প্রায় দেড় যুগ
ক্ষমতার বাইরে থাকা দল বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলন
চালিয়ে যাচ্ছে। একদফার আন্দোলনে
অবরোধ-হরতালের মতো কর্মসূচি দিয়েও
পেরে উঠছে না বিএনপি। মামলা, হামলায়
জর্জরিত দলটির লাখ লাখ নেতাকর্মী।
কারাবন্দির সংখ্যাও প্রায় ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
এরপরও রাজনীতির ময়দানে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা
অব্যাহত রাখছে বিএনপি। নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে নেওয়া
হচ্ছে নানা পরিকল্পনা।
গত বছরের ২৮
অক্টোবরের সহিংসতা কাটিয়ে
উঠতে নানা কৌশল গ্রহণ করছে বিএনপির
নীতিনির্ধারকরা। সংগঠনকে শক্তিশালী করে কঠোর কর্মসূচিতে
যেতে চান তারা। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও বিএনপির দলীয় সূত্রে এসব
তথ্য জানা গেছে।
বিএনপির
স্থায়ী কমিটির এক নেতা গণমাধ্যমকে
বলেন, একতরফা নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়াই ‘অবৈধভাবে’ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন
করেছে। দেশে-বিদেশে এটা
অবৈধ সরকার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এবার তাদের বিদায়ের
পালা। বিএনপি আগের মতোই আন্দোলনে
আছে। নেতাকর্মীদের চাঙা করে গণমুখী
কর্মসূচি দিয়ে সরকারের পতন
ঘটানো হবে। ৯ জানুয়ারি
থেকে প্রতিদিনই বিএনপি ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক চলছে। এসব
বৈঠকে আন্দোলনে নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন হয়েছে। পাশাপাশি সাংগঠনিক দুর্বলতাগুলো শনাক্ত হচ্ছে। শিগগিরই সংকটগুলো সমাধান করে গণমুখী কর্মসূচি
ঘোষণা করা হবে। তিনি
বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে। সারা দেশে অস্থিরতা
বিরাজ করছে। যা গণতান্ত্রিক বিশ্ব
নজর রাখছে। যে কোনো সময়ে
যে কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি
হতে পারে। গণবিস্ফোরণের মধ্য দিয়েই দেশের
গণতন্ত্র বিএনপি পুনরুদ্ধার করবে।
এদিকে
নেতাকর্মীদের চাঙা রাখাসহ সাংগঠনিক
শক্তি জোরদারে ধারাবাহিক বৈঠক করেছেন বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের
সঙ্গেও নিয়মিত ব্রিফ করছেন তিনি। শনিবার স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ
সারা দেশের জেলা ও মহানগরের
নেতাদের সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। রোববার ছাত্রদলের
সঙ্গে বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান। বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপির
শীর্ষ এক নেতা জানান,
এই মুহূর্তে মূল ফোকাস নেতাকর্মীদের
চাঙা রাখা। মনোবল বৃদ্ধি করা। সংগঠনকে গতিশীল
করা। বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি করা। সাংগঠনিক
শক্তি সঞ্চার করেই গণমুখী কর্মসূচির
দিকে অগ্রসর হওয়া।
জানা
যায়, ২০১৩ সাল থেকে
৩ মেয়াদে লাগাতার আন্দোলন করে আসছে বিএনপি।
কোনো মেয়াদেই লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়নি ।
উলটো নানাভাবে কোণঠাসা। দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ারও মুক্তি মেলেনি। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন শীর্ষনেতা কারাবন্দি। এমন অবস্থায় সরকারবিরোধী
আন্দোলনে কৌশলী বিএনপি। বিগত সময়ের দুর্বলতাগুলো
শনাক্ত করে সাংগঠনিক তৎপরতা
বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিচ্ছেন শীর্ষনেতারা। এ নিয়ে গত
কয়েকদিন দুপুর থেকে রাত ২টা
পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী
সংগঠনের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে স্কাইপিতে বৈঠক করেছেন ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপির
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন,
‘বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি কীভাবে চলবে তা নির্ধারণ
করবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও নীতিনির্ধারকরা। এই
মুহূর্তে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ও আন্দোলন একসঙ্গে
চলবে। একটির জন্য আরেকটি থেমে
থাকবে না। ২৮ অক্টোবরের
পর যে আন্দোলন হলো-যেখানে সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কারাগারে গেছেন, সেখানে ভারপ্রাপ্ত কিংবা সক্রিয় নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে আন্দোলন ও
সংগঠন চালিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিএনপি একটা বৃহৎ রাজনৈতিক
দল। কোনো কার্যক্রম থেমে
থাকেনি।’
বিএনপি
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, শিগগিরই আমরা একদফার আন্দোলন
আরও কঠোরভাবে জোরদার করব। আমাদের নেতাকর্মীরা
উজ্জীবিত। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চলমান আছে। বিএনপি আন্দোলনেই
আছে, এর মধ্যে যেখানে
সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করা দরকার আমরা
তা করব।
ঢাকা
বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ বলেন, বিএনপির
ভোট বর্জনের আহ্বানে জনগণ সাড়া দিয়েছে।
দেশের মানুষ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মুখিয়ে আছে। সামনে কালো
পতাকা মিছিল আছে। এর মধ্য
দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা চাঙা হবেন। বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যখন যে নির্দশনা
দেবেন, আমরা সেটাই কার্যকর
করব। সাংগঠনিক শক্তি কিংবা আন্দোলন, আমাদের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফিলিস্তিনের পতাকা ছাত্রলীগ
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে চেয়ারম্যান
পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র
বাতিল করেন।
জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর
ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর
ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-
১। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন
২। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ
গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল
৩। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান
সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল
৪। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন
বৈধ হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর
তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন
পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, ‘আমার নামে যে মামলা
ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা
তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে
বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা
ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে’।
প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল
অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে
আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান
পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের শাহদাত হোসেন
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির
স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই বলে
জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির
ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দেশের
কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে
না কেন?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের
সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার
নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে
মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব
নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে
বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়।
যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন
করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী
লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য
দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ
দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি ওবায়দুল কাদের বিএনপি
মন্তব্য করুন
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম
ধাপের ভোট। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে
হবে।
কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ওই
ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার
সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে।
সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের
সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে
নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিজাইডিং
অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন।
সেগুলো হচ্ছে…
১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে।
২। স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে।
৩। ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে।
৪। ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে।
৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে।
আর এসবের যে কোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর
ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি (সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে
পরবর্তীতে নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী
প্রিজাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে
উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১
শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙ্গুলের
ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক
ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন
এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত
হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী
সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়া, যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙ্গুলের
ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিষ্ট্রারে ভোটারের নাম
ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন।
প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট
হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার
সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর
সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া,
ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব
দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ
নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায়
ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমশিন ইভিএম প্রিজাইডিং অফিসার
মন্তব্য করুন