জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই বেজে উঠেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনের ডামাডোল। আগামী ৯ মার্চ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এমন খবরে নগরীর সর্বত্রই বইতে শুরু করেছে ভোটের হাওয়া। এরই মধ্যে সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা অনলাইন-অফলাইনে নিজেদের প্রার্থিতা জানান দিতে শুরু করেছেন।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে আগে থেকেই তৎপর ছিলেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। কিন্তু সেই তৎপরতা চাপা পড়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে। তবে গত সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার পর মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রত্যাশীরা সরব হয়েছেন। সিটি এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচনি আমেজ।
এবারের
সিটি নির্বাচনে প্রার্থী উন্মুক্ত থাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী
এবং সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বেশ উন্মাদনা সৃষ্টি
হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়রের
পাশাপাশি এখন পর্যন্ত আরও
চার নেতা ভোটে লড়তে
আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আর এই প্রার্থীদের
নিয়ে আলোচনা এখন পথে-প্রান্তরে।
সেই সঙ্গে চলছে নির্বাচনি হিসাব-নিকাশ। আছে ভোটারদেরও নানান
প্রত্যাশা।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র হয়েছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু। তবে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হবে তার। সদ্য অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে সৃষ্ট বিভেদকে কাজে লাগিয়ে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার আশায় আছেন একাধিক প্রার্থী।
জানা
গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী
লীগের দলীয় প্রার্থী মোহিত
উর রহমান শান্তর বিপরীতে নির্বাচন করেছেন সিটি মেয়রের বড়
ভাই আমিনুল হক শামীম। এতে
ফের দুই পরিবারের বিভেদ
প্রকাশ্যে আসে। সৃষ্ট এই
বিভেদকে কাজে লাগিয়ে নবনির্বাচিত
সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর
সমর্থন নিয়ে মেয়র টিটুর
প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার আশায় আছেন একাধিক
দলীয় প্রার্থী। সেই তালিকায় রয়েছেন
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ এহতেশামূল আলম, শহর আওয়ামী
লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কি টজু,
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম ফেরদৌস জিলু এবং সাবেক
সদস্য অ্যাডভোকেট ফারামার্জ আল নূর রাজীব।
এদিকে মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আহমেদ জানান, সংসদ নির্বাচনে জাতীয়
পার্টিকে ২৬টি আসন দিয়ে
সেখানে স্বতন্ত্রপ্রার্থী দ্বারা কোণঠাসা করা হয়েছে। তাই
কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সিটি নির্বাচনে
অংশ নিচ্ছে না জাতীয় পার্টি।
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।