ইনসাইড পলিটিক্স

শতাধিক আসনে এগিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা

প্রকাশ: ১২:০৮ পিএম, ০১ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণা চলমান। ৭ জানুয়ারি ভোটের আনুষ্ঠানিকতাকে কেন্দ্র করে ৩০০ আসনের বিপরীতে শতাধিকে এগিয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা।

নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমের প্রতিবেদন সূত্র বলছে, অন্তত ১১৮ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা জয়ের পথে তেমন বাধা নেই। কারণ, এর অধিকাংশ আসনেই নেই শক্তিশালী বিরোধী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী। আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কয়েকজন শীর্ষ নেতা প্রদত্ত তথ্য এবং আসনভিত্তিক বিশ্লেষণে এমনটি জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে দলের ১১৮ প্রার্থীর বিজয় প্রায় নিশ্চিত। এসব আসনে আওয়ামী লীগের নিরাপদ আসনের মধ্যে রয়েছে– পঞ্চগড়-২, ঠাকুরগাঁও-১, দিনাজপুর-২, দিনাজপুর-৬, নীলফামারী-১, রংপুর-৪, রংপুর-৬, জয়পুরহাট-১, জয়পুরহাট-২, বগুড়া-৫, বগুড়া-৭, রাজশাহী-৩, রাজশাহী-৪, নাটোর-২, সিরাজগঞ্জ-১, সিরাজগঞ্জ-২, সিরাজগঞ্জ-৪, সিরাজগঞ্জ-৬, পাবনা-২, পাবনা-৪, পাবনা-৫, যশোর-২, যশোর-৪, মাগুরা-১, মাগুরা-২, নড়াইল-১, নড়াইল-২, বাগেরহাট-১, বাগেরহাট-২, বাগেরহাট-৪, খুলনা-১, খুলনা-২, খুলনা-৩, খুলনা-৬, সাতক্ষীরা-৩, বরগুনা-২, পটুয়াখালী-২, ভোলা-১, ভোলা-২, ভোলা-৩, ভোলা-৪, বরিশাল-১, বরিশাল-৫, ঝালকাঠি-১, ঝালকাঠি-২, টাঙ্গাইল-১, টাঙ্গাইল-৬, টাঙ্গাইল-৭, জামালপুর-১, জামালপুর-৩, শেরপুর-২, নেত্রকোনা-১, নেত্রকোনা-৪, নেত্রকোনা-৫, কিশোরগঞ্জ-৪, কিশোরগঞ্জ-৬, মানিকগঞ্জ-৩, মুন্সীগঞ্জ-২, ঢাকা-৩, ঢাকা-৬, ঢাকা-৭, ঢাকা-৮, ঢাকা-৯, ঢাকা-১০, ঢাকা-১১, ঢাকা-১২, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৫, ঢাকা-১৬, ঢাকা-১৭, গাজীপুর-৪, নরসিংদী-২, নরসিংদী-৫, নারায়ণগঞ্জ-২, নারায়ণগঞ্জ-৪, গোপালগঞ্জ-২, গোপালগঞ্জ-৩, মাদারীপুর-১, মাদারীপুর-২, শরীয়তপুর-১, শরীয়তপুর-৩, সুনামগঞ্জ-৩, সুনামগঞ্জ-৫, সিলেট-১, সিলেট-৪, মৌলভীবাজার-১, মৌলভীবাজার-৩, মৌলভীবাজার-৪, হবিগঞ্জ-২, হবিগঞ্জ-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬, কুমিল্লা-৩, কুমিল্লা-৮, কুমিল্লা-৯, কুমিল্লা-১০, কুমিল্লা-১১, চাঁদপুর-১, চাঁদপুর-২, ফেনী-১, ফেনী-২, নোয়াখালী-১, নোয়াখালী-৫, নোয়াখালী-৬, চট্টগ্রাম-৪, চট্টগ্রাম-৬, চট্টগ্রাম-৭, চট্টগ্রাম-৯, চট্টগ্রাম-১১, চট্টগ্রাম-১৩, চট্টগ্রাম-১৪, কক্সবাজার-২, কক্সবাজার-৩, কক্সবাজার-৪, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান।

