ইনসাইড পলিটিক্স

ঢিলেঢালা আন্দোলন নিয়েও কূটনীতি পাড়ায় বিএনপি

প্রকাশ: ০৯:২৪ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে অনেকটা ঢিলে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং একদফা দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী পাঁচ দিনের লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। রাজপথে কর্মসূচির পাশাপাশি ঘুরে দাঁড়াতে বিএনপি এই মুহূর্তে আইনি প্রক্রিয়ায় দলের কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। একই সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতাও শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে গত সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বিএনপির দাবি, ৭ জানুয়ারির ‘একতরফা’ ও আসন ভাগাভাগির নির্বাচন পশ্চিমাসহ গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। কারণ, বিএনপিবিহীন নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে সরকার যে ডামি-স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে ভোট করেছে, বিদেশিরা সে সম্পর্কে অবগত। সে কারণে জাতিসংঘসহ পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের বিষয়ে তাদের নৈতিক অবস্থান থেকে মোটেও সরেনি। নির্বাচনের পরেও বাংলাদেশের গণতন্ত্রহীনতা, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার হরণ এবং সুশাসনের অভাবের বিষয়টিতে তারা সুস্পষ্ট বক্তব্য দিচ্ছেন। দলটির নেতারা মনে করছেন, এমন পরিস্থিতিতে রাজপথের আন্দোলনের পাশাপাশি গণতন্ত্রের প্রশ্নে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইস্যুতে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্বের চাপ জোরালো হলে সরকার নমনীয় হতে পারে। সেক্ষেত্রে দাবি আদায় সহজতর হবে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান গণমাধ্যমকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব এমনকি জাতিসংঘও অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে চেয়েছে যে, বাংলাদেশ সঠিক পথে ফিরে আসুক, ভোটের অধিকারসহ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক। তারা এখনো সেটাই চাচ্ছে। সে কারণে বাংলাদেশে যে গণতন্ত্রহীনতা, মানবাধিকার হরণ, সুশাসনের অভাব, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থসম্পদ পাচার—এসব বিষয়ে ভোটের পরেও তারা স্পষ্ট ভাষায় বক্তব্য দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বড় পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র কয়েকদিন আগেও তাদের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মানুষের কথা বলার অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানুষের ভোটের অধিকার প্রশ্নে তাদের যে প্রতিশ্রুতি, সেটা তারা ফের বলেছে। কাজেই বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের বিষয়ে তাদের যে নৈতিক অবস্থান, সেখান থেকে তারা কথায় বা কাজে কোথাও একচুলও বিচ্যুত হয়নি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ইস্যুতে ভোটের আগে বাংলাদেশের ওপর ভিসা নীতি কার্যকর করে। একই সঙ্গে অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রশ্নে তাগাদা অব্যাহত রাখে। এ ইস্যুতে তখন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতও বেশ তৎপর ছিলেন। বিএনপির বর্জন ও আন্দোলনের মধ্যেই গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এমন পরিস্থিতিতে ভোটের পর অনেকে মনে করেছিলেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র কঠোরভাবে ভিসা নীতির প্রয়োগ এবং ধাপে ধাপে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি, বরং ভোটের পর তারা অনেকটাই নমনীয় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এমন অবস্থায় নির্বাচনের এক মাস পর গত সোমবার ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। পরে মার্কিন দূতাবাস এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পিটার হাস ও মঈন খানের ছবি প্রকাশ করে বৈঠকের বিষয়টি জানায়। এক্স হ্যান্ডলে মার্কিন দূতাবাস লিখে, ‘ঢাকা দূতাবাস গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, সহনশীলতা, সুশাসন ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটে যখন সব কণ্ঠের আওয়াজ শোনা যায়। বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারা আনন্দিত।’

বিএনপি নেতা মঈন খানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পিটার হাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। এ সময় গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে বিএনপি সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে কারাগারে গত কয়েক মাসে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনা, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যে একতরফা ছিল এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ভোট বর্জন করায় ওই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদ যে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল নয়, ভাগবাটোয়ারার সংসদ—বিএনপির পক্ষ থেকে সে বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া বিএনপি যে বর্তমান সংসদ বাতিল এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে অনড় থেকে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তুলে ধরা হয় সে বিষয়টিও।

সংশ্লিষ্ট বলছেন, পিটার হাসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের পর আন্দোলনের পাশাপাশি ফের কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে বিএনপি। এর মধ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গতকাল জামিনে কারামুক্ত হওয়ায় এ তৎপরতা এবার আরও বেগবান হবে।

এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মুশফিকুল ফজল আনসারী। স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দেশটির মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে নির্বাচন-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন ও বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান ব্যক্ত করছে। এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে শিগগির যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে কাজ করা দলের নেতাদেরও ফের সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।


বিএনপি   কর্মসূচি   কূটনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৩০ জনের

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটে ১৩০ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া এই ধাপে ৬ জন প্রার্থী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম ধাপে ২৮ জন, দ্বিতীয় ধাপে ২১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

রোববার (১২ মে)  এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

তিনি জানান, চেয়ারম্যান পদে ৭৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ছয় প্রার্থী। এদের মধ্যে ভাণ্ডারিয়ার সব পদ, গোসাইরহাটে ভাইস চেয়ারম্যান ও সোনাগাজী এবং দাগনভুঞা উপেজলায় মহিলা ভাইস পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

সোমবার তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এই ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন; মোট ১৫৮৮ জন প্রার্থীনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৪৫টির মতো উপজেলায় ৮ মে ভোট হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।


উপজেলা   নির্বাচন   প্রার্থী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকার বিরোধী আন্দোলন: জামায়াতকে একমঞ্চে চায় ১২ দলীয় জোট

প্রকাশ: ০৯:১১ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচন দাবিতে আগামীর আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীকে একমঞ্চে চায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের অন্যতম মিত্র ১২ দলীয় জোট। তাদের পরামর্শ, বিএনপির বাইরে সাংগঠনিকভাবে জামায়াত শক্তিশালী। তাই মাঠের আন্দোলন সফল করতে হলে জামায়াতসহ বাম-ডান ও ইসলামী ঘরানার সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে।

তারা বলেন, ২৮ অক্টোবরের আগে একমঞ্চ থেকে আন্দোলন পরিচালনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আমরা তখন একমঞ্চে প্রায় চলেও এসেছিলাম। কিন্তু যুগপতেরই দুএকটি শরিক দল ও জোটের বিরোধিতার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। ২৮ অক্টোবর জামায়াতও মাঠে ছিল। কিন্তু পৃথকভাবে তারা কর্মসূচি করেছে। ওইদিন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত।

রোববার (১২ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে তাদের এমন পরামর্শ দেন ১২ দলের কয়েকজন নেতা।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর একদফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। কিন্তু নির্বাচনের পর চার মাস পেরিয়ে গেলেও যুগপৎভাবে কোনো কর্মসূচি মাঠে গড়ায়নি। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে মিত্রদের পরামর্শ নিতে তাদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে এ দিন ১২ দলের পর একই স্থানে এলডিপির সঙ্গেও বৈঠক করেছে দলটি।

গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের পর ১২ ও ১৩ জানুয়ারি যুগপতের শরিকদের সঙ্গে বিএনপির হাইকমান্ডের ভার্চুয়ালি সিরিজ বৈঠক হয়। যেটাকে তখন বিএনপি ও শরিকদের পক্ষ থেকে ‘সৌজন্য বৈঠক’ বলা হয়েছিল। সেখানে সরকারি নানামুখী চাপ ও প্রলোভন সত্ত্বেও নির্বাচনে না যাওয়া এবং যুগপৎ আন্দোলন অব্যাহত রাখায় বিএনপির পক্ষ থেকে মিত্রদের সাধুবাদ জানানো হয়।

জানা গেছে, বৈঠকের শুরুতে বিএনপির পক্ষ থেকে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আন্দোলনের নতুন কী কর্মসূচি নেওয়া যায়- সে ব্যাপারে ১২ দল নেতাদের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়। তখন জোটের কয়েকজন নেতা নির্বাচন বর্জন করে যুগপৎ কিংবা যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে থাকা সবাইকে নিয়ে ঈদুল আজহার পর ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার পরামর্শ দেন। এ সময় বিক্ষিপ্তভাবে দুএকজন নেতা ঢাকায় একমঞ্চ থেকে সমাবেশ এবং ঢাকার বাইরে সব মহানগরে একই আদলে সমাবেশের মতো কর্মসূচির প্রস্তাব করেন।

বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বিএনপি বৈঠক করেছে। এটা আমাদের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ। আমরা মাঝে মাঝেই বসি, আলোচনা করি। দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের দামবৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে মানুষের দুর্ভোগ, দেশের অর্থনীতির দুরবস্থা, দুর্নীতি-অনাচার, সীমান্ত সংকট, সীমান্তে মানুষ হত্যা, সীমান্তে অনুপ্রবেশসহ নানা বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, আগামীতে আন্দোলন কীভাবে গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের কাছে কী ধরনের কর্মসূচি নেওয়া যায়, তা চেয়েছে। আমরা সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এ কর্মসূচি গ্রহণ করব।


জামায়াত   জোট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভোটার বাড়ানোর নির্দেশ ইসির

প্রকাশ: ০৮:৪১ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট পড়েছিল ৩৬.১৮ শতাংশ। আগামী তিন ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে প্রচার আরো জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রবিবার (১২ মে) ইসি সূত্র জানায়, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম ইসির মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার মাসিক সমন্বয় সভায় এই নির্দেশনা দেন।

ওই সভায় ইসি সচিব বলেন, ইসির মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

প্রথম পর্যায়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো চিহ্নিত করে পরবর্তী পর্যায়ের নির্বাচন আরো সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এ ছাড়া মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম আরো গতিশীল করার বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয় সভায়।

উল্লেখ্য, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬.১৮ শতাংশ। এর মধ্যে ১১৭ উপজেলায় ব্যালটে ভোট হয়। ভোটের হার ৩৭.২২ শতাংশ। ২২ উপজেলায় ভোট হয় ইভিএমে, ভোটের হার ৩১.৩১ শতাংশ।

এদিকে, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী এক হাজার ৮২৮ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২৯ জন।

এই ধাপের ভোট হবে আগামী ২১ মে। তৃতীয় ধাপের ভোট ২৯ মে। এই ধাপের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল গতকাল। আজ সোমবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।

আর চতুর্থ ধাপে ৫৬ উপজেলায় ৭৩৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৭২, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৬ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯৯ জন রয়েছেন। এই ধাপের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে। ভোট হবে ৫ জুন।


নির্বাচন কমিশন   ইসি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শরিকদের অভিমান ভাঙাতে উদ্যোগী আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:৩৯ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অবশেষে শরিকদের অভিমান ভাঙাতে উদ্যোগী হয়েছে। শিগগিরই শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। গত ২ মে গণভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

নির্বাচন এলেই গুরুত্ব বাড়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের শরিকদের। নির্বাচন শেষে কমতে থাকে জোটের রাজনৈতিক তৎপরতা। বাড়তে থাকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্ব। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিক দলগুলোর ভরাডুবির পর প্রশ্ন উঠেছে ২০ বছর বয়সী এই জোটের প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও। প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট মূল্যায়ন করা হয়নি এমন অভিযোগ শরিক দলের নেতাদের।

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় আলাদা কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট আছে। আমি  খুব শিগগিরই তাদের সঙ্গে বৈঠক করব। মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক আদর্শকে ভিত্তি করে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ১৪-দলীয় জোট। তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার-দলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলে এ জোট।

দেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ তৈরি করা এই জোটের শরিক দলগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণতন্ত্রী পার্টি, সাম্যবাদী দল, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, গণ-আজাদী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি (জেপি) ও কমিউনিস্ট কেন্দ্র। এর মধ্যে তিনটি দলের নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই। এরা হলো- গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, গণ-আজাদী লীগ ও কমিউনিস্ট কেন্দ্র।

শরিকদের মধ্য থেকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন চারজন, দশম সংসদে সংরক্ষিত দুজনসহ ১৩ জন, একাদশ সংসদে আটজন। কিন্তু দ্বাদশ সংসদে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র দুজনে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের রেজাউল করিম তানসেন না জিতলে এবার মুখ রক্ষা করাই কঠিন হতো ১৪-দলীয় জোটের শরিকদের।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধি করতে পারেনি শরিক দলগুলো। আওয়ামী লীগের ওপর অত্যধিক নির্ভরতায় কমে গেছে দলগুলোর জনভিত্তি। প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ছোট দলের বড় নেতাদের ভাবমূর্তি। সব মিলিয়ে জোটের শরিক দলগুলো আওয়ামী লীগের জন্য পরিণত হয়েছে বোঝায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি তাদের পুরনো ২০-দলীয় জোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বা নতুন জোট গঠন করে রাজপথে নামলে আওয়ামী লীগও আবার ১৪-দলীয় জোট বা মহাজোট সক্রিয় করবে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলন দানা বেঁধে উঠতে দেখলে ১৪ দলের তৎপরতা দৃশ্যমান করবে আওয়ামী লীগ।

এ বিষয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু গণমাধ্যকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জোটের রাজনীতিকে চাঙা করে তুলবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। নেত্রী বৈঠকের কথা বলেছেন খুব বেশি দিন হয়নি। আমরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছি।

জোটের মুখপাত্র, সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু গণমাধ্যকে বলেন, জোটের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়নি। জোট আছে, থাকবে। নেত্রী সময় দিলেই আমরা শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসব।


শরিক   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লুর সফর ঘিরে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা বিএনপির

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ১৪ ও ১৫ মে দুদিনের ঢাকা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে তাঁর। গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম গুঞ্জন বা এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করলেও এবার তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতিতে তেমন কোন উত্তেজনা বা আতঙ্কও নেই যেমনটি ছিল নির্বাচনের আগে আগে। তবে ডোনাল্ড লুর সফর ঘিরে নতুন করে আশার বুক বাঁধছে বিএনপি। রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে দলটির মধ্যে। এরই মধ্যে বিএনপি গত শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশ করেছে। পাশাপাশি সরকারবিরোধী দেশের সব সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু করেছে দলটি।

আজ রোববার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোট ও এলডিপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করে দলটি। বৈঠকে চলমান আন্দোলন ও আগামী দিনে করণীয় নির্ধারণে সমমনাদের মতামত গ্রহণ করেন বিএনপি নেতারা। বৈঠকে বিএনপি লিয়াজোঁ কমিটির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান। 

বিএনপির সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে এখনও তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি। তারা হয়তো কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং সুশাসন নিয়ে দেশটির কোন অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। আর সেজন্যই ডোনাল্ড লুর সফর বলে ধারণা বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীর। এ কারণেই দলটি চলমান রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকটকে কাজে লাগাতে চায়। আবার সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় হতে চায়। 

তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ডোনাল্ড লু এবার ঢাকা সফর করছেন বেশকিছু সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে। আর তা হল বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় দেশটি। এ ছাড়াও জলবায়ু সংকট ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা নিয়ে আলোচনা করবেন ডোনাল্ড লু। এই সফরে তিনি সরকারি ও বেসরকারি নানা পর্যায়ে কয়েকটি বৈঠক ও মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। 

ডোনাল্ড লু   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন