বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ ইবরাহিম বলেছেন, ‘
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন সৈয়দ ইবরাহিম যা আজ (৭ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে প্রকাশ পেয়েছে।
ওই আলাপনে বাংলাদেশ
কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ ইবরাহিম বলেছেন, ‘২০০৮ সালে প্রথম নির্বাচনে
অংশ নিয়ে জামানত হারিয়েছি।
হার জেনেও নির্বাচনে গিয়েছিলাম। ২০১৪ সালে নির্বাচনে
যাওয়ার জন্য অফার করা
হয়েছিল কিন্তু ২০-দলীয় জোটের
কথা শুনে যায়নি। ২০১৮
সালেও জোট ছেড়ে নির্বাচনে
আমাকে অফার করা হয়েছিল,
তা গ্রহণ করিনি। তবে আমি হেরেছি।
২০২৩ সালের ভোট সুষ্ঠু হবে
বলে প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশন
প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে— এটার ওপর আমি
আস্থা রাখছি। ২০১৮ সালে বিএনপি
বিশ্বাস করেছিল, এবার আমি বিশ্বাস
করছি।’
তিনি
বলেন, সচেতনভাবে ও ঠাণ্ডা মাথায়
চিন্তা করে নির্বাচনে যাওয়ার
জন্য ঘোষণা দিয়েছি। নির্বাচনে আসার আগে আমার
পার্টির বিভিন্ন সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করেছি।
তাদের সম্মতিতে আমার দলসহ নির্বাচনে
যাচ্ছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২২
নভেম্বর নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছি।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো— আমাকে লাখ লাখ ব্যক্তি সমালোচনা করেছেন। আমাকে বিদ্রূপ করেছেন। আমাকে হুমকি দিয়েছেন। শুধু আমাকে নয়, আমার দলের সবাইকে বিদ্রূপ করছে। আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাদের যত গালাগাল করেছে, মনে হয় না এই শুভাকাঙ্ক্ষীরা এত গালাগাল আওয়ামী লীগকে করেছে। এই রহস্য আমার কাছে জানা নেই।
তিনি আরও যোগ করেন, এ ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নাম প্রতিটি গ্রাম-ওয়ার্ডে পৌঁছে গেছে। এ জন্য সমালোচনাকারীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই ।
প্রসঙ্গত.
দীর্ঘদিন ধরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
জন্য আন্দোলন করে আসা বাংলাদেশ
কল্যাণ পার্টি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২
নভেম্বর জোটগতভাবে অংশ নেওয়ার ঘোষণা
দেয়। তিনটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত
‘যুক্তফ্রন্ট’ নামের নতুন জোট নিয়ে
অংশগ্রহণ করবে তারা।
সৈয়দ ইবরাহিম নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতি বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।