দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসন সমঝোতা নিয়ে বিপাকে পড়েছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিকরা। নেতৃস্থানীয় অনেকেই ধারণ করছেন, নাটকীয়তা না ঘটলে জাতীয় পার্টি ও আদর্শিক জোটের শরিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগ ৪৫টি আসন ছেড়ে দিতে পারে।
এর মধ্যে
৩৫টি আসন পেতে পারে
জাতীয় পার্টি। ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি,
তরীকত ফেডারেশন একটি, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি (জেপি) দুটি এবং অন্য
দু-একটি দলকে এক
থেকে দুটি আসন ছাড়
দেওয়ার আলোচনা রয়েছে। এছাড়াও নির্বাচনে অংশ নেওয়া কল্যাণ
পার্টিকে একটি, বিএনএফ এবং তৃণমূল বিএনপিকে
দুটি আসন ছাড় দেওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে।
গণমাধ্যমের
প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, বিএনপি না
থাকায় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে
অনেক হিসাব-নিকাশ করতে হচ্ছে আওয়ামী
লীগকে। কোন দল বিরোধী
দল হিসেবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবে, সে হিসাবটাও মাথায়
রাখছেন তারা। আসন বণ্টন নিয়ে
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোটের
শরিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও হয়েছে।
এই শরিক দলগুলোকে পাঁচ-ছয়টি আসন দেওয়া
হতে পারে। যেসব আসনে তাদের
প্রার্থী করা হবে, সেখানে
নৌকার প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন।
মনোনয়ন
বোর্ডের এক প্রবীণ সদস্য
একটি গণমাধ্যমকে
বলেছেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আলোচনা চলছে। তাদের সঙ্গে সমঝোতা হলে, সংশ্লিষ্ট আসনে
আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন, না ডামি ক্যান্ডিডেট
হিসেবে থাকবেন, তা আলোচনার ভিত্তিতে
সমাধান হবে। এখন চলছে
চূড়ান্ত দেন-দরবার। সে
ক্ষেত্রে ৪৫-৪৬টি আসন
আমাদের ছাড় দিতে হতে
পারে। আদর্শিক ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের
পাঁচটি আসনে ছাড় দেয়ার
সম্ভাবনাও রয়েছে।
এই পাঁচটির মধ্যে কুষ্টিয়া-২ আসনে জাসদ
সভাপতি হাসানুল হক ইনু। বরিশাল-২ অথবা বরিশাল-৩ আসন থেকে
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স
পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগের
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম
বাহাউদ্দীন নাছিম নৌকার প্রার্থী। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু লড়তে চান পিরোজপুর-২ আসন থেকে।
এছাড়াও তরিকত ফেডারেশনের
সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি চান
চট্টগ্রাম-২ আসন। এর দুই একটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রয়েছেন।
যদি সমঝোতার মাধ্যমে উপরোক্তদের জন্য আসন ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে তা নৌকার প্রতীকের প্রার্থীদের
ছেড়ে দিতে হবে।
নির্ভরযোগ্য
সূত্র বলছে, জাসদের সাধারণ
সম্পাদক শিরিন আখতার ফেনী-১ আসনের
বর্তমান সংসদ সদস্য। তিনি নৌকা প্রতীক চাইলেও তাকে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য
করার প্রস্তাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এছাড়াও দ্বাদশ
নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করলেও আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ৩৫টি
আসনে ছাড় পেতে চাচ্ছে।
এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয়
পার্টির বর্তমান এমপি এ কে
এম সেলিম ওসমানকেই দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। বর্তমানে জাতীয় পার্টির ২৩টি আসনের মধ্যে
অন্তত ২২ জন নৌকার
মাঝিকে সমঝোতার মাধ্যমে নৌকা থেকে বাদ দেওয়া
হতে পারে ।
আওয়ামী
লীগ মনোনীত এসব প্রার্থী হলেন-
ঢাকা-৪ সানজিদা খানম,
ঢাকা-৬ মোহাম্মদ সাঈদ
খোকন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আবদুল্লাহ আল-কায়সার, সুনামগঞ্জ-৪ মোহম্মদ সাদিক,
ফেনী-৩ মো. আবুল
বাশার, চট্টগ্রাম-৫ মোহাম্মদ আবদুস
সালাম, ঠাকুরগাঁও-৩ মো. ইমদাদুল
হক, নীলফামারী-৩ মো. গোলাম
মোস্তফা, নীলফামারী-৪ মো. জাকির
হোসেন বাবুল, লালমনিরহাট-৩ মো. মতিয়ার
রহমান, রংপুর-১ মো. রেজাউল
করিম রাজু, রংপুর-৩ তুষার কান্তি
মন্ডল, কুড়িগ্রাম-২ মো. জাফর
আলী, গাইবান্ধা-১ আফরোজা বারী,
বগুড়া-২ তৌহিদুর রহমান
মানিক, বগুড়া-৩ মো. সিরাজুল
ইসলাম খান রাজু, সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া)
ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসাদুজ্জামান
বাবু, বরিশাল-৪ শাম্মী আহমেদ,
বরিশাল-৬ আবদুল হাফিজ
মল্লিক, পিরোজপুর-৩ মো. আশরাফুর
রহমান, ময়মনসিংহ-৪ মোহাম্মদ মোহিত
উর রহমান, ময়মনসিংহ-৮ মো. আবদুছ
ছাত্তার, কিশোরগঞ্জ-৩ মো. নাসিরুল
ইসলাম খান প্রমুখ। যদি জাপার সঙ্গে আসন সমঝোতা হয় তবে উল্লিখিত
আওয়ামী লীগ নেতাদের নৌকার
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। এছাড়াও সাতক্ষীরা-২ (সদর
আসন) থেকে নৌকার মনোনয়ন
পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা
চেয়ারম্যান (পদত্যাগ) আসাদুজ্জামান বাবু। এ আসনটি জাতীয়
পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে
নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তথ্যসূত্র বলছে,
