আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার পর বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর অস্ত্রধারী পাশে বসিয়ে সমাবেশ করেছেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন বৈধ হওয়ার পর বেলা ১১টার দিকে তিনি এই সমাবেশ করেন।
কাঁঠালিয়া
উপজেলা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে
আয়োজিত এ সময় সমাবেশস্থলে শাহজাহান
ওমর পাশে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে চেয়ারে
বসে ছিলেন কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী। তার
পাশে বসে ছিলেন সাধারণ
সম্পাদক মো. জাকির হোসেন
কবির।
অপরদিকে ডান পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া সিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল বাসার বাদশা, শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হোসেন রিপন।
এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি শাহজাহান ওমরকে শোকজ করেছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঝালকাঠি-১ আসনে নির্বাচন কমিশনের গঠন করা অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ পল্লবেশ কুমার কুন্ডু এ আদেশ দেন।
এর আগে সমাবেশে শাহজাহান ওমর বলেন, কাঁঠালিয়ায় আওয়ামী লীগের কোনো গ্রুপিং থাকতে পারবে না। এখানে তরুণ লীগ, কিবরিয়া লীগ, বুড়া লীগ ও বাচ্চা লীগ থাকতে পারবে না। এখানে থাকবে শুধু শেখ হাসিনা লীগ।
তিনি
আরও বলেন, আমি বিএনপির দলবলসহ
আপনাদের মেহমান। আমাদের বরণ করে নেবেন।
আমরা শিক্ষিত লোক, আমাদেরকে সম্মান
করলে আপনাদেরকেও আমরা সম্মান করব।
সমাবেশ
শেষে তিনি আওয়ামী লীগ
ও বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। আগামী ১১ ডিসেম্বরের পর
আবার দেখা হবে বলে
জানান তিনি।
আগ্নেয়াস্ত্র
নিয়ে বৈঠকের বিষয়ে উপজেলা
বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী গণমাধ্যমকে বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রটি
শাহজাহান ওমরের লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র।
তিনি থানার অনুমতি নিয়ে যখন কাঁঠালিয়া
আসেন তখন কাঁঠালিয়া থানার
ওসিও এখানে উপস্থিত ছিলেন।
তবে,
কাঁঠালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম
গণমাধ্যমকে বলেন,
আমি কেন ওই সমাবেশে
কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না। পুলিশ
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেখানে ডিউটিতে ছিল। আইনগতভাবে তিনি
অস্ত্র নিয়ে সমাবেশ করতে
পারেন না।
আওয়ামী লীগ শাহজাহান ওমর অস্ত্রধারী বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।