ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিকে ধোঁকা দিল কারা?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১২ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

২০১৮ এর নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে বিএনপি ধোঁকা খেয়েছিল। ওই নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। সেটি ছিল একটি রাজনৈতিক ধোঁকা। এটি বিএনপি নেতারাই প্রকাশ্যে বলছেন। ড. কামাল হোসেনকে তারা মনে করেন ভারত, পশ্চিমা দেশ এবং আওয়ামী লীগের এজেন্ট। ড. কামাল হোসেনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ফঁদে ফেলেছিল এবং সেই কারণেই তাদের একটা বড় রাজনৈতিক বিপর্যয় ঘটেছিল।

২০১৮ শুধু নয়, ২০১৪ সালে বিএনপির সিদ্ধান্ত একটি বড় রাজনৈতিক ধোঁকা। সে সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিএনপি প্রতারিত হয়েছিল বলে বিএনপির অনেক নেতাই মনে করেন। পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ের পর বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে ওই নির্বাচনের ফলাফল অন্যরকম হত। বিশেষ করে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিএনপিকে যে ছাড় দিয়েছিল সেই ছাড়টা গ্রহণ করলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক চিত্র পাল্টে যেতে বলে বিএনপির অনেক নেতা মনে করেন। কিন্তু সেই সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী বা মহল বিএনপিকে নির্বাচনে না যাওয়ার পরামর্শ দেন। নির্বাচনে না গেলে সরকারের পতন ঘটবে—এমন আশ্বাসও দেওয়া হয়। সেই আশ্বাসও ছিল একধরনের ধোঁকা বা প্রতারণা। 

বিএনপির অনেক নেতাই মনে করছেন, ২০২৪ এর ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য বিএনপিকে কেউ কেউ প্ররোচিত করেছিল। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে অনেকেই বিএনপিকে বলেছিল যে বিএনপি যদি গোঁ ধরে থাকে, নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে তাহলেই শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেবে। পশ্চিমারা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, সরকারের পতন ঘটবে। কিন্তু নির্বাচনের পরে দেখা যাচ্ছে বিএনপি ধোঁকা খাওয়ার হ্যাটট্রিক করল। তারা টানা তৃতীয়বারের মতো রাজনৈতিক ভাবে প্রতারিত হল বলে বিএনপির নেতারা মনে করছেন। এবারে বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করত তাহলে এর ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো বলে বিএনপির অনেক নেতাই মনে করেন। 

বিএনপির অন্তত দুজন স্থায়ী কমিটির সদস্য মনে করছেন যে, পশ্চিমা দেশগুলো যে অবস্থানে ছিল তাতে সরকারের সামনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন বিকল্প ছিল না। এবার যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হচ্ছে তা ২০১৪ বা ২০১৮ এর চেয়ে অনেক ভালো—এমনটি একান্ত আলাপে বিএনপি নেতারাও স্বীকার করেন। আর এই বিবেচনায় বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করত তাহলে আন্তর্জাতিক মহল অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে আরও সক্রিয় হতো এবং সেক্ষেত্রে নির্বাচনে বিএনপির ভালো ফলাফল করত।

বিএনপির কোনো নেতা মনে করেন যে, এখন যে অবস্থায় বিএনপি আছে তার চেয়ে ৪০/৫০ আসন পেয়ে বিরোধী দলে থাকলেও সরকারকে বড় ধরনের চাপে ফেলা সম্ভব হতো। কিন্তু এই সময় দেশের সুশীল সমাজের একটি অংশ এবং বিভিন্ন মহল থেকে বিএনপিকে নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা স্বীকার করেছেন যে, বিএনপির মধ্যে নির্বাচনে যাওয়ার একটা আগ্রহ ছিল। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে আশ্বাস দেওয়া হয় যে, বিএনপি নির্বাচনে না গেলেই এই নির্বাচন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে না এবং সরকারের পতন হবে অনিবার্য। আর এরকম একটি বাস্তবতা থেকেই বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বলে একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। 

বিএনপির ধারণা ছিল যে, নির্বাচনের পরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিবে, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আসবে। ফলে সরকারের পক্ষে পদ ত্যাগ করা ছাড়া আর কোন বিকল্প থাকবে না। কিন্তু বাস্তবে সেটা ঘটেনি। এখন বিএনপি মনে করছে পুরো ব্যাপারটাই ভারতের কারসাজি। ভারত চায়নি যে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কারণ বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো। সরকারের জন্য চাপ সৃষ্টি হতো।

বিএনপির একজন নেতা বলছিলেন যে, বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতো তাহলে সরকারকে জয়ী হওয়ার জন্য প্রকাশ্যে কারচুপি করতে হতো। এর ফলে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিদূরহ্ন হয়ে যেত। কিন্তু সেটি না করে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দিয়েছে। আর এই সুযোগটি তৈরি করার পিছনে পাশের দেশ ভারত ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন বিএনপির একাধিক নেতা। তারা মনে করছেন এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল এবং বিএনপিকে এমনভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যেন বিএনপি নির্বাচনে না যায়। আর এর ফলে বিএনপি আরেকবার প্রতারিত হল বলেই তারা মনে করছেন।

বিএনপি   মন্ত্রিসভা   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন