আজ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ
জাতীয় সংসদের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সন্ধ্যা সাড়ে
৬টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে স্বতন্ত্র ৬২ সংসদ সদস্যকে
আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া গণমাধ্যমকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা জানান, বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের দিকনির্দেশনা দেবেন। জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্রদের ভূমিকা কী হবে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্য জানান, জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের স্বতন্ত্র হিসেবে ভূমিকা রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ ছাড়া স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা যে ১০টি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবেন, সেগুলোতেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেওয়ার নির্দেশনা দিতে পারেন শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬২ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাঁদের তিনজন ছাড়া সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এবারের সংসদে আওয়ামী লীগের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্ররা। ৩০ জানুয়ারি সংসদের অধিবেশন বসতে যাচ্ছে। ওই সংসদ সদস্যরা সংসদে আওয়ামী লীগে যোগ দেবেন নাকি স্বতন্ত্র হিসেবে ভূমিকা রাখবেন তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে কৌতূহল রয়েছে। আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন বৈঠক স্বতন্ত্র প্রার্থী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।