দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে ভোটের ময়দান, চলছে প্রচারণা। এরই মধ্যে স্থানে স্থানে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকের মধ্যে হামলা, সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
প্রতীক বরাদ্দ থেকে গতকাল সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, গোলাগুলি, নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন, ভাঙচুর ও পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে উভয় পক্ষের নেতাকর্মী; হচ্ছে পাল্টাপাল্টি মামলা। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
টাঙ্গাইল-৫ আসনে নৌকার
প্রার্থী মামুনুর রশিদ মামুনের তিন
কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গত রোববার রাতে উপজেলার বাঘিল
ইউনিয়নের জুগনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন বাঘিল ইউনিয়ন
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, কর্মী এমদাদুল ও সিয়াম।
গতকাল
কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের চান্দিনা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মুন্সীসহ চারজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত
করা হয়। আহত অন্য
তিনজন হলেন উপজেলা যুবলীগের
প্রচার সম্পাদক আবুল খায়ের, বড়করই
ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মহিউদ্দিন ও গাড়িচালক মো.
ইউসুফ। আহতরা কুমিল্লা-৭ আসনের স্বতন্ত্র
প্রার্থী মুনতাকিম আশরাফ টিটুর সমর্থক।
এছাড়াও কুমিল্লা-১০ আসনে জাতীয়
পার্টির (জাপা) প্রার্থী জোনাকি হুমায়ুনের গণসংযোগে হামলায় দু’জন আহত
হয়েছেন। গতকাল দুপুরে নাঙ্গলকোট উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়নের কাকৈরতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী
জানান, জাপা প্রার্থীর গণসংযোগে
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী হামলা চালায়। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।
বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র
প্রার্থী জিয়াউল হকের পক্ষে কাজ
করার অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের
তিন নেতাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জাসদ মনোনীত প্রার্থী
রেজাউল করিম তানসেনের কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে। গতকাল দুপুরে উপজেলার শিমলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নওগাঁ-৫ আসনের নৌকার প্রার্থী নিজাম উদ্দিন জলিল জনের পাঁচটি নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এসব ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান ছেকার আহমেদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নওগাঁ-১ আসনের নৌকার প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের একটি ক্যাম্পে আগুন ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে নওগাঁ সদরের বক্তারপুর ইউনিয়নের চকতারতা মোড়, মুক্তারপাড়া মোড়, হাল ঘোষপাড়া মোড়, তিলকপুর ইউনিয়নের ছিটকীতলা মোড়, পৌর শহরের কালীতলা এলাকা এবং পোরশার নিতপুর ইউনিয়নে এসব ঘটনা ঘটে। এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। রোববার রাতে নওগাঁ-৬ আসনের এমপি ও নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলালের নির্বাচনী ক্যাম্পের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। আত্রাই উপজেলার সাহাগোলা ইউনিয়নের হাতিয়াপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নওগাঁর রানীনগরে গতকাল স্বতন্ত্র ও নৌকা প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে মারামারিতে অন্তত ১০ জন আহত হন।
পটুয়াখালীর-৪ আসনের কলাপাড়ায় উপজেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সহসভাপতি সজীব মৃধাকে কুপিয়ে
জখম করা হয়েছে। রোববার
রাতে পৌর শহরের কুমারপট্টি
এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ভেতরে
এ ঘটনা ঘটে। সজীব
এ ঘটনার জন্য উপজেলা যুবলীগের
সহসাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম এবং উপজেলা শ্রমিক
লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জনি সরদারকে দায়ী
করেছেন।
জামালপুর-৪ আসনের সরিষাবাড়ীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মুরাদ হাছানের
(ঈগল প্রতীক) নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন আওয়ামী লীগ
প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলালের সমর্থকরা। এ ঘটনায় ডা.
মুরাদের ১০ সমর্থক আহত
হয়েছেন। গতকাল রাত ৯টায় সরিষাবাড়ী
পৌর এলাকার তাড়িয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নাটোর-৪ আসনে নৌকার
প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর সমর্থকদের তৈরি একটি বাঁশের
নৌকা রোববার রাতে পুড়িয়ে দেয়
দুর্বৃত্তরা। গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বেড়গঙ্গারামপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ডে
এ ঘটনা ঘটে। এদিকে
নাটোর-১ আসনের বর্তমান
এমপি ও নৌকার প্রার্থী
শহিদুল ইসলাম বকুলের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে নৌকার
প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকুর নির্বাচনী প্রচারের গাড়ি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা
ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে সদর উপজেলার
লাহারকান্দি ইউনিয়নের পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের বক্সআলী বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পিংকুর দাবি, এ ঘটনা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ঘটিয়েছে।
কুষ্টিয়া-৪ আসনে নির্বাচনী
আচরণবিধি মানছেন না নৌকার প্রার্থী
সেলিম আলতাফ জর্জ ও স্বতন্ত্র
প্রার্থী আবদুর রউফের কর্মী-সমর্থক। তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও পোস্টার ছেঁড়ার
পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ভোরে কুমারখালীর কয়া
ইউনিয়নের সুলতানপুর বেলতলা এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ এবং রোববার রাতে
কুমারখালী স্টেশন বাজার এলাকায় নৌকা ও ট্রাক
প্রতীকের পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনা ঘটে। এ
ছাড়া রোববার দুপুরে কুমারখালী পৌরসভার কাজীপাড়া রেলগেট এলাকায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শহিদুল ইসলামকে আটকে রেখে চাঁদা
দাবির অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সিয়ামের
বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় সহকারী
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চারটি লিখিত
অভিযোগ করেছেন ওই তিন প্রার্থী।
খুলনা-৩ আসনে নৌকার
প্রার্থী এস এম কামাল
হোসেনের একটি প্রচার ক্যাম্পে
অগ্নিসংযোগ করা হয়। রোববার
রাতে যোগীপোল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে
এ ঘটনা ঘটে। পাবনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র
প্রার্থী আবদুল হামিদ মাস্টারের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, পোস্টার
ছেঁড়া এবং এক সাংবাদিকের
বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জনকে শোকজ
করা হয়েছে। নোটিশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন চাটমোহর উপজেলার
অমৃতকুণ্ডা গ্রামের ফোরকান আলী বিশ্বাস ও
তাঁর শ্বশুর একই গ্রামের এস
এম আলম বাবলু।
চট্টগ্রাম-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের পোস্টার ও ব্যানারে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গতকাল সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোস্তফা কামালের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন মনজুর আলম।
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রোববার রাতে সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চৈতারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনে নৌকার
প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের পোস্টার ছিঁড়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাতে রামগঞ্জ উপজেলার
ভাটরা ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রাজশাহী-৬ আসনে নৌকার
প্রার্থী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের দুটি নির্বাচনী ক্যাম্পে
আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বাঘা
পৌরসভার মর্শিদপুর ও বাজুবাঘা ইউনিয়নের
জোতজয়রাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নৌকার
প্রার্থী ও বর্তমান এমপি
এ কে এম শামীম
ওসমান একটি উঠান বৈঠকে
বক্তব্য রাখার সময় কে বা
কারা দুটি ঢিল ছুড়ে
মারে। এতে এক নারী
আহত হন। গতকাল বিকেলে
সদর উপজেলার ফতুল্লার পিলকুনি পাঁচতলা এলাকায় মোবারক মিয়ার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে
নির্বাচনী প্রচার ও আধিপত্য বিস্তার
নিয়ে মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকার
প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর
সমর্থকদের মধ্যে সোমবার সারাদিন হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের সামনে উত্তেজনা দেখা যায়। ওই
আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি মমতাজ বেগম
এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহম্মেদ টুলু। এর আগে রোববার
হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে দুই প্রার্থীর অনুসারীদের
মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হন। এ
ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায়
তিনটি মামলা করেছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।