বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা ৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা নানা ষড়যন্ত্র করছে, আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। যারা আমাদের ক্ষতি করতে চাইবে আমরা তাদের প্রতিহত করব। ৭ই জানুয়ারির নির্বাচন এত সহজ নয়। নির্বাচনকে ভন্ডুল করার জন্য একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করছে। এই সন্ত্রাসীদের আমাদের রুখতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কাজ করবে কিন্তু আমাদের বসে থাকলে চলবে না।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগর, শাহজাহানপুর ও আরামবাগে স্থানীয় নির্বাচনী কার্যালয় পরিদর্শন এবং দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনগণের সাথে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রবিন্দু হলো ঢাকা-৮ আসন। এখানে আপনাদের অনেক অসুবিধা রয়েছে, নাগরিক অনেক সুবিধা থেকে আপনারা বঞ্চিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের সাথে সমন্বয় করে আপনাদের জন্য কাজ করব। আমি চেষ্টা করব আপনাদের জন্য কিছু করার। আপনারা চান যাতে রাস্তাঘাট ভালো থাকে, বিদ্যুৎ ও গ্যাস ঠিকঠাকভাবে পাওয়া যায়। আপনাদের এই সমস্যাগুলো যাতে দূর হয় তার জন্য আমি কাজ করবো। আমায় একটু সময় দিবেন। ইনশাল্লাহ সব সমস্যা দূর করে ঢাকা-৮ কে স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল তৈরি করবো।
তিনি বলেন, এই আসনে নৌকা বিজয়ী হবে নেতাকর্মীদের পরিশ্রমের মাধ্যমে। এ পরিশ্রমের ঋণ আমি শোধ করতে পারব কিনা জানিনা তবে সারা জীবন আমি আপনাদের কাছে ঋণী হয়ে থাকবো। আমরা ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট ও দোয়া চাইবো। আমরা সকলের কাছে যাবো এবং সবাইকে একসাথে নিয়ে কাজ করব ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো। আমরা দেশের দারিদ্র দূর করতে চাই এবং নারীদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করতে চাই। দেশের প্রতিটি নাগরিক যাতে উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবন পায় তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।
নিজের সম্পর্কে নাছিম বলেন, আমি রাজনীতির মানুষ। আমি ছোট থেকেই মাঠে ময়দানে রাজনীতির মাধ্যমে বেড়ে উঠেছি। সব শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে চলেছি। আমার কাছে মানুষের মূল্য অনেক বেশি। আমি কখনো কোন মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করিনি ও বিভেদ সৃষ্টি পছন্দ করি না। যে মানুষ যে পেশারই হোক আমার কাছে সকলেই সমান এবং আমি সবাইকে শ্রদ্ধা করি। তবে যারা অসৎ লোক, মিথ্যা কথা বলে ও মানুষের ক্ষতি করে আমি তাদের পছন্দ করি না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে যদি কোনো কারণে ভুল বোঝাবুঝি বা মনোমালিন্য হয়ে থাকে তার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। ধৈর্যের কোন তুলনা নেই। নির্বাচন আসছে। আমাদের সব ভুলে গিয়ে এক হয়ে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তানেরা সবসময় এক হয়ে কাজ করে।
মতবিনিময় সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিন সহ সভাপতি আওলাদ হোসেন, ডাঃ দিলীপ রায়, যুগ্ম সাধরন সম্পাদক মিরাজ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক তারেক সাঈদ, কেন্দ্রীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা সম্পাদক ওবায়দুল হক খান, কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান মিজান, শাহজাহানপুর থানা সভাপতি দিপন আলী খান, সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল মনিরসহ শান্তিনগর, শাহজাহানপুর ও আরামবাগের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ষড়যন্ত্র
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তারেক জিয়ার একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। তারেক জিয়া তার পছন্দের ব্যক্তিদেরকে দলে রাখছেন। অপছন্দের ব্যক্তিদেরকে দল থেকে বের করে দিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। গঠনতন্ত্রকে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে এবং এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা দলের ভিতরে চলছে। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ এবং কোন্দল।