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে জাপা নেতৃবৃন্দের একাধিকবার আলাপ-আলোচনা হলেও
তারা বলছে, তারা সরকারের সঙ্গে
কোনো সমঝোতা বা আসন ভাগাভাগির
মধ্যে নেই। নিজেদের শক্তিতে
তারা নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু
গোপন আলাপ-আলোচনায় তারা
অন্তত ৩০টি আসনে ছাড়
চাইছে আওয়ামী লীগের কাছে।
মন্তব্য করুন
পঞ্চগড় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে পৌনে চার লাখ টাকার সম্পদের মালিক ছিলেন। সদর উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে তিনি সাত কোটি ১৭ লাখ টাকার সম্পদের অধিকারী হয়েছেন। শুধু আমিরুল ইসলাম নন, দেশের বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ থেকে নির্বাচিত অনেক চেয়ারম্যানই গত পাঁচ বছরে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাঁদের সম্পদ বেড়েছে শতগুণেরও বেশি।
চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে প্রদর্শিত সম্পদের চেয়ে প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ আরো অনেক বেশি বলে অভিযোগ রয়েছে। এই চেয়ারম্যানরা আবারও এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধেই নির্বাচন প্রভাবিত করতে অর্থ ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।
অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যানদের অনেকে বলছেন, তাঁরা বৈধভাবে ব্যবসা করে এ সম্পদের মালিক হয়েছেন। চেয়ারম্যান থাকাকালে তাঁরা কোনো অন্যায় কাজে যুক্ত হননি।
জানতে চাইলে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, নির্বাচিত হলেই ধনী হওয়ার একটা সোপানে পা দেওয়া যায়। রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যান জনপ্রতিনিধিরা।
উপজেলা চেয়ারম্যানদের বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়ে যাওয়ার ঘটনাগুলো এর প্রমাণ।
আতার অর্থ বেড়েছে ১৭৬ গুণ, রয়েছে দুদকের মামলা
কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এবারও তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। গত পাঁচ বছর চেয়ারম্যান থাকাকালে তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিপুল হারে বেড়েছে।
হলফনামার তথ্যানুসারে, ২০১৯ সালে আতার নগদ টাকা ছিল পাঁচ লাখ এবং ব্যবসার জামানত ছিল ৭২ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
বর্তমানে তাঁর ব্যাংকে জমা ও নগদ অর্থের পরিমাণ সাত কোটি ২৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া এফডিআর রয়েছে এক কোটি ৩৭ লাখ টাকার। সব মিলিয়ে গত পাঁচ বছরে আতার অর্থ বেড়েছে ১৭৬ গুণ। এ ছাড়া পাঁচ বছর আগে তিনি ৩০ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্রাইভেট কারের মালিক ছিলেন। বর্তমানে তাঁর রয়েছে ৯০ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্রাডো গাড়ি।
আতার অস্থাবর সম্পদের পাশাপাশি স্থাবর সম্পদও বেড়েছে। ২০১৯ সালে তাঁর স্থাবর সম্পদ ছিল ৬৯ লাখ ৮২ হাজার টাকার। বর্তমানে তিনি সাত কোটি ১৪ লাখ ৬১ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক। গত ১১ মার্চ আতাউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সাম্মিয়া পারভীনের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা করেছে দুদক। ৬৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫৭৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা ওই মামলায় তাঁরা এখন জামিনে আছেন।
এ বিষয়ে আতাউর রহমানের বক্তব্য জানতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
চেয়ারম্যান হয়ে কোটিপতি আমিরুল
২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো পঞ্চগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন আমিরুল ইসলাম। ওই সময় দাখিল করা নির্বাচনী হলফনামা অনুসারে তাঁর স্থাবর সম্পদ ছিল তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকার। এর মধ্যে ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের ২.৫ একর কৃষিজমি এবং একটি হাসকিং মিল ও সংলগ্ন বাড়ির মূল্য তিন লাখ টাকা। তিনি আবারও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা অনুসারে বর্তমানে তাঁর স্থাবর সম্পদের পরিমান সাত কোটি ৭৫ লাখ টাকা। গত পাঁচ বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ১৯১.২০ গুণ।
হলফনামা অনুসারে বর্তমানে আমিরুল ইসলামের পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের পঞ্চগড় পৌরসভার তেলিপাড়া ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় বিসিক শিল্পনগরীতে পরিবেশবান্ধব ইট তৈরির কারখানা, ৮৮ লাখ টাকা মূল্যের ৫৭ শতক বসতভিটা, এক কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি ডুপ্লেক্স ভবন, চার লাখ টাকা মূল্যের একটি টিনশেড ভবন এবং পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১.৩১ একর জমি রয়েছে।
স্থাবর সম্পদের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অস্থাবর সম্পদও বেড়েছে আমিরুল ইসলামের। ২০১৯ সালের হলফনামা অনুসারে তিনি ২০ লাখ ২০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিক ছিলেন। বর্তমানে তিনি এক কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিক।
