ঢাকা-৬ |
১৮০ |
মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম |
ঢাকা-৭ |
১৮১ |
আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাছিম |
ঢাকা-৮ |
১৮৩ |
ফেরদৌস আহমেদ |
ঢাকা-১০ |
১৮৪ |
মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন |
ঢাকা-১১ |
১৮৬ |
জাহাঙ্গীর কবির নানক |
ঢাকা-১৩ |
১৮৭ |
মো: মাইনুল হোসেন খান |
ঢাকা-১৪ |
১৯০ |
মোহাম্মদ আলী আরাফাত |
ঢাকা-১৭ |
১৯৬ |
রুমানা আলী |
গাজীপুর-৩ |
২০১ |
ফজলে রাব্বি খান |
নরসিংদী-৩ |
২০৬ |
আব্দুল্লাহ-আল-কায়সার |
নারায়ণগঞ্জ-৩ |
২১১ |
মো: আব্দুর রহমান |
ফরিদপুর-১ |
২১২ |
শাহদাব আকবর |
ফরিদপুর-২ |
২১৩ |
শামীম হক |
ফরিদপুর-৩ |
২১৪ |
কাজী জাফর উল্যাহ |
ফরিদপুর-৪ |
সিলেট বিভাগ
সংসদীয় আসন |
প্রার্থীর নাম |
নির্বাচনী এলাকা |
২২৪ |
রনজিত চন্দ্র সরকার |
সুনামগঞ্জ-১ |
২২৫ |
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ |
সুনামগঞ্জ-২ |
২২৭ |
মোহাম্মদ সাদিক |
সুনামগঞ্জ-৪ |
২৩০ |
শফিকুল রহমান চৌধুরী |
সিলেট-১ |
২৩১ |
হাবিবুর রহমান |
সিলেট-৩ |
২৩৩ |
মাসুক উদ্দিন আহমদ |
সিলেট-৫ |
২৩৬ |
শফিউল আলম চৌধুরী |
মৌলিভীবাজার-৩ |
২৩৯ |
ডা: মো: মুশফিক হুসেন চৌধুরী |
হবিগঞ্জ-১ |
২৪০ |
ময়েজ উদ্দিন শরীফ |
হবিগঞ্জ-২ |
চট্টগ্রাম বিভাগ
সংসদীয় আসন |
প্রার্থীর নাম |
নির্বাচনী এলাকা |
২৪৪ |
মো: শাহজাহান আলম |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ |
২৪৭ |
ফয়জুর রহমান |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ |
২৪৯ |
মো: আবদুস সবুর |
কুমিল্লা-১ |
২৫৫ |
প্রাণ গোপাল দত্ত |
কুমিল্লা-৭ |
২৫৬ |
আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন |
কুমিল্লা-৮ |
২৬০ |
সেলিম মাহমুদ |
চাঁদপুর-১ |
২৬১ |
মোফাজ্জাল হোসাইন চৌধুরী |
চাঁদপুর-২ |
২৬৫ |
আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী |
ফেনী-১ |
২৬৭ |
মো: আবুল বাশার |
ফেনী-৩ |
২৭৩ |
মোহাম্মদ আলী |
নোয়াখালী-৬ |
২৭৬ |
মোহাম্মদ
গোলাম ফারুক |
লক্ষ্মীপুর-৩ |
২৭৭ |
ফরিদুন্নাহার লাইলী |
লক্ষ্মীপুর-৪ |
২৭৮ |
মাহবুব উর রহমান |
চট্টগ্রাম-১ |
২৭৯ |
খাদিজাতুল আনোয়ার |
চট্টগ্রাম-২ |
২৮১ |
এস এম আল মামুন |
চট্টগ্রাম-৪ |
২৮৫ |
নোমান আল মাহমুদ |
চট্টগ্রাম-৮ |
২৮৭ |
মো: মহিউদ্দিন বাচ্চু |
চট্টগ্রাম-১০ |
২৮৯ |
মোহাহেরুল ইসলাম চৌধুরী |
চট্টগ্রাম-১২ |
২৯৮ |
সালাহ উদ্দীন আহমদ |
কক্সবাজার-১ |
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসলে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অনুসরণ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান বলেও আম আদমি পার্টির এই নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। আর এই বক্তব্য নিয়েই বিএনপির মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির নেতারা শুধু ইউটিউবেই এটি রিপোস্ট করেনি, তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারেও এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ভারত বিরোধী প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভারতের সমালোচনা করা এবং ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে এমন বক্তব্য বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের অন্য একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসও আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের সমর্থক। বিজেপি গত এক দশকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় ভারতের নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যত্যয় হবে না বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এর মধ্যে আম আদমি পার্টির বক্তব্য নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস নিয়ে অনেকেই নানারকম টীকা-টিপ্পনি কেটেছেন। কেউ কেউ মনে করেন যে, এর আগে যখন কংগ্রেসকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তখনও বিএনপির মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপি নেতারা মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল যে, কংগ্রেস চলে গেলেই আওয়ামী লীগের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বিজেপির সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এখন কেজরিওয়ালের নির্বাচনের মাঠের বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপি আশায় বুক বেঁধে আছে। মুখে মুখে ভারত বিরোধীতা করলেও ভারতের অনুগত এবং ভারতের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য বিএনপি কম চেষ্টা করেনি।
আর এখনও বিএনপি যে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায় তার প্রমাণ পাওয়া গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্যকে নিজেদের দলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য, আর ক্ষমতায় এসে তার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড- দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেউলিয়া রাজনীতির কারণে বিএনপি সবসময় অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে কেজরিওয়ালের বক্তব্য বিএনপির ইউটিউবে ছাড়ার মধ্য দিয়ে সেই দেউলিয়াত্ব আরেকবার প্রকাশিত হল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অরবিন্দ কেজরিওয়াল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দেশটিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। চলতি মাসের শেষের দিকে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীনে যাবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এই সফর কর্মসূচির লক্ষ্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন এবং মতবিনিময়।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত ১৪ এপ্রিল এক চিঠিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কাছে ৫০ সদস্যের একটি তালিকা পাঠিয়েছেন। এতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ ও মহিলা শ্রমিক লীগ এবং আওয়ামী লীগের ডেটাবেজ টিমের সদস্যরা রয়েছেন।
দলীয় একাধিক সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠন গড়ে তোলা, সুশাসন, ইতিহাসসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।
৫০ সদস্যের প্রতিনিধি টিমে রয়েছেন:
আওয়ামী যুব লীগ:
সহ সভাপতি মৃনাল কান্তি জোয়ারদার ও তাজউদ্দীন আহমদ; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম; সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, মো জহির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, উপ আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো সাফেড আসফাক আকন্দ।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ:
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, সহ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক, তানভীর শাকিল জয় এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, একেএম আজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফজল মো নাফিউল করিম, আবদুল্লাহ আল সায়েম৷
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ:
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরিন রোকসানা, মিনা মালেক, সুলতানা রেজা, মিসেস রোজিনা নাসরিন, নীলিমা আক্তার লিলি, সাংগঠনিক সম্পাদক ঝর্না বাড়ুই, মরিয়ম বিনতে হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেনিগার হোসেন।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ:
সভাপতি আলেয়া সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা, সহ সভাপতি বিনা চৌধুরী, রাফিয়া আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিউটি কানিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন।
মহিলা শ্রমিক লীগ:
সভাপতি সুরাইয়া আক্তার, সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার, কার্যকরী সভাপতি শামসুর নাহার, সহ সভাপতি মেহেরুন নেসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিনাত রেহেনা নাসরিন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ:
সহ সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান, কুহিনূর আক্তার, খাদেমুল বাশার জয়, খন্দকার মো আহসান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো হোসাইন আহমেদ, মো আবদুল্লাহ হিল বারী, এসডিজি বিষয়ক সম্পাদক রাইসা নাহার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আখি।
ডেটাবেজ টিম মেম্বার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ:
মো নুরুল আলম প্রধান, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, কাজী নাসিম আল মমিন, জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল, অদিত্য নন্দী, মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সাব্বির আহমেদ।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে তিনি একটি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা তিন তিনবার আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র যিনি আওয়ামী লীগের তিনবার বা তার বেশি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন ওবায়দুল কাদেরও আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। এবার তিনি আরেক রকম হ্যাটট্রিক করলেন।
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।