নানান জল্পনা-কল্পনা শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। আসন বণ্টন এবং বিরোধী দল হিসেবে তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করতেই আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বসতে যাচ্ছে দলটি।
নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে বৈঠকে দুই দলের নেতৃস্থানীয় নেতাদের মধ্যে আসন বণ্টনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে। মূলত, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়েই জাপা নেতৃবৃন্দ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতিও জাপা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহ দেছিয়েছেন।
২০১৮ সালেও প্রধান বিরোধীদল ছিল জাতীয় পার্টি। সে সময় বিরোধী দলীয় শীর্ষ নেতা হয়েছিলেন প্রয়াৎ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ। তবে, এবার সেই পদটি ধারণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
এদিকে দুই দলে বিভক্ত জাপার পুরোদমে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়েও ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। রওশন এরশাদমুখীরা আগেই প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। অন্যদিকে জিএম কাদেরও তার দলবল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তবে, পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনো সন্দেহ বিরাজ করছে প্রয়াৎ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের এই দলে। আসন ভাগাগাগি নিয়ে তাদের দলের ভেতরেই চলছে আন্তঃকোন্দল। রংপুর–৩ আসনে এরশাদপুত্র রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদ নির্বাচন করতে চান। অন্যদিকে আসনটিতেই থাকতে চেয়েছিলেন জিএম কাদের। যদিও শেষ পর্যন্ত জিএম কাদেরকেই ওই আসনে মনোনয়ন দেয় জাপা।
তথ্যসূত্র বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। এর আগে ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ২৮৯ আসনের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কিন্তু, আসন্ন নির্বাচনে প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়ে গেছে। এ নিয়েই জাতীয় পার্টি কিছুটা শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। যে কারণে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং কয়েকটি আসনে সমঝোতার জন্য প্রস্তাব করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের সাথে আসন সমঝোতা করবে কি না সে ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত হবে আগামীকাল।
জাপার দায়িত্বশীল সূত্রগুলো এর আগেই জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে জি এম কাদেরের অমত ছিল। এ নিয়ে শেষ দিকে এসে সরকারের দিক থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের চাপ আসে। শেষ পর্যন্ত মোটা দাগে দুটি শর্তে জি এম কাদের নির্বাচনে যেতে সম্মত হন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। একটি হলো নির্বাচনে জয়ী হলে দলীয় প্রধান হিসেবে তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হবেন। এ ছাড়া তার সিদ্ধান্তে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত হবে। এতে কারও হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সমঝোতার মাধ্যমে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শেষেই জাতীয় পার্টির ভাগ্যে কি আছে তা বোঝা যাবে, এজন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামীকাল পর্যন্ত। যদি আলোচনা ফলপ্রসূ হয়, তাহলে এবার সংসদে বিরোধী দলীয় প্রধান নেতা হিসেবে দেখা যাবে জিএম কাদেরকে।
জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ আসন সমঝোতা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায়
নেওয়া হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন,
‘ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি’।
এর আগে, বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া
হয়। সেখানে সিসিইউতে রেখে তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পবিত্র ওমরাহ পালনের
উদ্দেশ্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকছেন তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুর সোয়া ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে তাদের ঢাকা ছাড়ার
কথা রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আগামী ৮ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভারতের জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে বাংলাদেশ
থেকে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বুধবার (০১ মে)
আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয়
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও
প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে
একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, ভারতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। অন্যদিকে,
বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে
জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে
যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।
ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে
শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ
গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং
আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু
মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।
বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে
অনুরোধ করেছে।
এই আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে
মনোনীত করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১
মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের
বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি
আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবে।
ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে।
৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।
ভারত নির্বাচন বিজেপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন