বাংলাদেশের রাজনীতিতে সব হারিয়ে বিএনপি এখন আবার ভারত বিরোধীতার রাজনীতি শুরু করেছিল, যে রাজনীতির ধারায় বিএনপির জন্ম হয়েছিল। বাংলাদেশে ৭৫ পরবর্তিতে ভারত বিরোধিতাকে রাজনীতির প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার সংস্কৃতি চালু করেছিল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি।
এর পর আস্তে আস্তে
ভারত বিরোধিতা করে তারা স্বাধীনতাবিরোধী
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে একত্রিত করেছে। আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তির
একটি প্লাটফর্ম হিসেবে দার করিয়েছে বিএনপিকে।
আর সেরকম একটি পরিস্থিতিতে বিএনপি
নিজেরাই একসময় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভারতের সঙ্গে
হাত মেলায় এবং ভারতের সঙ্গে
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রকাশ্য বিবৃতি
দেয়। কিন্তু বিএনপির ভারতপ্রীতি যে কতটা ভয়ঙ্কর
তা ভারত বুঝতে পারে
২০০১ সালের নির্বাচনের পর। ওই নির্বাচনে
জয়ী হওয়ার পর বিএনপি প্রকাশ্যে ভারতপ্রীতি আর গোপনে পাকিস্তানি
গোয়েন্দা সংস্থা আইএসএর নির্দেশ অনুযায়ী ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার নীতি গ্রহণ করে।
এর ফলে ভারতের সঙ্গে
রাজনৈতিক দূরত্ব তৈরি হয় বিএনপির।
২০০১
সালের পর বিএনপি বিভিন্নভাবে
চেষ্টা করেছে ভারতের সাথে সম্পর্ক পূনরুদ্ধারের
জন্য। কিন্তু, বিএনপির পাকিস্তান কানেকশন রাজনীতিকভাবে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে সমর্থন এবং মদদ দেওয়া, পাশাপাশিভাবে
বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গীবাদের রাজনীতিকে
উৎসাহিত করার অভিযোগে ভারত বিএনপি থেকে
মুখ ফিরিয়ে নেয়।
২০১৮ সালের
নির্বাচনের আগেও বিএনপির একটি
থিংক ট্যাংক ভারত সফর করেছিল
এবং ভারতের সঙ্গে একটি সমঝোতার ধারা
শুরু করার জন্য আগ্রহ
ব্যক্ত করেছিল। কিন্তু সেটিতেও ভারত সম্মতি দেয়নি।
সে সময় ভারত তারেক
জিয়াকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার
পাল্টা প্রস্তাব দিয়েছিল, যে প্রস্তাব বিএনপি
মানেনি।
এরপরও
বিএনপি চেষ্টার ত্রুটি করেনি। ২০২৪ সালে নির্বাচনের
আগ পর্যন্ত ভারতের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা
করাটা বিএনপির একটি এজেন্ডা ছিল।
তবে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের
পর বিএনপির হতাশার মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সর্বশেষ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন বাংলাদেশের উপর
কোন রকম নিষেধাজ্ঞা দেয়নি
বা ভিসা স্যাংশন দেয়নি সেই সময় বিএনপি
তার রাজনৈতিক নতুন করে কৌশল
গ্রহণ করে। তাদের এখন
একমাত্র রাজনৈতিক কৌশল হলো ভারত বিরোধিতা
করা, যেটি তারা ৭৫
এর আগে শুরু করেছিল।
এই ভারত বিরোধিতার মূল উৎসস্থলে পরিণত
হয়েছে বিএনপির কয়েকজন নেতা এবং বিদেশে
পলাতক কিছু দন্ডিত ব্যক্তি,
যারা এর আগে বিএনপিকে
ভুল পথে পরিচালনা করার
জন্য বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়েছিল।
তবে
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, বিএনপিকে ভুল পথে পরিচালিত
করছেন তারেক জিয়া নিজেই। এখন
সব হারিয়ে বিএনপি ভারত বিরোধিতাকে আকড়ে
ধরেছে। কিন্তু, বর্তমান বাস্তবতায় এটি আরও ভুল
বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তারা মনে করেন যে,
এখন সাধারণ মানুষ অনেক সচেতন। সারা
বিশ্ব এখন উন্মুক্ত। এরকম
পরিস্থিতে ভারত বিরোধিতা হিতের
বিপরীত হবে। যেমন, তাদের
জন্য হিতের বিপরীত হয়েছিল নির্বাচন বর্জন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দারি, ২৮ অক্টোবরের হঠকারিতা।
এ হঠকারী রাজনীতির পথেই বিএনপি আবার
যাচ্ছে। বিএনপি আরেকটি ভুল যাত্রার পথে
অগ্রসর হচ্ছে তথাকথিত ভারত বিরোধিতার নামে।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।