গতকাল (৬ ডিসেম্বর) রাতে গুলশানের
একটি বাড়িতে জাতীয় পার্টির নেতাদের সাথে আওয়ামী লীগের নেতাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম উপস্থিত
ছিলেন। এই বৈঠকে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রগুলো
বলছে, আসন সমঝোতার চেয়েও বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন,
গণতন্ত্রের ভবিষ্যত এবং জাতীয় পার্টির থাকা না থাকা।
বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে,
জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে রাখাই এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে
দাঁড়িয়েছে। যদিও জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন যে,
নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কোন রকম সম্ভাবনা নেই। তারা নির্বাচনে আছেন, নির্বাচনে থাকতে
চান। তবে নির্বাচনের পরিবেশ আরও সুষ্ঠু হওয়ার দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে,
জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগ কয়েকটি আসনে সমঝোতা করতে চায়। তবে সেই সমঝোতাটা আওয়ামী
লীগ বা জাতীয় পার্টি প্রকাশ করার পক্ষপাতী নয়। বরং সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, জাতীয় পার্টি
৪০টি আসনে সমঝোতার প্রস্তাব করেছে। যে আসনগুলোতে নৌকার কোনো প্রার্থী থাকবে না। অন্যদিকে
আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ২০টি আসনে ছাড় দিতে রাজি হচ্ছে।
তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে যে,
এই বৈঠকে জাতীয় পার্টির একটি বড় ইস্যু ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা দাবি করেছে যে,
বিভিন্ন আসনে যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দেওয়া হয়েছে তারা নির্বাচনে বড় ধরনের সমস্যা
তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে যদি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বসিয়ে দেওয়া
হয় এবং সেই জায়গায় যদি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকে তাহলে জাতীয়
পার্টির পক্ষে তাঁরা কাজ করবেনা। অবশ্য জাতীয় পার্টির কোনো নেতা তাঁদের পক্ষে আওয়ামী
লীগের কাজ করা না করা নিয়ে চিন্তিত নন। তাঁরা বলছেন যে, যদি একটি সমঝোতার ভিত্তিতে
নৌকা প্রার্থীদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে জাতীয় পার্টিই অবশ্যই ভালো করবে
৷ বিশেষ করে যে সমস্ত আসনে জাতীয় পার্টির এমপিরা এখনো আছেন, সেই সমস্ত আসনগুলোতে হয়তো
আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেবেন।
তবে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়ার
চেয়েও বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকা না থাকা। বিএনপি
এবং বিরোধী দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ফলে এখন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির থাকাটা
একটা বড় প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের জন্য। কারণ জাতীয় পার্টি যদি নির্বাচন
থেকে চলে যায় তাহলে এই নির্বাচন আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ নির্বাচন হিসাবে পরিগণিত
হবে।
সেক্ষেত্রে এই নির্বাচনের আন্তর্জাতিক
গ্রহণযোগ্যতা সংকট তৈরি হতে পারে। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, জাতীয় পার্টি গতকালকের
বৈঠকেও আশ্বস্ত করেছে যে তারা নির্বাচনে থাকতে চায় এবং এই নির্বাচনে তারা শেষ পর্যন্ত
দেখতে চাই।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব গণমাধ্যমে
বলেছেন, জাতীয় পার্টি এখন সাবালক হয়েছে। নির্বাচনে তারা ভালো ফলাফল করবে বলেই তাঁরা
আশাবাদী ৷ তবে সবকিছু মিলিয়ে জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত কী করবে তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই
সন্দেহ রয়েছে। কারণ জাতীয় পার্টির মধ্যে একটি অংশের ভূমিকা রহস্যময়। জাতীয় পার্টির
চেয়ারম্যান শেষ পর্যন্ত কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচনের ব্যাপারে, সেটি একটি বড়
ইস্যু হিসেবে সামনে আসতে পারে৷
কারণ ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের
তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই নির্বাচনে তৎকালীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ
এরশাদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। এটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার
ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রেখেছিল। এবার যদি জাতীয় পার্টির সেরকম কিছু করে, তাহলে নির্বাচন
আরও বেশি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এই কারণেই আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি যেন নির্বাচনে থাকে
সেজন্য সর্বোচ্চ ছাড় দিতেও প্রস্তুত বলে জানা গেছে।
নির্বাচন জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ সমঝোতা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফিলিস্তিনের পতাকা ছাত্রলীগ
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান
পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র
বাতিল করেন।
জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর
ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর
ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-
১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন
২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ
গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল
৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান
সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল
৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন
বৈধ হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর
তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন
পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা
ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা
তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে
বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা
ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।
প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল
অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে
আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান
পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের শাহদাত হোসেন
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির
স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে
জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির
ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের
কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে
না কেন?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের
সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার
নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে
মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব
নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে
বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়।
যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন
করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী
লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য
দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ
দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি ওবায়দুল কাদের বিএনপি
মন্তব্য করুন
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম
ধাপের ভোট। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে
হবে।
কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ওই
ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার
সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে।
সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের
সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে
নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিজাইডিং
অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন।
সেগুলো হচ্ছে…
১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে।
২। স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে।
৩। ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে।
৪। ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে।
৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে।
আর এসবের যে কোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর
ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি (সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে
পরবর্তীতে নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী
প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে
উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১
শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক
ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন
এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত
হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী
সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়া, যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের
ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিষ্ট্রারে ভোটারের নাম
ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন।
প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট
হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার
সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর
সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া,
ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব
দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ
নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায়
ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমশিন ইভিএম প্রিজাইডিং অফিসার
মন্তব্য করুন