আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে
যে সকল প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল তাদের মধ্যে যারা আপিল করেছেন, গত পাঁচ দিনে
তাদের মধ্যে ২৫৭ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। তবে পাঁচ হেভিওয়েট প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ
হবে আজ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর)।
এই পাঁচ প্রার্থীর বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ
পড়েছিল নির্বাচন কমিশনে সেগুলো হলো- দ্বৈত নাগরিকত্ব, মামলার তথ্য গোপন ও হলফনামায়
তথ্য গোপন। এই পাঁচজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা আপিল আজ নিষ্পত্তি করবে কাজী হাবিবুল
আউয়াল কমিশন।
ওই পাঁচ হেভিওয়েট প্রার্থীরা হলেন-
শাহজাহান ওমর
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী
লীগের প্রার্থী শাহজাহান ওমরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন আওয়ামী
লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুজ্জামান মনির। প্রতিনিধির মাধ্যমে ইসিতে আপিল করেন আওয়ামী
লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। শাহজাহান ওমর হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করায় তার প্রার্থিতা
বাতিল চেয়ে আবেদনটি করা হয়েছে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা। শাহজাহান ওমরের প্রার্থিতা
বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিলের বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত দেবে ইসি।
এ কে আজাদ
ফরিদপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের
প্রার্থিতা বাতিল চেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক। তবে এর আগে শামীমের প্রার্থিতা
বাতিল চেয়ে আপিল করেন আজাদ। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ তুলে এ কে আজাদের প্রার্থিতা
বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন শামীম হক।
মূলত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ মনোনয়নপত্রে দ্বৈত নাগরিকত্ব (আমেরিকা) সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ করে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ওই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামীম হক নির্বাচন কমিশনে আপিল দায়ের করেন। ইসির চিঠিতে এই তথ্য জানা যায়। নির্বাচন কমিশন ওই প্রার্থীর আমেরিকার দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের সহায়তায় সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। আপিল শুনানি শেষে ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে।
শামীম হক
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া ফরিদপুর-৩ আসানের প্রার্থী শামীম হক হলফনামায় তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়ন বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেন এ কে আজাদ। মনোনয়নপত্রে তার দ্বৈত নাগরিকত্ব (নেদারল্যান্ডস) সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছেন মর্মে অভিযোগ করে বাতিল চান স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ। নির্বাচন কমিশন আজাদের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থীর নেদারল্যান্ডসের দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহায়তায় সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। শামীম হকের বিষয়েও ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের সদয় নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকার নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহায়তায় শামীম হকের নেদারল্যান্ডসের দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে জরুরিভিত্তিতে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।
শাম্মী আহমেদ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ মনোনয়নপত্রে তার দ্বৈত নাগরিকত্ব (অস্ট্রেলিয়া) সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছেন মর্মে অভিযোগ করে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ রিটার্নিং অফিসারের নিকট আবেদন করলে, রিটার্নিং অফিসার শাম্মী আহমেদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বাতিল করে।
রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে শাম্মী আহমেদ নির্বাচন কমিশনে আপিল দায়ের করেন। নির্বাচন কমিশন বর্ণিত আপিলকারীর দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। বর্ণিত আপিল শুনানি শেষে আজ নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে।
পঙ্কজ দেবনাথ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ আসনের
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে আপিল করেন বাছাইয়ে বাদ পড়া
নৌকার প্রার্থী শাম্মী আহমেদ। হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগের বিষয়ে আপিল শুনানির নির্ধারিত
দিন নির্ধারণ থাকলেও আপিল শুনানিটি পেন্ডিং রাখে কমিশন। ইসি জানায়, পঙ্কজ দেবনাথের
বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদন শুনানি শুক্রবার করা হবে। সকাল ১০-১১ টার মধ্যে শাম্মী আহমেদ
ও পঙ্কজ দেবনাথকে উপস্থিত থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র
বাছাই হয়েছে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এখন চলছে আপিল শুনানি, এটি শেষ হবে আজ শুক্রবার।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং
ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।
পাঁচ হেভিওয়েট প্রার্থী সিদ্ধান্ত
মন্তব্য করুন
বিএনপি আমির খসরু মির্জা ফখরুল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রথম দফায় ১৩৯টি উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যথারীতি বিরোধী দল বিহীন এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় জয়কার। আওয়ামী লীগের নেতারাই অধিকাংশ উপজেলায় নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয়েছে। কিন্তু তারপরেও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে সন্তুষ্টি নেই। আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিরক্তি কাজ করছে।
