দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ (আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী) আসনে ‘ঈগল’ প্রতীক পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন। সোমবার সকালে ফরিদপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে থেকে তাকে এই প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
তফসিল অনুযায়ী, গতকাল রোববার ছিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দেওয়া হচ্ছে প্রতীক বরাদ্দ। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে আনুষ্ঠানিক প্রচার চালাতে পারবেন।
আরিফুর রহমান দোলন ফরিদপুর অঞ্চলের প্রয়াত কৃতী পুরুষ কাঞ্চন মুন্সীর সুযোগ্য উত্তরসূরি। প্রপিতামহের নামে ফাউন্ডেশন গড়ে গত দুই দশক ধরে তিনি আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলস ভূমিকা রেখে আসছেন।
ফরিদপুর-১ আসনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশারর মানুষের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে আরিফুর রহমান দোলনের। দেশজুড়ে খ্যাত এই অনুসন্ধানী সাংবাদিক নিজের হাতে গড়া জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যম ঢাকা টাইমস, ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম ও সাপ্তাহিক এই সময়ের সম্পাদক।
তরুণ রাজনীতিক আরিফুর রহমান দোলন ব্যবসায় উদ্যোক্তা হিসেবেও সফল। তিনি একাধিক প্রতিষ্ঠান গড়ে হাজারো মানুষের জীবিকার সংস্থানও করেছেন। পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে সমাজ ও জনসেবা করে দোলন আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীর লাখো মানুষের কাছে প্রশংসিত।
প্রসঙ্গত, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী, গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল, ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর বাছাই, ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল ও শুনানি, ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিল ছিল। আর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের দিন ধার্য করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুসারে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটে লড়তে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ২ হাজার ৭১৬ জন। তাদের মধ্যে ৩০০ আসনে ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এরই মধ্যে ৬৬ রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ৫৯২ সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সারাদেশে ভোটগ্রহণ হবে প্রায় ৪২ হাজার কেন্দ্রে।
আসনভিত্তিক ভোটার তালিকাও চূড়ান্ত হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ ও নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৫২ জন।
সংসদ নির্বাচন ফরিদপুর-১ আরিফুর রহমান দোলন
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার শ্রীকান্ত উপন্যাসে লিখেছিলেন, বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়। রাজলক্ষী-শ্রীকান্তের প্রেম উপাখ্যানে বিরহ পর্বে শরৎচন্দ্রের এই মন্তব্যটি অমর। সাম্প্রতিক সময়ে এই মন্তব্যটি নতুন করে মনে পড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফরের প্রেক্ষিতে। ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশে এটি প্রথম সফর নয়। এর আগেও তিনি দুবার এসেছিলেন। এককভাবে এসেছিলেন ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে। সেই সফর আর এই সফরের মধ্যে যে পার্থক্য সেটি ব্যাপক বিস্তর এবং দুই মেরুর অবস্থান।
ডোনাল্ড লু বিশ্ব রাজনীতিতে আলোচিত পাকিস্তানের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে। ইমরান খানের অভিযোগ, ডোনাল্ড লু ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই বক্তব্যকে অস্বীকার করা হয়নি। এর পরেই ডোনাল্ড লু বিশ্ব রাজনীতিতে বিশেষ করে উপমহাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।
বাংলাদেশের নির্বাচনের আগেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত সরব। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন; অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ে তাকে অত্যন্ত সরব দেখা গেছে। ২৮ অক্টোবরের পর তিনি তিনটি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছিলেন। দুই দফায় বাংলাদেশে এসেছিলেন। একবার এসেছিলেন এককভাবে। যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে নতুন ভিসা নীতি গ্রহণ করে তখন তিনি জিল্লুর রহমানের তৃতীয় মাত্রা টকশোতে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশ নিয়ে তার আগ্রহ এবং নির্বাচন নিয়ে তার অবস্থান সকলের কাছেই সুস্পষ্ট ছিল।
অনেকেই মনে করতেন যে, ডোনাল্ড লু হয়ত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেবে, পাকিস্তানে যেভাবে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের পরে এবার ডোনাল্ড লু’র সফর সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রায়। তিনি ক্রিকেট খেললেন, ফুচকা খেলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজের আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন। সব পুরনো স্মৃতি ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার বার্তাও দিলেন। কিন্তু পুরনো বন্ধুদেরকে একেবারে ভুলে গেলেন। যারা নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ছিলেন তাদের সঙ্গে একধরনের বিচ্ছেদের বার্তা দিয়েই ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করলেন। এ যেন বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়।
কারণ নির্বাচনের আগে বিএনপি এবং সুশীল সমাজ ডোনাল্ড লু’র প্রেমে পাগল হয়ে গেছিল এবং ডোনাল্ড লু কে তারা মনে করতেন ত্রাতা হিসেবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে যখন ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করেছিলেন, সেই সফরে তিনি বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। বাংলাদেশের সুশীলদের- বিশেষ করে বদিউল আলম মজুমদার, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জিল্লুর রহমান, আদিলুর রহমান খানদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গভীর সম্পর্কের কথা সকলেই জানত এবং তারা বাংলাদেশে যেন একেকজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিকেন্দ্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত ছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী কী করতে পারে, নির্বাচনের পর কী কী হতে পারে, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে সরকারের কী পরিণতি হবে- ইত্যাদি নিয়ে এইসব সুশীলদের বাক্যবাণ জাতিকে শিহরিত করেছিল, আতঙ্কিত করেছিল। কিন্তু এবার তারা দেখাও পেলেন না ডোনাল্ড লু’র। তাদের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে বড়ো প্রেম তা এবার কাছে টানে নাই দূরে ঠেলে দিয়েছে।
একইভাবে বিএনপির আন্দোলনের ভারকেন্দ্র ছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রই বিএনপির আন্দোলনকে সফল করবে, বিশেষ করে ২২ সালের ১৫ মার্চ পিটার ডি হাস বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আসার পর থেকেই আস্তে আস্তে বিএনপি উজ্জীবিত হতে শুরু করে। কিন্তু ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে পিটার ডি হাস যে বিভিন্ন স্থানগুলোতে গেলেন সেখানে পুরনো প্রেমের কোন চিহ্ন ছিল না। বিএনপি নেতারাও এখন ডোনাল্ড লু’র সাথে সাক্ষাৎ করতে না পেরে ডোনাল্ড লুকেই অপ্রয়োজনীয় বলছেন, গুরুত্বহীন বলছেন। অথচ এই ডোনাল্ড লু ছিল এক সময় বিএনপির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়- এই বক্তব্যটি শুধুমাত্র যে প্রেম ভালোবাসার রোমান্টিকতার জন্য প্রযোজ্য তা নয়, এতদিন পরে প্রমাণ হল- কূটনীতির মাঠেও বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়।
ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ রাজনীতি বিএনপি বদিউল আলম মজুমদার মির্জা ফখরুল
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।
অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার শ্রীকান্ত উপন্যাসে লিখেছিলেন, বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়। রাজলক্ষী-শ্রীকান্তের প্রেম উপাখ্যানে বিরহ পর্বে শরৎচন্দ্রের এই মন্তব্যটি অমর। সাম্প্রতিক সময়ে এই মন্তব্যটি নতুন করে মনে পড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফরের প্রেক্ষিতে। ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশে এটি প্রথম সফর নয়। এর আগেও তিনি দুবার এসেছিলেন। এককভাবে এসেছিলেন ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে। সেই সফর আর এই সফরের মধ্যে যে পার্থক্য সেটি ব্যাপক বিস্তর এবং দুই মেরুর অবস্থান।