ইনসাইড পলিটিক্স

নৌকা পেয়েও হারানোর ভয়ে আওয়ামী লীগের বহু প্রার্থী

প্রকাশ: ১২:১৩ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেয়েও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থী। ‘নৌকা’ প্রতীক পেয়েও তা হারানোর ভয়ে দিন কাটছে তাদের। ভোটের আগে আপাতত নৌকা প্রতীক ধরে রাখাই এসব প্রার্থীর জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেজন্য নানাভাবে জোর লবিং ও তদবিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন এসব প্রার্থী।

আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানায়, বিরোধীদল বিএনপি ও সমমনা অন্য দলগুলোর নির্বাচন বর্জনের মুখে এবারের নির্বাচনে ২৯৮ আসনে ৩০৪ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ৫টি আসনে দুজন করে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলো আপাতত আলাদা প্রার্থী দিলেও শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শরিক ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতা করেই নির্বাচন হতে পারে। এমনকি সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আসন ভাগাভাগি করে হতে পারে নির্বাচন। এমনটাই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

ইতোমধ্যে ১৪ দলের শরিক নেতারা জোটপ্রধান, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির জন্য জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে ৩০৪ জনকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হলেও আসন ছাড়ের কারণে কপাল পুড়তে পারে আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থীর। এর মধ্যে দলের গুরুত্বপূর্ণ ও হেভিওয়েট প্রার্থীও থাকতে পারেন। সেই আশঙ্কায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাদের। অনেকেই পাওয়া ‘নৌকা’ ধরে রাখার লড়াইয়ে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের বাসা ও অফিসে কাছে ধরনা দিচ্ছেন তারা। যে কোনো উপায়েই হোক না কেন, শরিকদের ঠেকাতে মরিয়া এসব প্রার্থী। অবশ্য শেষ পর্যন্ত জাপা বা শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন না হলে নৌকার এসব প্রার্থী দুশ্চিন্তামুক্ত হবেন না।

সূত্র জানায়, বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ সরকারের শরিক দলগুলোর ৩২ জন সদস্য রয়েছেন। এসব আসনে সবাইকে বহাল রেখেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আরও বেশি আসন দাবি করছে দলগুলো। এর মধ্যে দলীয় বিরোধের কারণে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ, তার ছেলে সাদ এরশাদ, মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ বর্তমান ৫ এমপি দলের মনোনয়ন তোলেননি। তবে জাতীয় পার্টির আসন হিসেবে এই ৫টি আসনসহ বর্তমান সবকটি আসনই চায় দলটি।

বর্তমান সংসদে সরকারের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি মঞ্জু ও তরীকত ফেডারেশনেরও প্রতিনিধি রয়েছেন। তার সবকটির সঙ্গে নতুন করে আরও কিছু আসন চায় দলগুলো। এর পাশাপাশি আলোচিত রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফও সরকারের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির নির্বাচন চায়। এর মধ্যে তৃণমূল বিএনপির তিন শীর্ষ নেতা ছাড়াও প্রার্থী হিসেবে ৫ জন এবং বিএনএমের প্রার্থী হিসেবে ৬ জন সাবেক সংসদ সদস্যও রয়েছেন। ফলে জোটের ও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর নানা সমীকরণে অন্তত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া চল্লিশেরও বেশি প্রার্থী দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন।

ইতোমধ্যে ঝালকাঠি-১ আসনে দলের সাবেক সদস্য বিএইচ হারুনকে বাদ দিয়ে নতুন করে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শাহজাহান ওমরকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানিয়েছে, ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন গতবার ঢাকা-৮ আসনের এমপি থাকলেও এবার সেখানে আওয়ামী লগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমকে মনোনয়ন দেওয়ায় মেনন সেখানে আর প্রার্থী হননি। তিনি ঢাকা থেকে সরে গিয়ে বরিশালের দুটি আসনে মনোনয়ন জমা দেন। ফলে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া সরদার মো. খালেদ হোসেন ও বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার মো. ইউনুস আতঙ্কে রয়েছেন। দলের আরেক নেতা ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী-২ আসনে এবারও প্রার্থী। ফলে এ আসনে নৌকার মনোনয়ন পাওয়া মোহাম্মদ আলী রয়েছেন ঝুঁকিতে। সাতক্ষীরা-১ আসনে বর্তমান এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহের আসনে মনোনয়ন পাওয়া ফিরোজ আহমেদ স্বপন রয়েছেন চূড়ান্ত মনোনয়ন হারানোর ঝুঁকিতে।

এদিকে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর আসনে কাউকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তবে দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তারের ফেনী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আলাউদ্দীন আহমেদ নাসিমকে। বগুড়া-৪ আসনে জাসদের রেজাউল করিম তানসেনের আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন হেলাল উদ্দিন কবিরাজ।

১৪ দলের শরিক তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন খাদিজাতুল আনোয়ার। এ ছাড়া এ আসনে নতুন নিবন্ধন পাওয়া বিএসপির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদও একই আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তিনি আবার ঢাকা-১৪ আসনেও মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ফলে শরিকদের ও সমমনাদের ছাড়লে তাদের দুজনই চূড়ান্ত মনোনয়ন হারাতে পারেন।

সরকারের শরিক জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু) এবারও পিরোজপুর-৩ আসনে প্রার্থী। ফলে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া আশরাফুর রহমান ঝুঁকিতে আছেন।

এদিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী আলোচিত রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপি সরকারবিরোধী দল হিসেবে ভূমিকার কথা বললেও সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় নির্বাচনে যাচ্ছে বলে আলোচনা রয়েছে। এ দলটির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী সিলেট-৬ আসনে প্রার্থী হয়েছেন।

এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং দলের মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী হওয়ায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর চূড়ান্ত মনোনয়ন নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। আর দলের নির্বাহী চেয়ারম্যান অন্তরা হুদা মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। এ আসনে বর্তমান এমপি বিকল্পধারার মাহী বি. চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল হলেও তিনি আপিল করেছেন। ফলে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনীত মহিউদ্দীন আহমেদ শেষ পর্যন্ত প্রার্থী থাকছেন না বলে অনেকের ধারণা।

এ ছাড়া দলের আরও পাঁচ প্রার্থী রয়েছেন যারা অতীতে বিভিন্ন সময় সংসদ সদস্য ছিলেন। এবারও তাদরে সবাইকে চায় দলটি। এর মধ্যে সমঝোতা হলে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে এম এ আউয়ালের (মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় আপিল করেছেন) জায়গায় আনোয়ার হোসেন খান, নীলফামারী-১ আসনে এমকে আলম চৌধুরীর জায়গায় আফতাবউদ্দীন সরকার, মেহেরপুর-২ আসনে আব্দুল গনির জায়গায় আবু সালেহ নাজমুল হক, মৌলভীবাজার-২ আসনে এম এম শাহীনের জায়গায় শফিউল আলম চৌধুরী (এ আসনে বর্তমান এমপি গণফোরামের মোকাব্বির খান) ঝুঁকিতে থাকতে পাারেন।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম কক্সবাজার-১ ও চট্টগ্রাম-৫ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে কক্সবাজার-১ আসনে এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমদ হাইকোর্টের রায়ে মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন। আর চট্টগ্রাম-৫ আসনে বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী। ফলে মোহাম্মদ আব্দুস সালাম ঝুঁকিতে রয়েছেন।

এ ছাড়া আলোচিত আরেক দল বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আবু জাফর ফরিদপুর-১, মহাসচিব মো. শাহজাহান চাঁদপুর-৪ আসনে, দলের নেতা ও সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বরগুনা-২ আসনে, কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী পাবনা-২ আসনে, সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াহহাব ঝিনাইদহ-১ আসনে, দেওয়ান শানমসুল আবেদীন সুনামগঞ্জ-৪ আসনে, মামুনুর রশিদ জামালপুর-৪ আসনে, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী নীলফামারী-১ আসনে এবং এইচ এম গোলাম রেজা সাতক্ষীরা-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ায় এসব আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা খানিকটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। আর জাতীয় পার্টির বর্তমান আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া নেতারাও রয়েছেন বিপাকে।

এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, অন্যান্য দলের মতো ১৪ দল আসন ভাগাভাগির জোট নয়। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করেই আসন চূড়ান্ত করা হবে। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। ১৭ তারিখের আগে জোট শরিকদের আসন ছাড়ের বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না। আর আসন চূড়ান্ত হলে দলের সিদ্ধান্তও মানতে হবে সব প্রার্থীকে। না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আওয়ামী লীগ   দ্বাদশ   জাতীয় সংসদ নির্বাচন   নৌকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক   কারাগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন