দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, ডলার ও রিজার্ভ সংকট, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকার চ্যালেঞ্জের মুখে আছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আমরা চ্যালেঞ্জের মুখে আছি। পাঁচ বছরের জন্য আমাদের যে নির্বাচনী ইশতেহার, সেটা বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা কোটি যুবককে পাঁচ বছরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো, বছরে ২০ লাখ করে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে চ্যালেঞ্জ তা হলো আমাদের দ্রব্যমূল্যকে নিয়ন্ত্রণ করা। আমাদের ডলার সংকট আছে, রিজার্ভ সংকট আছে, জ্বালানি সংকট আছে। এ সংকটগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা। এগুলোকে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা মধ্যে নিয়ে আসা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘গত সোমবার প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকে মন্ত্রণালয়গুলোকে কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব মন্ত্রণালয় তাদের প্ল্যান-প্রোগ্রাম করছে, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা কাজে বসে গেছি।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।