ভোলায় মোট
৫২৬টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল এবং উৎসবমুখর পরিবেশে
ভোট গ্রহণ চলছে। রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল আটটায় জেলার
চারটি আসনেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল থেকে
নারী-পুরুষ ও তরুণ ভোটারদের
দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশা
উপেক্ষা করেই ভোটারা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দেন।
ভোলা-
১ (সদর) আসনের হেভিওয়েট
প্রার্থী আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ বাংলাস্কুল কেন্দ্রে সকাল সোয়া ৯টায়
ভোট প্রদান করেন ভোট দেওয়ার
পরে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি
বলেন, মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে
ভোট কেন্দ্রে এসেছে এবং ভোট দিচ্ছে।
বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল।
তারা ট্রেনে আগুন দিচ্ছে। মানুষ
মারছে। তারা মানুষকে ভোট
কেন্দ্রে আসতে নিষেধ করেছে,
বাধা দিয়েছে। কিন্তু মানুষ তাদের কথা শোনেনি। শান্তিপূর্ণ
পরিবেশে একটি অবাদ, সুষ্ঠু,
নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন
হচ্ছে।
তোফায়েল
আহমেদ আরও বলেন, ১৯৭০
সালে তিনি প্রথম জাতীয়
পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। আজ ৫৪
বছর পর আবারও জাতীয়
সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে
খুবই ভাল লাগছে। এসময়
তিনি ভোলাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার কামাল হোসেন জানান, সকাল ৯টা পর্যন্ত
প্রথম এক ঘণ্টায় প্রায়
তিনশ’ ভোট পড়েছে।
অপরদিকে,
সকাল আটটায় ভোলা-৩ আসনের
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা
প্রতীকের প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ভোট প্রদান
করেন।
জেলা
রিটার্নিং অফিসার আরিফুজ্জামান জানান, সকাল আটটা থেকে
শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার
খবর পাওয়া যায়নি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের
জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী
প্রস্তুত রয়েছে।
উল্লেখ্য,
ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে ছয় স্তরের
নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ
অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই জেলায় ২৬
জন ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী এলাকায় টহল দিচ্ছেন। এছাড়াও
পুলিশ, র্যাব, বিজিবি,
কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনী ও
আনসার সদস্যরা চারটি আসনেই টহল দিচ্ছেন।
ভোলার
চারটি আসনে মোট প্রার্থী
১৬ জন। মোট ভোটার
সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৩
হাজার ৭৫২ জন। এদের
মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ লাখ ৭৬
হাজার ১৮ জন এবং
নারী ভোটারের সংখ্যা ৭ লাখ ৪৬
হাজার ১২০ জন।
বিএনপি নির্বাচন তোফায়েল আহমেদ ভোলা
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।