জানা যায়, টাঙ্গাইল-১ আসনে সাবেক বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি আনোয়ারুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জয়ের সম্ভাবনা বেশি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপির। টাঙ্গাইল-৬ আসনে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান এমপি আহসানুল ইসলাম টিটু। টাঙ্গাইল-৭ আসনে আসনে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। 

দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় সহজ জয় পেতে যাচ্ছেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে সাবেক রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি, কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান পাপন এমপি এবং মানিকগঞ্জ-৩ আসনে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন এমপির। মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে বর্তমান এমপি সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এগিয়ে।

ঢাকা-৩ আসনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এমপির জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকা-৬ আসনে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বেশ এগিয়ে রয়েছেন। ঢাকা-৭ আসনের বর্তমান এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে সোলায়মান সেলিম। ঢাকা-৮ আসনে দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-৯ আসনে সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি, ঢাকা-১০ আসনে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-১১ আসনে ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১২ আসনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি, ঢাকা-১৩ আসনে কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-১৫ আসনে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপির সহজ জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকা-১৬ আসনে এগিয়ে আছেন পল্লবী থানা শাখার সভাপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ এমপি। ঢাকা-১৭ আসনেও এগিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত এমপি। তাঁর বিরুদ্ধে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। গাজীপুর-৪ আসনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি এমপি ভালো অবস্থানে রয়েছেন।

নরসিংদী-২ আসনে সহজ জয় পেতে পারেন ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ এমপি। নরসিংদী-৫ আসনে এগিয়ে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু এমপি। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে এ কে এম শামীম ওসমান এমপি এগিয়ে রয়েছেন। গোপালগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। 

গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি অনেক এগিয়ে। মাদারীপুর-১ আসনে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ও মাদারীপুর-২ আসনে দলের কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপি। শরীয়তপুর-১ আসনে ইকবাল হোসেন অপু এমপি এবং শরীয়তপুর-৩ আসনে দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাহিম রাজ্জাক এমপি।

জামালপুর-১ আসনে দলের বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি নুর মোহাম্মদ, জামালপুর-৩ আসনে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি এবং শেরপুর-২ আসনে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী এমপি জয়ের পথে। নেত্রকোনা-১ আসনে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক এমপি মোশতাক আহমেদ রুহী। নেত্রকোনা-৪ আসনে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক সচিব ও বর্তমান এমপি সাজ্জাদুল হাসান। নেত্রকোনা-৫ আসনে এগিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।

রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন এমপির বিরুদ্ধে পঞ্চগড়-২ আসনে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় তিনি সহজেই জয় পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বর্তমান এমপি রমেশ চন্দ্র সেন এগিয়ে। দিনাজপুর-২ আসনে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। দিনাজপুর-৬ আসনের বর্তমান এমপি শিবলী সাদিক এগিয়ে।

নীলফামারী-১ আসনে আফতাব উদ্দিন সরকারের অবস্থান বেশ মজবুত। রংপুর-৪ আসনে নিরাপদ অবস্থানে আছেন বাণিজ্যমন্ত্রী ও বর্তমান এমপি টিপু মুনশি। রংপুর-৬ আসনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। জয়পুরহাট-১ আসনে সামছুল আলম দুদু। জয়পুরহাট-২ আসনে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন।

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু বগুড়া-৫ আসনে এগিয়ে। বগুড়া-৭ আসনে জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডা. মোস্তফা আলম নান্নু। আসাদুজ্জামান আসাদ রাজশাহী-৩ আসনে সহজ জয় পেতে পারেন। রাজশাহী-৪ আসনে তাহেরপুরের পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। নাটোর-২ আসনে শফিকুল ইসলাম শিমুল।  সিরাজগঞ্জ-১ আসনে কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল। সিরাজগঞ্জ-২ আসনে দলের জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জান্নাত আরা হেনরী। সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে সহজ জয়ের সম্ভাবনা সাবেক এমপি শফিকুল ইসলামের। সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে এগিয়ে।

পাবনা-২ আসনে আহমেদ ফিরোজ কবির। পাবনা-৪ আসনে গালিবুর রহমান শরীফের জয়ের সম্ভাবনা বেশি। পাবনা-৫ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স।

যশোর-২ আসনে দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের জামাতা ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন। যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এনামুল হক বাবুল।

ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে মাগুরা-১ আসনে অনেকটা এগিয়ে। মাগুরা-২ আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার এমপি। নড়াইল-১ আসনে বর্তমান এমপি বি এম কবিরুল হক মুক্তির বিজয় প্রায় নিশ্চিত। নড়াইল-২ আসনে ক্রিকেট তারকা ও বর্তমান এমপি মাশরাফী বিন মুর্তজা।

বাগেরহাট-১ আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই ও বর্তমান এমপি শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি। বাগেরহাট-২ আসনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পৌত্র ও বর্তমান এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময়। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগও বাগেরহাট-৪ আসনে এগিয়ে।

সাবেক এমপি ননী গোপাল মণ্ডল খুলনা-১ আসনে এগিয়ে। খুলনা-২ আসনে বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে ও বর্তমান এমপি শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন খুলনা-৩ আসনে এগিয়ে। খুলনা-৬ আসনে দলের উপজেলা শাখার সাবেক সহসভাপতি রশীদুজ্জামান এগিয়ে। সাতক্ষীরা-৩ আসনে বর্তমান এমপি অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এগিয়ে রয়েছেন।

বরগুনা-২ আসনে সংরক্ষিত নারী আসনের বর্তমান এমপি সুলতানা নাদিরা, পটুয়াখালী-২ আসনে আ স ম ফিরোজ এমপি, ভোলা-১ আসনে দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি এবং ভোলা-২ আসনে বর্তমান এমপি আলী আজম মুকুলের জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তাদের বিরুদ্ধে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। ভোলা-৩ আসনে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি। ভোলা-৪ আসনে এগিয়ে আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি। বরিশাল-১ আসনে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি বরিশাল-৫ আসনে এগিয়ে। ঝালকাঠি-১ আসনে রয়েছেন বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তমের। ঝালকাঠি-২ আসনে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি জয়ের পথে রয়েছেন।

সুনামগঞ্জ-৩ আসনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। সুনামগঞ্জ-৫ আসনে বর্তমান এমপি মুহিবুর রহমান মানিক। সিলেট-১ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি, সিলেট-৪ আসনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি, মৌলভীবাজার-১ আসনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি, মৌলভীবাজার-৩ আসনে জিল্লুর রহমান এবং মৌলভীবাজার-৪ আসনে বর্তমান এমপি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ। হবিগঞ্জ-২ আসনে এগিয়ে আছেন দলের জেলা শাখার আইনবিষয়ক সম্পাদক ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল। হবিগঞ্জ-৩ আসনে এগিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু জাহির এমপি। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম এমপি এগিয়ে রয়েছেন। কুমিল্লা-৩ আসনে ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি এগিয়ে। কুমিল্লা-৮ আসনে আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন শামীম, কুমিল্লা-৯ আসনে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি ও কুমিল্লা-১০ আসনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি। কুমিল্লা-১১ আসনে মুজিবুল হক এমপি। চাঁদপুর-১ আসনে দলের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. সেলিম মাহমুদ। চাঁদপুর-২ আসনে দলের কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম।

ফেনী-১ আসনে এগিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিম। ফেনী-২ আসনে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী।

নোয়াখালী-১ আসনে এইচ এম ইব্রাহিম এমপি, নোয়াখালী-৫ আসনে দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি এবং নোয়াখালী-৬ আসনে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি। চট্টগ্রাম-৪ আসনে এগিয়ে আছেন উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এস এম আল মামুন। চট্টগ্রাম-৬ আসনে এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, চট্টগ্রাম-৭ আসনে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি এবং চট্টগ্রাম-৯ আসনে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি।

চট্টগ্রাম-১১ আসনে বর্তমান এমপি আবদুল লতিফ এগিয়ে। চট্টগ্রাম-১৩ আসনে এগিয়ে আছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপির জয়ের সম্ভাবনা বেশি। কক্সবাজার-২ আসনে এগিয়ে বর্তমান এমপি আশেক উল্লাহ রফিক। কক্সবাজার-৩ আসনে সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি। কক্সবাজার-৪ আসনে সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী এমপি। খাগড়াছড়িতে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, রাঙামাটিতে দীপংকর তালুকদার এমপি ও বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এমপির জয়ের সম্ভাবনা বেশি।


নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   ভোট   প্রতিযোগিতা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের পানি ও শরবত বিতরণ

প্রকাশ: ০৯:১৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহ বিপর্যস্থ জনজীবনে পরিশ্রান্ত ও তৃষ্ণার্ত জনসাধারণের মাঝে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু'র নেতৃত্বে সুপেয় পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

বুধবার (১ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্পট ঘুরে বেলা সাড়ে তিনটায় জিগাতলায় এসে শরবত ও সুপেয় পানি বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ- সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ইসহাক মিয়া, কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সহ সভাপতি শাহ আলম মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ হান্নান হাওলাদার শাওন প্রমুখ।


স্বেচ্ছাসেবক লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বেগম জিয়া কি তারেকের ভুল কৌশলের শিকার?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ আবার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে দলের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। 

কয়েক দিন পর পর হাসপাতালে যেতে হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে। তার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই নড়বড়ে বলেই মনে করছেন বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরা। বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার যে অসুখ, সেই অসুস্থতার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চিকিত্সা দরকার এবং সেই চিকিৎসা দেশের সম্ভব নয়। এজন্য তারা মনে করেন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ নেওয়া দরকার। তবে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে তারেক জিয়ার আগ্রহ নেই। বরং তারেক জিয়ার অনাগ্রহের কারণেই বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া প্রলম্বিত হচ্ছে, বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি উপায় রয়েছে। প্রথম উপায় হল, তিনি যদি তার অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তাহলে রাষ্ট্রপতি তার অপরাধের দণ্ড মওকুফ করতে পারে বা দণ্ড হ্রাস করতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিনি একজন মুক্ত মানুষ হতে পারেন। তখন তার বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকবে না।

বিএনপির অধিকাংশ নেতাই এই মতের বিরোধী। তবে বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা অর্থাৎ তার ভাই এবং বোন তার জীবনের প্রয়োজনে সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করতে চান। তারা মনে করেন যে, বেগম জিয়ার এখন যে অবস্থা তাতে রাজনীতির চেয়ে তার চিকিত্সাই সবচেয়ে জরুরি। আর এই উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি যদি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করেন তাহলে এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু তার তারেক জিয়া মনে করছে যদি বেগম জিয়া তার দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান তাহলে সেটি হবে রাজনৈতিক আত্মহত্যার সামিল। এর ফলে বিএনপির রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারেক জিয়ার ভবিষ্যৎ হবে অন্ধকার। নিজের স্বার্থে তিনি তার মায়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মনে করছেন জিয়া পরিবারের দুই সদস্য। 

বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার দ্বিতীয় উপায় হল আদালতের আশ্রয় নেওয়া। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা যেরকম তা নিয়ে যদি আদালতে আবেদন করা হয়, আদালত সমস্ত কিছু বিচার বিবেচনা করে যদি রায় দেয় যে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে, সেক্ষেত্রে সরকার কোন বাধা হবে না। কারণ আদালতের রায় চূড়ান্ত। এভাবে বহুবার উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতের রায়ে বিদেশ যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন রাজনীতিবিদদের। এটি কোন নতুন প্রক্রিয়া নয়। কিন্তু তারেক জিয়া বিএনপির আইনজীবীদেরকে এ নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য বাধা দিচ্ছেন।

বিএনপি নেতারাও এই ধরনের বাধা বিস্মিত। তারা জানেন না তারেক জিয়া কেন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাধা দিচ্ছেন এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছেন না। এ নিয়ে বিএনপির কারোরই কোন ব্যাখ্যা নেই। 

বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে দেখা গেছে, বেগম জিয়ার আইনি প্রক্রিয়া তারেক জিয়ার নির্দেশে থমকে গেছে এবং সেই থমকে যাওয়ার কারণ অজানা। 

বিভিন্ন সূত্র বলছে, খালেদা জিয়া বন্দি অবস্থায় দেশের তিলে তিলে মৃত্যুবরণ করুক- এটিই হয়তো তারেক জিয়া চান। কারণ তারেক জিয়া যদি তার মার প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা দেখাতেন সে ক্ষেত্রে তিনি সরকারের সাথে সমঝোতা না করুন কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু সেটি তিনি গ্রহণ না করাতে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে,বেগম জিয়াকে এই অবস্থায় রেখে তারেক জিয়া পূর্ণ ক্ষমতা গ্রহণ করতে চান। 

অনেকে মনে করেন যে, বেগম জিয়া যদি না থাকেন, সে ক্ষেত্রে তারেক জিয়ার একক কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। বেগম জিয়া সুস্থ হলে তারেক জিয়ার কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এ কারণেই কি তিনি বেগম জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদেশে নিতে অনাগ্রহী? এই প্রশ্নটি এখন উঠেছে। 

বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়ার তৃতীয় পথ হলো সরকারের সাথে সমঝোতা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, সেটির কোন সুযোগ নেই। কারণ ইতোমধ্যে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার মাধ্যমে জামিন নিয়েছেন। একজন দণ্ডিত ব্যক্তিকে সরকারের দুটি সুবিধা দেওয়ার কোন বিধান নেই। আর বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন যদি বেগম জিয়াকে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করানো যায় এবং তিনি যদি বিএনপি সঙ্গে সকল সম্পর্ক ত্যাগ করেন তাহলে হয়তো সরকারের সাথে একটা সমঝোতা হতে পারে। কিন্তু সেটাতেও তারেক জিয়ার সায় নেই। তারেক জিয়ার কারণেই যেমন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন তারেক জিয়ার কারণেই হয়তো বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসাও বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।




খালেদা জিয়া   বিএনপি   এভারকেয়ার হাসপাতাল   তারেক জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গটি আলোচনাই হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে কেবল সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনার জন্য নির্দেশনা দেন। ফলে আওয়ামী লীগের কোন নেতাই আর উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আলোচনায় নিয়ে আসেনি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বৈঠকে উপস্থিত অন্তত দুজন নেতা বলেছেন যে, আগামী ২৩ জুন দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কীভাবে জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা যায় ও ২১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা করা এবং শেষদিনে বড় সমাবেশ করার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। এবার আওয়ামী লীগ ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে করবে। সেই প্রসঙ্গটি সামনে নিয়ে আসা হয়।

আর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছে করেই উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আনেননি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু তাই বলে আওয়ামী লীগ সভাপতি যারা উপজেলা নির্বাচনে শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছে, দলের নির্দেশনা অমান্য করে আত্মীয় স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে মনে করলে ভুল হবে।

বিএনপিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হটকারী ভাবে। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদেরকে বহিষ্কার করে সবকিছু শেষ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন রাজনৈতিক প্রজ্ঞায়, ধীরস্থিরভাবে, আস্তে আস্তে।

জাতীয় সংসদে একবার সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন যে, বাঘে ধরলেও ছাড়ে, কিন্তু শেখ হাসিনা যাকে ধরে তাকে ছাড়ে না। যারা উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন তারা দীর্ঘমেয়াদি প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করবেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তারা শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লেখালে রাজনৈতিক পরিণতি কী হয় তা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়।

এক এগারোর সময় যারা শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন সেই সমস্ত ডাকসাইটে নেতাদের কাউকেই তিনি দল থেকে বহিষ্কার করেননি। কিন্তু দলে তাদের অকার্য করেছেন, নিষ্ক্রিয় করেছেন। তাদের প্রায়শ্চিত্ত উপলব্ধি করার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছেন। এটাই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল।

শেখ হাসিনা এক এগারোর পর সংস্কারপন্থিদেরকে দুই ভাগে ভাগ করেছিলেন। যারা কম সংস্কারপন্থী ছিলেন, কম ষড়যন্ত্র করেছেন- তাদেরকে তিনি নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ দিয়েছেন। তাদের অনেক হেভিওয়েট নেতাকে প্রেসিডিয়াম থেকে সরিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের আলঙ্কারিক পদ দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন। এই শাস্তি দল থেকে বহিষ্কারের চেয়েও ভয়ঙ্কর। তিনি রাজনীতিতে নতুন করে বিদ্রোহী এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি করার সুযোগ দেননি। বরং দলে তাদেরকে শাস্তি দিয়ে দলের ঐক্য অটুট রেখেছেন।

আর দ্বিতীয় প্রকার যারা ছিল এক এগারোর সংস্কারপন্থীর মূল হোতা তাদেরকে তিনি মনোনয়ন দেননি। মনোনয়ন না দিয়ে তাদেরকে দলে নিষ্ক্রিয় করেছেন। এদের মধ্যে অনেকে মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে নতুন দল করেছে। কিন্তু রাজনীতিতে জীর্ণ শীর্ণ ভিখারীতে পরিণত হয়েছে। এটাই শেখ হাসিনার কৌশল।

কাজেই এবার যারা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে, তারা আসলে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেনি, তারা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে। শাস্তি তাদের পেতেই হবে। তবে তারা কবে কীভাবে পাবেন এবং দীর্ঘমেয়াদে তাদের কী হবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন।

কারণ যারা আত্মীয়স্বজনদেরকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী করেছেন তারা অবশ্যই আওয়ামী লীগ সভাপতির কালো খাতায় নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয় তা অতীতে অনেক নেতাই উপলব্ধি করেছেন। অনেকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে।

বহিষ্কার হলে একজন রাজনৈতিক নেতা পরিত্রাণ পায়, নির্বাণ লাভ করে। তিনি নতুন সুযোগ পান অন্য কিছু করার। কিন্তু একজন রাজনৈতিক নেতা যখন দলেই উপেক্ষিত হন, অনাহূত হন, পরিত্যক্ত ঘোষিত হন- তখন তার রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে। আর শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হতে বাধ্য।


শেখ   হাসিনা   আওয়ামী লীগ   তৃণমূল   উপজেলা নির্বাচন   রাজনীতি   ড. আব্দুর রাজ্জাক   শাজাহান খান   জাহিদ মালেক   মোস্তফা কামাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০৭:৩৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা হয়ে ৭টা ৫ মিনিটে তিনি হাসপাতালে পৌঁছান।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের অবস্থা আগের মতই। তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা কিছু পরীক্ষা দিয়েছেন সেটা করাতে নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবে উনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই দফায় তিনদিন হাসপাতাল থাকার পর গুলাশানের বাসায় ফেরেন তিনি।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়।

৭৯ বয়সী এই রাজনীতিবিদ লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুস জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছেন। গত কয়েক বছর ধরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে।

এভারকেয়ার হাসপাতাল   খালেদা জিয়া   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আরও ৬৬ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বিএনপির

প্রকাশ: ০৭:২১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এবার একযোগে ৬৬ জন নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দু–এক দিনের মধ্যেই তাদের দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিতে দল থেকে নির্দেশনার পরও এ সব নেতারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। একই কারণে সম্প্রতি তৃণমূলের ৭৫ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দুই ধাপে বিএনপির নেতাদের বহিষ্কারের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৪১।

জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় বহিষ্কারের তালিকায় থাকা ৬৬ জনের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৯ জন। ২০ জন নেতা হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী; আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ১৭ জন। এর বাইরে দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী হওয়া নেতাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের ২ জন প্রার্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, এবার কমবেশি ৪৮০ উপজেলা পরিষদে চার ধাপে ভোট হবে। প্রথম ধাপে ভোট হবে ৮ মে। এরপর ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে, ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যে সব ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।

বহিষ্কার   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন