আওয়ামী
লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল রাশেদ খান
মেননের ‘ওয়ার্কার্স পার্টি’। দলটির সভাপতি
ও শীর্ষ নেতা রাশেদ খান মেনন আগে ঢাকা-৮ আসন থেকে
তিন দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু এবার ওই আসনে দলীয়
মনোনয়ন না পেয়ে শেষ
মুহূর্তে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী)
ও বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর)
আসনের দুটি আসনে রাশেদ খান মেনন প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে মনোনয়ন নিয়ে জটের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মহাজোটকেন্দ্রিক রাজনীতিতে বেশ টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
বরিশাল-৩ আসনে ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. টিপু সুলতান। ২০১৮ সালে টিপু সুলতান মহাজোটের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিলেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু। এবারও জাপার বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার খালেদ হোসেনকে।
রাশেদ খান মেননের পৈতৃক বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায়। ১৯৭৯ ও ১৯৯১ সালে তিনি নিজ এলাকা থেকে দুবার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। এরপর নিজ এলাকা থেকে তিনি আর নির্বাচনে অংশ নেননি। এবার আকস্মিক তিনি বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় মহাজোটের রাজনীতির হিসাব-নিকাশ একটু জটিল হলো।
রাশেদ খান মেনন এই আসনে মনোনয়নপত্র নেওয়ার খবরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উচ্ছ্বাস কমেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা বলেছেন, ২২ বছর পর আওয়ামী লীগের কোন নেতা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে যাওয়ায় তাঁরা খুব আনন্দিত হয়েছিলেন। এখন সেই আনন্দে ভাটা পড়েছে। মহাজোটের কারণে ২০০৮ সালে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আফজালুল করিম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া সরদার মো. খালেদ হোসেন বলেন, ‘দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করব।’
বরিশাল-২ আসনেও একইভাবে জট বেঁধেছে মহাজোটে। সেখানে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার ইউনুসকে। মহাজোটের শরিক জাপার চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ইকবাল হোসেন (তাপস) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আছেন ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনীত প্রার্থীও। এমন পরিস্থিতিতে শেষ সময়ে সেখানে রাশেদ খান মেননের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার ইউনুস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগে দলকে বাঁচাতে হবে। আমাকে এখানে মনোনয়ন দেওয়ার পর সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে, সেটা অভাবনীয়। এখন তার ব্যত্যয় হলে যে হতাশা নেমে আসবে, তার প্রতিফলন ফলাফলে প্রভাব ফেলবে।’
মুলাদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, ২০০৮ সালে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে আসন ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালে জোটকে আসন ছেড়ে দেওয়ায় সংসদ সদস্য হন ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ মোঃ টিপু সুলতান। ২০১৮ সালে আবারও ছাড় দেওয়ায় জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু সংসদ সদস্য হন। বারবার জোটের শরিকদের আসন ছেড়ে দেওয়ায় এই দুই উপজেলায় তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি, দলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির একটি সূত্র জানায়, মহাজোটের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আসনবিন্যাসের ব্যাপারে আগেই উদ্যোগ নিলে এমন জটিলতার সৃষ্টি হতো না। এখন যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসন করা একটু কঠিন, তবে অসম্ভব নয়।
ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক শেখ টিপু সুলতান বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগে এই জটিলতার সমাধান হবে। ঢাকা–৮ আসনে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখন সমস্যা সমাধানে উচ্চপর্যায়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। শিগগিরই এর সমাধান হবে।’
উল্লেখ্য, রাশেদ খান মেনন ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
রাশেদ খান মেনন ওয়ার্কার্স পার্টি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায়
নেওয়া হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন,
‘ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি’।
এর আগে, বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া
হয়। সেখানে সিসিইউতে রেখে তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পবিত্র ওমরাহ পালনের
উদ্দেশ্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকছেন তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুর সোয়া ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে তাদের ঢাকা ছাড়ার
কথা রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আগামী ৮ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভারতের জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে বাংলাদেশ
থেকে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বুধবার (০১ মে)
আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয়
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও
প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে
একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, ভারতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। অন্যদিকে,
বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে
জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে
যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।
ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে
শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ
গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং
আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু
মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।
বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে
অনুরোধ করেছে।
এই আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে
মনোনীত করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১
মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের
বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি
আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবে।
ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে।
৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।
ভারত নির্বাচন বিজেপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন