লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকে ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে।
সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, ইতোমধ্যে ব্রিটিশ সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একটি আবেদন করা হয়েছে। সেই আবেদনে বলা হয়েছে যে, তারেক জিয়া একজন ভয়ঙ্কর দুর্বৃত্ত। লন্ডনের মাটিতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত রয়েছে এই দণ্ডিত ব্যক্তি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দপ্তর মনে করে যে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে যে নাশকতার ঘটনাগুলো ঘটছে, সেই ঘটনাগুলোতে সরাসরি তারেক জিয়া জড়িত এবং তার নির্দেশেই করা হচ্ছে। কাজেই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তিনি অপরাধী এবং এরকম অপরাধীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়াটা ব্রিটেনের গণতান্ত্রিক চেতনা এবং শান্তির প্রতি অবস্থানের পরিপন্থী। এ কারণেই ব্রিটিশ সরকারের উচিত অবিলম্বে তারেক জিয়াকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রত্যর্পণ করা।
একইভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চিঠিতে বলা হয়েছে, তারেক জিয়া সম্প্রতি বাংলাদেশ সম্পর্কে উস্কানিমূলক বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে। এই সমস্ত বক্তব্য বিবৃতিতে তারেক তথাকথিত অসহযোগ আন্দোলনের নামে জনগণকে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য প্ররোচিত করছেন। এ ধরনের তৎপরতা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের উপর সরাসরি আঘাত। আর এটি করা হচ্ছে যুক্তরাজ্যে বসে। যুক্তরাজ্য এই ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহী ব্যক্তিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতে পারে না। এই ধরনের ব্যক্তি যদি আশ্রয়-প্রশ্রয় পায় তাহলে পরোক্ষভাবে মনে করতে হবে যে, ব্রিটিশ সরকার এই ধরনের রাষ্ট্রদোহীদেরকে মদদ প্রদান করছে, যা হবে দুঃখজনক। এ কারণেই তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন বলে বাংলাদেশ সরকার মনে করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ইন্টারপোলেও তারেক জিয়ার নামে যেন নতুন করে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয় সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন তারেক জিয়া। এ ধরনের দণ্ডিত ব্যক্তি যদি বিদেশে পালিয়ে থাকেন বা বিদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। তারেক জিয়ার বিরুদ্ধেও রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। কিন্তু, পরবর্তীতে অজ্ঞাত কারণে লাল তালিকা থেকে তারেকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, তারেক লন্ডনে একজন আইনজীবীর মাধ্যমে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে লাল তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এই সময় তারেকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, তার বিরুদ্ধে মামলাটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে যে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারেকের বিচার হয়ে। তবে লন্ডনে বসে তারেক যে একটা স্বাধীন দেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক অপপ্রচার এবং দুরভিসন্ধিমূলক ষড়যন্ত্র করছে, তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। কারণ, ব্রিটিশ ভূমিতে বসিই যদি একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়, তাহলে সেটি অবশ্যই ঘৃণ্য অপরাধ এবং যুক্তরাজ্য সরকারের উচিত এই বিষয়টির নজর দেওয়া।
তারেক জিয়া যদিও রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত কিন্তু রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত একজন ব্যক্তি এভাবে যথেচ্ছাচার করতে পারেন কিনা? একটি দেশ সম্পর্কে বিষোদগার করতে পারেন কি না? সেই প্রশ্নটি উত্থাপন করা হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ এবং ব্রিটেনের মধ্যে এখন বন্দি বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা খুব কঠিন কাজ নয়। তবে সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পরে সরকার এই বিষয়টিতে আরও গুরুত্ব দেবে এবং তারেককে বাংলাদেশে নিয়ে এসে বিচারের আওতায় আনা হবে। ৭ জানুয়ারির পর এটিই সরকারের অন্যতম প্রধান একটি কাজ।
বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য তারেক জিয়া দণ্ডিত আসামি
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া মাহমুদুর রহমান মান্না
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।