হলফনামা অনুসারে, ২০১৯ সালে আমিরুল ইসলামের বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ৩৫ হাজার টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
জানতে চাইলে আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাংক থেকে আমার একটি বড় ঋণ নেওয়া আছে। এ ছাড়া গরুর খামার, অটো ব্রিকস ফ্যাক্টরি, রাইস মিল ইত্যাদির মাধ্যমে আমি এসব সম্পদ গড়েছি। আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই।’
মুকুল ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান মুকুল এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন। ২০১৯ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে মুকুলের নিজের ও স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ। ২০১৯ সালে মুকুলের নগদ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা থাকা টাকার পরিমাণ ছিল এক লাখের কিছু বেশি। বর্তমানে তা কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
হলফনামার তথ্যানুসারে, ২০১৯ সালে জিয়াউল হাসান মুকুলের নগদ অর্থ ছিল ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ছয় হাজার ৬৮৫ টাকা। ২০১৯ সালে তাঁর স্ত্রী রেখা আক্তার বানুর হাতে নগদ কোনো টাকা না থাকলেও বর্তমানে তাঁর হাতে রয়েছে চার লাখ ২৬ হাজার ৩৪৪ টাকা। ২০১৯ সালে মুকুলের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ৮৫ হাজার ৭৫৩ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৯০ লাখ টাকা। সে হিসাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর টাকার পরিমাণ বেড়েছে ১০৫ গুণ।
জানতে চাইলে জিয়াউল হাসান মুকুল বলেন, ‘আইনজীবীর ভুলে ২০১৯ সালের সঙ্গে ২০২৪ সালের হলফনামার তথ্যে গরমিল দেখা দিয়েছে। আসলে আমার এত সম্পদ নেই।
সম্পদ বেড়েছে আরো যেসব উপজেলা চেয়ারম্যানের
হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে দেশের বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অর্থ-সম্পদের পরিমাণ বিপুল বেড়েছে।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামশুদ্দোহা চৌধুরী, সিরাজগঞ্জের একাধিক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ময়মনসিংহ ফুলপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেল, বগুড়া সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান, বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর এবং সিরাজগঞ্জের একাধিক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গত পাঁচ বছরে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
হলফনামা তথ্যা চেয়ারম্যান সম্পদ
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা আজ সোমবার বিকেল
৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানী ঢাকার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক
কার্যালয়ে এ সভা ডাকা হয়েছে।
রবিবার (৫ মে) আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত
এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সৃভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
ওবায়দুল কাদের।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য দলের পক্ষ থেকে
অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফিলিস্তিনের পতাকা ছাত্রলীগ
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান
পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র
বাতিল করেন।
জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর
ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর
ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-
১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন
২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ
গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল
৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান
সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল
৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন
বৈধ হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর
তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন
পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা
ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা
তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে
বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা
ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।
প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল
অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে
আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান
পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের শাহদাত হোসেন
মন্তব্য করুন
পঞ্চগড় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে পৌনে চার লাখ টাকার সম্পদের মালিক ছিলেন। সদর উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে তিনি সাত কোটি ১৭ লাখ টাকার সম্পদের অধিকারী হয়েছেন। শুধু আমিরুল ইসলাম নন, দেশের বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ থেকে নির্বাচিত অনেক চেয়ারম্যানই গত পাঁচ বছরে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাঁদের সম্পদ বেড়েছে শতগুণেরও বেশি।