আগামী
৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী
লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কে? কাগজে কলমে
আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি যারা লাঙ্গল প্রতীক
নিয়ে লড়ছে। কিন্তু, জাতীয় পার্টি দুইশ'র বেশি
আসনে প্রার্থী দিলেও তারা লড়াই করছে
হাতেগোনা কয়েকটি আসনে। অধিকাংশ স্থানে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা নামকাওয়াস্তে
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। জাতীয় পার্টির নেতারাই বলছেন, এই নির্বাচনে জয়-পরাজয় নয়, এটি সংবিধান
সুরক্ষার নির্বাচন। কাজেই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার
জন্যই তারা এই নির্বাচনে
অংশগ্রহণ করছে, জয়ের জন্য নয়।
২৬টি আসনে জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিয়েছে। এই আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নেই। আর এ কারণেই জাতীয় পার্টি এবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। তাহলে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কে? সারা দেশের নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে গত ১৮ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দের পর দেখা গেছে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ হেভিওয়েট বিদ্রোহী প্রার্থীরা লড়ছেন ঈগল প্রতীক নিয়ে।
বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে যে, আওয়ামী লীগের প্রায় ৬৫ জন হেভিওয়েট প্রার্থী ঈগল মার্কা নিয়ে লড়াই করছেন। ৩৫ জন করছেন ট্রাক মার্ক নিয়ে, যারা এই নির্বাচনে ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছেন এবং আগামী নির্বাচন উৎসবমুখর অংশগ্রহণমূলক হবে এই সমস্ত বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কারণে। তবে সারা দেশে যারা ঈগল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন তারা স্বতন্ত্র হলেও তাদের মধ্যে এক ধরনের তেজীভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বেশ জোরেশোরেই লড়াই করছেন।
ফরিদপুরে নিক্সন চৌধুরী কিংবা ব্যারিস্টার সুমনসহ বহু স্থানে ঈগল প্রতীকের প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়াই জমিয়ে তুলেছেন। আর এ কারণেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটের মাঠে নৌকার সাথে আসলে প্রধান লড়াই হচ্ছে ঈগল প্রতীকের। যদিও ঈগল কোন দলীয় প্রতীক নয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে বিভিন্ন রকম প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে লটারীর মাধ্যমে। প্রতীক বরাদ্দের একটা অদ্ভুত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় লক্ষ্যণীয় তা হলো, যে সমস্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করছেন কিন্তু যাদের এলাকায় বেশ শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে, তাদের একটি বড় অংশই ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। আর এর ফলে নৌকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে দেখা যাচ্ছে ঈগল প্রতীক। যদিও ঈগল প্রতীকের যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন তাদের একের সঙ্গে অন্যের যোগাযোগ নেই। কিন্তু তারপরও এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোটের মাঠে একটা বড় ফ্যাক্টর হিসাবে দাঁড়িয়েছেন।
বিভিন্ন
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবার
নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চমক হবে
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ৬০ থেকে ৭০
টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা
জয়ী হলেও অবাক হওয়ার
কিছু নাই। এখন পর্যন্ত
নির্বাচন কমিশন এবং আওয়ামী লীগ
যে অবস্থানে আছে সেই অবস্থানে
যদি অনড় থাকে তাহলে
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন
হবে। এ রকম একটা
নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের
বহু প্রার্থীর ভরাডুবি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
এমনকী অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীরাও
নির্বাচনে পরাজিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে নৌকার পরই যে প্রতীকটি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে
বেশি আসন পাবে বলে
ধারণা করা হচ্ছে, সেই
প্রতীকটি হলো ঈগল প্রতীক।
আর ভোটের মাঠে এখন পর্যন্ত
দেখা যাচ্ছে নৌকার সাথে লড়াই হচ্ছে
ঈগলের।
নির্বাচন আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থী লড়াই
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
আজিজ আহমেদ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসলে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অনুসরণ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান বলেও আম আদমি পার্টির এই নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। আর এই বক্তব্য নিয়েই বিএনপির মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির নেতারা শুধু ইউটিউবেই এটি রিপোস্ট করেনি, তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারেও এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ভারত বিরোধী প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভারতের সমালোচনা করা এবং ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে এমন বক্তব্য বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের অন্য একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসও আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের সমর্থক। বিজেপি গত এক দশকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় ভারতের নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যত্যয় হবে না বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এর মধ্যে আম আদমি পার্টির বক্তব্য নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস নিয়ে অনেকেই নানারকম টীকা-টিপ্পনি কেটেছেন। কেউ কেউ মনে করেন যে, এর আগে যখন কংগ্রেসকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তখনও বিএনপির মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপি নেতারা মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল যে, কংগ্রেস চলে গেলেই আওয়ামী লীগের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বিজেপির সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এখন কেজরিওয়ালের নির্বাচনের মাঠের বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপি আশায় বুক বেঁধে আছে। মুখে মুখে ভারত বিরোধীতা করলেও ভারতের অনুগত এবং ভারতের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য বিএনপি কম চেষ্টা করেনি।
আর এখনও বিএনপি যে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায় তার প্রমাণ পাওয়া গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্যকে নিজেদের দলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য, আর ক্ষমতায় এসে তার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড- দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেউলিয়া রাজনীতির কারণে বিএনপি সবসময় অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে কেজরিওয়ালের বক্তব্য বিএনপির ইউটিউবে ছাড়ার মধ্য দিয়ে সেই দেউলিয়াত্ব আরেকবার প্রকাশিত হল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অরবিন্দ কেজরিওয়াল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
কিছুদিন আগেও বিএনপি যুক্তরাষ্ট্র বলতে অন্ধ থাকত। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে ফোন আসলে বিএনপির নেতারা নাওয়া খাওয়া ভুলে ছুটে যেতেন। এমনকি কোনদিন সকালে মার্কিন দূতাবাসে প্রাতরাশ, রাতে নৈশভোজেও দেখা গেছে বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তারা অবতার হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রই বাংলাদেশে গণতন্ত্র এনে দেবে, যুক্তরাষ্ট্রই এই সরকারের পতন ঘটাবে এমন একটা স্থির বিশ্বাস ছিল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে। কিন্তু বিএনপির মধ্যে সেই মোহভঙ্গ ঘটেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনাগ্রহী বিএনপি। এটা যেন অনেকটা আঙুল ফল টকের মতো ঘটনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে তিনি একটি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা তিন তিনবার আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র যিনি আওয়ামী লীগের তিনবার বা তার বেশি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন ওবায়দুল কাদেরও আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। এবার তিনি আরেক রকম হ্যাটট্রিক করলেন।
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।