সাম্প্রতিক সময়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নির্বাচিত হয়েছিলেন। দল তাকে আদেশ করেছিল দায়িত্ব গ্রহণ না করার জন্য। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির পদটি গ্রহণ করেন। আর তার এই পদ গ্রহণের কারণে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম তাকে অব্যাহতি দিয়েছিল। কিন্তু এই অব্যাহতি শেষ পর্যন্ত টেকেনি। এখন তাকে দলে রাখার সিদ্ধান্ত যেমন নেওয়া হয়েছে, তেমনই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তারেক জিয়ার এই সিদ্ধান্তে বিএনপির আইনজীবীদের একাংশ যারা মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে তারা ক্ষুব্ধ হয়েছে। বিশেষ করে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আলীসহ সিনিয়র আইনজীবীরা বলছেন, তারেক জিয়ার নির্দেশেই তারা খোকনের ব্যাপারে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আবার তারেক জিয়াই তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন। মাঝখান থেকে তারেক জিয়া তাদেরকে অসম্মান করবেন বলেও এই সিনিয়র আইনজীবী মনে করেন।
তারেক জিয়ার পরামর্শেই তারা মাহবুব উদ্দিন খোকনকে দায়িত্ব না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারেক জিয়াই এখন মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঙ্গে কথা বলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব পদে যেমন আছেন, তেমনই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদেও বহাল থাকছেন।
বিএনপির মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে মাহবুব উদ্দিন খোকন যদি নির্বাচন করে এবং জিতে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে তাহলে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীরা কী দোষ করল? বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত হল বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। আর এই ধারাবাহিকতায় বিএনপির বিভিন্ন পেশাজীবীদের নির্বাচনও বর্জন করছে। এর আগে বিএনপি নিয়ন্ত্রিত ড্যাব চিকিৎসকদের বিএমএ নির্বাচনও বর্জন করেছিল।
প্রকৌশলীদের নির্বাচনেও বিএনপি সরে গিয়েছিল। আর এরকম একটি পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কেন বিএনপি অংশগ্রহণ করল? সেটি যেমন একটি বড় প্রশ্ন, তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হল যে- একই সিদ্ধান্ত একেক জনের ব্যাপারে এক রকম হবে কেন? এ নিয়ে বিএনপির নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন?
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ দলের কিছু বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদেরকে বলেছেন, এই সমস্ত কীভাবে হচ্ছে আমি জানি না। আপনাদের যদি কোনও কিছু বলার থাকে আপনারা লন্ডনে যোগাযোগ করেন। এখন বিএনপিতে কেউ দায় নিতে চাচ্ছে না। কেউ জানছেও না যে কাকে কখন কীভাবে বহিষ্কার করা হচ্ছে। যার ফলে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে দলটির মধ্যে।
উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করেছেন সে রকম ৭৩ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, উপজেলা নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি নির্দলীয় ধরনের নির্বাচন। এই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক তারা ব্যবহার করবে না।
অনেক বিএনপি নেতা মনে করেন যে, দলীয় প্রতীক ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তটাই সঠিক ছিল। কিন্তু কেউ যদি ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে সেটি তার নিজস্ব ব্যাপার। এ জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা বাঞ্ছনীয় নয় বলেই বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা মনে করেন। আর একারণেই বিএনপির সব নেতারাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন এবং তারা এখন তিক্ত-বিরক্তও বটে।
বিএনপি রাজনীতি মির্জা ফখরুল তারেক জিয়া ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সভা উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
তারেক জিয়ার একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। তারেক জিয়া তার পছন্দের ব্যক্তিদেরকে দলে রাখছেন। অপছন্দের ব্যক্তিদেরকে দল থেকে বের করে দিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। গঠনতন্ত্রকে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে এবং এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা দলের ভিতরে চলছে। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ এবং কোন্দল।