নানা কারণে উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য ইতিবাচক ফলাফল আনতে পারেনি বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তারা উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে উদ্বিগ্ন এবং দল ও গণতন্ত্রের জন্য সামনের দিনগুলোতে আরও সংকট অপেক্ষা করছে বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সামনে পাঁচটি সংকটকে উন্মোচন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে-
১. ভোটার উপস্থিতি কম: উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার এবার সর্বনিম্ন হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর যতগুলো উপজেলা নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে এবার ভোট পড়েছে সবচেয়ে কম। ২০০৮ এর ভূমিধস বিজয়ের পর প্রথম আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হয় ২০০৯ সালে। সেই উপজেলা নির্বাচনে ৬৮ ভাগের বেশি ভোট পড়েছিল। দ্বিতীয় দফায় ৬১ ভাগ ভোটার উপজেলা নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন। ২০১৯ সালে এই হার ছিল ৪০ শতাংশের বেশি।
কিন্তু এবার নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ ভোটার উপজেলা নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। এটি কখনোই স্বস্তি দেওয়ার খবর নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সাধারণত ভোটাররা উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দেয়। কিন্তু এবার উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা উৎসাহ নেয়নি। এমনকি আওয়ামী লীগের যে রিজার্ভ সমর্থক বলে যারা পরিচিত সেই ভোটাররাও ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত ছিল না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের নেতা কর্মীদেরকে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, তারা যেন ভোটকেন্দ্রে যায় সে জন্য উৎসাহিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশ মাঠে প্রতিফলিত হয়নি। ভোটার উপস্থিতি কম থাকার ফলে আওয়ামী লীগের জন্য অস্বস্তির কারণ।
২. অভ্যন্তরীণ কোন্দল: আওয়ামী লীগের জন্য এই নির্বাচন ছিল অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানোর মাধ্যম। এ কারণেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেন। তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, দলীয় প্রতীক উপজেলা নির্বাচনে ব্যবহার করা যাবে না। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা আশা করেছিলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তের ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের যে কোন্দল এবং বিভক্তি প্রকাশ্য রূপ নিয়েছিল তার কিছুটা হলেও অবসান ঘটবে।
কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো। উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগকে আরও বিভক্ত করেছে। বিশেষ করে যে সমস্ত স্থানে স্বতন্ত্রদের সাথে আওয়ামী লীগের বিরোধ ছিল, সেই বিরোধে গুলো আরও সহিংস রূপ নিয়েছে। এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি অশনী সংকেত।
৩. কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করার প্রবণতা: আওয়ামী লীগের জন্য উপজেলা নির্বাচনে একটি বড় অস্বস্তির বিষয় ছিল কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ মাঠে প্রতিফলিত হয়নি। দু একজন মন্ত্রী-এমপি ছাড়া অধিকাংশই তাদের আত্মীয় স্বজনদেরকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন এবং প্রভাব বিস্তার করে জিতিয়ে এনেছেন। এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি সতর্কবার্তা। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করার এই প্রবণতা যদি বাড়তে থাকে সেটি ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের জন্য একটি খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন।
৪. এলাকায় এলাকায় জমিদারতন্ত্র-পরিবারতন্ত্র কায়েম: এবার উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয় স্বজনদেরকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তারা এলাকায় এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছেন। এর ফলে বিভিন্ন এলাকায় একটি গোষ্ঠীতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র বা জমিদারতন্ত্র কায়েম হচ্ছে। এটিও আওয়ামী লীগের জন্য একটি খারাপ সংবাদ বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
৫. অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনে অনীহা: আওয়ামী লিগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার নেতাকর্মীদেরকে বলেছিলেন যে- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু দেখা গেছে, নির্বাচনে যারা শক্তিশালী প্রার্থী হয়েছেন তারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছেন। পেশিশক্তির প্রয়োগ ঘটিয়েছেন, কালো টাকা ছড়িয়েছেন। আর এগুলো আওয়ামী লীগের ইমেজ নষ্ট করেছে এবং জনগণের কাছে ভুল বার্তা দিয়েছে। এই সমস্ত অস্বস্তিগুলো উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে। এখন ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ কীভাবে এই সংকটগুলো কাটিয়ে উঠবে, সেটাই দেখার বিষয়।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ বৈঠকের আয়োজন করছেন। এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় এই ধরনের জুম বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকগুলোতে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সরাসরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলের মতো বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন।
প্রথম দফায় ১৩৯টি উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যথারীতি বিরোধী দল বিহীন এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় জয়কার। আওয়ামী লীগের নেতারাই অধিকাংশ উপজেলায় নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয়েছে। কিন্তু তারপরেও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে সন্তুষ্টি নেই। আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিরক্তি কাজ করছে।