ইনসাইড পলিটিক্স

তারা কী মন্ত্রী হবার অযোগ্য?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১১ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

ইয়াফেস ওসমান টানা চতুর্থবারের মতো মন্ত্রী হচ্ছেন আজ। ২০০৯ সালে তিনি প্রথম বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। এরপর তিনি পদোন্নতি পেয়ে পূর্ণমন্ত্রী হন। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালেও তিনি একই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তিনি চতুর্থ দফায় মন্ত্রী হচ্ছেন। একমাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ এত দীর্ঘ সময় মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেননি। ইয়াফেস ওসমানের বার বার মন্ত্রী হওয়া যেমন এক ধরনের অলৌকিক ঘটনা ঠিক তেমনই অলৌকিক ঘটনা আওয়ামী লীগের কিছু ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাদের কখনোই মন্ত্রিত্বের স্বাদ না পাওয়া।

আওয়ামী লীগের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা মির্জা আজম। মির্জা আজম এবার সপ্তমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন। সাত বারের এমপি-তে তিনি একবার মাত্র পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বাকি সময় তিনি হুইপ বা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মির্জা আজম সম্ভবত সেই বিরল জনপ্রিয় নেতাদের একজন যিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং প্রশাসনিক দক্ষতা থাকার পরও কখনো পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি পাট ও বস্ত্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেই সময় তিনি যথেষ্ট মেধা এবং দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও তিনি মন্ত্রিসভায় ডাক পান না কেন এটা আওয়ামী লীগের কর্মীদের কাছে এক বড় প্রশ্ন।

মাহবুবউল আলম হানিফ আওয়ামী লীগের একজন জনপ্রিয় নেতার অন্যতম। বিশেষ করে ২০০৯ সালের পর আওয়ামী লীগের যে সমস্ত নেতারা পাদপ্রদীপে এসেছেন এবং নিজ যোগ্যতায় তার স্থান করে নিয়েছেন তাদের মধ্যে মাহবুবউল আলম হানিফ অন্যতম। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি এমপি হননি। আসনটি তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে তিনি আওয়ামী লীগের একজন জনপ্রিয় মুখ। কিন্তু কখনোই তিনি মন্ত্রী হতে পারেননি। 

মন্ত্রী হতে পারেননি আওয়ামী লীগের তুমুল জনপ্রিয় নেতা বাহাউদ্দিন নাছিমও। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাহাউদ্দিন নাছিম মনোনয়ন পাননি। এবার তিনি মতিঝিল আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। মন্ত্রিসভার গঠনের সময় তার নাম জোরেশোরে উচ্চারিত হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন পাননি। একই ভাবে প্রশ্ন উঠেছে যে বাহাউদ্দিন নাছিমরা কেন মন্ত্রী হন না? একদিকে যেমন তিনি জনপ্রিয় অন্যদিকে সৎ, নিষ্ঠাবান এবং সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ ব্যক্তি হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। তার এত সব কিছুর পরও মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে কেন পিছিয়ে থাকেন বাহাউদ্দিন নাছিম সেই প্রশ্ন অনেকে করেন।

তানভীর শাকিল জয় জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর দৌহিত্র এবং মোহাম্মদ নাসিমের পুত্র। ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম যখন নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ছিলেন তখন তানভীর শাকিল জয় ওই আসনে নির্বাচন করেছিলেন এবং হয়েছিলেন। এছাড়াও মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে তিনি পুনরায় এমপি নির্বাচিত হন। এবার তিনি আবার এমপি হিসাবে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগে যখন অনেক তরুণদেরকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হচ্ছে তখন তানভীর শাকিল জয় কেন অপাঙ্‌ক্তেয় এই প্রশ্ন উঠেছে। 

কাজী নাবিল আহমেদ কাজী শাহেদ আহমেদের পুত্র। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে কঠিন দিনে যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলেছিলেন তাদের অন্যতম কাজী শাহেদ আহমেদ। কাজী শাহেদ আহমেদের খবরের কাগজ ‘আজকের কাগজ’ নতুন প্রজম্মকে বঙ্গবন্ধুর কথা জানিয়েছিল। কাজী শাহেদ আহমেদ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। কিন্তু অপূর্ণতা পূরণ করেছেন কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এবারও এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এমপি হলে কী হবে মন্ত্রীর হওয়ার মতো সব যোগ্যতা থাকার পরও তিনি মন্ত্রিত্বের দৌড়ে অপাঙ্‌ক্তেয়। কেন তিনি মন্ত্রী হতে পারেন না এই প্রশ্ন অনেকের।

প্রাণ গোপাল দত্ত আওয়ামী লীগের জন্য একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। বিভিন্ন কঠিন সময়ে তিনি আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করেছেন। বিশেষ করে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার পর তার ভূমিকা উজ্জ্বল। প্রাণ গোপাল দত্ত একাধিকবার এমপি হওয়ার পরও মন্ত্রিত্বের স্বাদ পাননি। তারা কেন মন্ত্রী হন না-এই প্রশ্ন কর্মীদের মধ্যে। অবশ্য মন্ত্রী করা না করা সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। তিনি কাকে মন্ত্রী করবেন না করবেন এটা একান্তই তার সিদ্ধান্ত।

মন্ত্রিসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন