নির্বাচনী প্রচারণা
শুরুর পর থেকেই দেশের বিভিন্ন আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ওপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগ,
হুমকি, হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আর এজন্য তারা দায়ী করছেন নৌকা প্রার্থীর
কর্মী সমর্থকদের। গত এক সপ্তাহে সারাদেশের বিভিন্ন নির্বাচনী আসনের ৩০টির ও বেশি তে
হামলা ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
রাজশাহী-৪ আসনের
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও টানা তিনবারের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী এনামুল হকের গাড়িবহরে হামলার
অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন এবং তিনজনকে আটক করা
হয়েছে।
নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে
আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদের কর্মীদের বিরুদ্ধে ওই আসনের স্বতন্ত্র
প্রার্থী এসএম ব্রহানী সুলতান
মামুদের (গামা) নির্বাচনী অফিস ও ব্যবসা
প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদের তিন কর্মী আহত
হয়েছেন।
রাজশাহীর
বাগমারায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর
লোকজনের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী
আহত হয়েছেন। তাহেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর এরশাদ আলীর নেতৃত্বে পিস্তলসহ অর্ধশতাধিক লোকজন
হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে জখম করে। সেই সাথে কয়েক জনের মাথায় পিস্তল ধরে
হত্যার হুমকিও দেইয়া হয়।
চাঁদপুরের মতলবে
স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য এম ইসহাক আহসানের ২০-২৫
জন কর্মীকে অপহরণ করে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আটক করে মারধরের অভিযোগ এসেছে।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে
স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী ও হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়া এম মোখলেসুর রহমানের (চিতল
মোখলেছ) উপর আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুক লাইভ করার সময় এ হামলা করা হয়।
চট্টগ্রাম-১
(মিরসরাই) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যপ্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের (ঈগল প্রতীক)
সমর্থকের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত
প্রার্থী মাহবুবুর রহমান রুহেলের (নৌকা প্রতীক) অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
কুমিল্লা-৭
(চান্দিনা) সংসদীয় আসনে হারং এলাকায় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুন্তাকিম আশরাফ
টিটুর কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. প্রাণ গোপালের কর্মীরা
এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় পৌর মেয়রের ছেলে তানিমের গাড়ি ভাঙচুর ও
কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়।
পাবনা-৩ আসনের
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে হামলা ও
পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে
স্থানীয় সাংবাদিকের বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মানিকগঞ্জের
হরিরামপুরে এমপি মমতাজের সমর্থকদের পৃথক দুই দফা হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী
লীগের কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহমদ টুলুর ৬ জন সমর্থক আহত হয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জের
গজারিয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক এড্যা. মৃণাল কান্তি দাস এর সমর্থক
ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষে ৫জন আহত হয়েছে।
এসময় গুলি ও অফিস ভাংচুর করা হয়।
তবে দেশের অনেক স্থানেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মারমুখী কর্মকান্ড ও দু পক্ষের সংঘর্ষের খবরও পাওয়া
গেছে।
বিএনপি এবারের
নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগের নেতারাই দলের মনোনীত প্রার্থীদের
বিপক্ষে লড়ছেন। আসন্ন সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার মাঝপথে এসে একের পর এক হামলার ঘটনায়
সাধারণ মানুষের মধ্যে শঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে এটি আরও প্রকট হওয়ার আশঙ্কাও করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
উত্তেজনা আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র সংঘাত নির্বাচন সংসদ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।