ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায়ও পড়ছে সংসদ নির্বাচনের ছায়া

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে বিরত থাকা বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন, সিপিবিসহ ১৪টি নিবন্ধিত দল উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে না। দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানে তেমন কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। আর সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে থাকা বেশিরভাগ দলই থাকছে উপজেলায়। এই নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকলেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তা ব্যবহার করছে না। তাদের পথেই হাঁটছে ১৪ দলীয় জোটের শরিক গণতন্ত্রী পার্টি।

তবে দলীয় প্রতীকেই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিতে চায় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ১১টি নিবন্ধিত দল। আর দলীয়ভাবে প্রার্থী দেওয়া হবে কি না—তপশিল ঘোষণার পরও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি পাঁচটি রাজনৈতিক দল। অবশ্য আওয়ামী লীগ প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেওয়ায় এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তাদের মতে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়াই হবে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে।

দেশে মোট উপজেলা ৪৯৫টি। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইসি ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৭ এপ্রিল ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এরপর আগামী ২৩ মে দ্বিতীয়, ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন শেষ ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলা নির্বাচনে কার স্বাক্ষরে প্রার্থী নির্ধারিত হবে, তা বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন ও আচরণ বিধিমালায় ব্যাপক সংশোধন আনা হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয় ও স্বতন্ত্র দুই ধরনের সুযোগই রাখা হয়েছে। তবে এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ছাড় দিয়ে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। নির্বাচনে যাতে অধিকসংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিতে পারেন, সেজন্য প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ২৫০ ভোটারের সমর্থন সূচক স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা সংযুক্তির বিষয়টি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনী পোস্টার, নির্বাচনী প্রচারণা এবং প্রার্থীদের জামানতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বড় ধরনের সংশোধন আনা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে বিএনপিসহ ১০টি দল। দলীয় প্রতীকে অংশ নেবে ১১টি দল। প্রতীক ছাড়া অংশ নেওয়ার পক্ষে দুটি। এখনো নির্বাচনে অংশ গ্রহণ বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় পাঁচটি রাজনৈতিক দল। সব মিলিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথেই নিবন্ধিত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। তারা ইতোমধ্যে উপজেলাসহ স্থানীয় সরকারের সব পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীও ঠিক করতে শুরু করেছে।

জানা গেছে, বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর মধ্যে ছয়টি নিবন্ধিত। এসব দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, তারা উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করবেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলে আটটি নিবন্ধিত দল। একটি ছাড়া সবগুলোই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক। এ ছাড়া সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছে।

জাপার দপ্তর সম্পাদক রাজ্জাক খান জানিয়েছেন, দলীয় প্রতীকে তারা স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে দুই সিটিতেও তারা প্রার্থী দিয়েছেন। রংপুর সদর উপজেলা পরিষদে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিবন্ধিত দলগুলোর বেশিরভাগই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আবার সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে কোনো কোনো দল।

এর আগে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপি পরে উপজেলার ভোটে অংশ নিয়েছিল। যদিও তখন পর্যন্ত স্থানীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেওয়ার বিধান চালু হয়নি। পরে ২০১৯ সালে উপজেলায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও বিএনপি সেখানে প্রার্থী দেয়নি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করার পর এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও অংশ না নেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে রেখেছেন তারা।

তবে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক তৃণমূল বিএনপি। দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘দল হিসেবে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার একটা মনোভাব আছে। যারা অংশ নিতে চায় তাদের আমরা উৎসাহিত করছি। তবে দলীয়ভাবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মহাসচিব দেশের বাইরে রয়েছেন। ঈদের পর দেশে ফিরলে তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি আরেক নতুন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)।

এ তথ্য জানিয়ে দলটির মহাসচিব ড. মো. শাহজাহান বলেন, ‘আসন্ন উপজেলা নির্বাচনও বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো হলে, সেখানে অংশ নেওয়ার কোনো অর্থ হয় না। তবে আমরা এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। শিগগির এ ব্যাপারে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হলে দলীয় প্রতীকে, নাকি প্রতীক ছাড়া যাব, তখন সে সিদ্ধান্তও হবে।’

কল্যাণ পার্টিও নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক বলে জানা গেছে। জানতে চাইলে দলটির চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘কল্যাণ পার্টি নির্বাচনমুখী দল। শিগগির উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে গেলে দলীয় হাতঘড়ি প্রতীকে ভোট করবেন তাদের প্রার্থীরা।’

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (কাঁঠাল প্রতীক) মহাসচিব জাফর আহমেদ জয় বলেন, ‘তারা দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।’

তবে চেয়ারম্যান পদে ১ লাখ টাকা জামানত নির্ধারণ সঠিক হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে আগে জামানত ছিল ১০ হাজার টাকা। তাই জামানতের টাকা আগের অবস্থায় নেওয়ার জন্য শিগগির রিট করা হবে।’

ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা নির্বাচনে যাবেন না। তবে দলের কোনো প্রার্থী চাইলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন, কোনো বাধা থাকবে না।’

দলীয় ‘একতারা’ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। অন্যদিকে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) নির্বাচনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

এদিকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ কংগ্রেস। ডাব প্রতীকের দলটির চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাব।’

তবে ১৪ দলের শরিক সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া জানিয়েছেন, তিনি এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেননি।

দলীয় প্রতীক ছাড়া অংশ নেবে গণতন্ত্রী পার্টি। দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীক ছাড়াই হওয়া উচিত।’

ওয়ার্কার্স পার্টি উপজেলা নির্বাচন করবে দলীয় হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে। একই অবস্থানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলও (জাসদ)।

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবিসহ পাঁচ দলের সমন্বয়ে গঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘পরিবেশ না থাকায় আমরা উপজেলা নির্বাচনেও অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম। দলটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি না।’

দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে যেতে চায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। একই পথে হাঁটছে তরীকত ফেডারেশন। দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘আমাদের কেউ নির্বাচনে আগ্রহী হলে সুযোগ দেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর এমন অবস্থানের বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নূরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি সংসদ নির্বাচনে যেভাবে দলগুলোর অবস্থান ছিল উপজেলা নির্বাচনেও সে রকমই আছে। অর্থাৎ যারা সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল তারা এবারের নির্বাচনেও শরিক হচ্ছে। তবে নির্দলীয় নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এতে হয়তো প্রার্থী কিছুটা বাড়তে পারে। বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে অনেকেই স্বতন্ত্র হয়ে অংশ নিতে পারেন।’


নির্বাচন কমিশন   ইসি   বিএনপি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর অবস্থানে যাবে না আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারবে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এনিয়ে একাধিকবার বক্তব্য রেখেছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন যে, যদি মন্ত্রী-এমপিরা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আগামী ৩০ শে এপ্রিল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা। এই বৈঠকে দলের সিদ্ধান্ত যারা লঙ্ঘন করেছে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ স্থানীয় নেতারা বলছেন, নানা বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ এখনই মন্ত্রী এমপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবে না। কোন মন্ত্রী-এমপিকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের জন্য বহিষ্কার করা হবে না বলেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা মনে করছেন। তারা বলছেন, বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতি মনে রাখবেন, ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ঢালাও বহিষ্কার বা একটি সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করলেই তাকে তাৎক্ষণিকভাবে দল থেকে বের করে দেওয়ার নীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ এক্ষেত্রে সংযত ও গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখার নীতি অনুসরণ করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ৩০ এপ্রিলের বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকরা তাদের বিভাগ অনুযায়ী প্রতিবেদন দিবেন। কোন কোন বিভাগে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এবং কোন প্রেক্ষাপটে তারা প্রার্থী হয়েছেন সে বিষয়টিও সাংগঠনিক সম্পাদকদের রিপোর্টে উপস্থাপিত হবে। এরপর যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ‘কারন দর্শানো নোটিশ’ জারি করা হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

এরপর ‘কারন দর্শানোর নোটিশ’এর জবাবের প্রেক্ষাপটে তাদেরকে সতর্ক করা বা স্বজনদেরকে পদ-পদবী থেকে সরিয়ে দেয়ার মতো পদক্ষেপগুলো নেয়া হবে। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নেন না। তিনি সিদ্ধান্ত নেন ধীর স্থীর ভাবে। আর একারণেই দীর্ঘ মেয়াদী কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পরবেন এমপি-মন্ত্রীরা।

যেসমস্ত এমপি-মন্ত্রীরা দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন পরবর্তীতে দলীয় কমিটিগুলোতে তাদের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যাবে। অনেকে কমিটি থেকে বাদ পড়বেন। যেসমস্ত মন্ত্রীরা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, ভবিষ্যতে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির আস্থাভাজনের তালিকা থেকে বাদ যাবেন। অনেক এমপি হয়তো পরবর্তী নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন।

তবে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তারা শেখ হাসিনার সু-নজর থেকে সরে গেলেন। আওয়ামী লীগে এদের ভবিষ্যৎ ধূসর এবং কুয়াসাচ্ছন্ন হয়ে গেল। আওয়ামী লীগ সভাপতি বহিষ্কার করেন খুব কম। তবে দলের রেখে তাদের এমনভাবে গুরুত্বহীন করে ফেলা হয় যে শাস্তি বহিষ্কারের চেয়ে অনেক বেশী। আর এই কৌশলটি অধিকতর কার্যকর বলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মনে করে। তাই ৩০ এপ্রিল বৈঠকে আওয়ামী লীগ দলের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে হুলুস্থুল কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।


মন্ত্রী-এমপি   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আরও ৩ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির সাংগঠনিক শৃঙ্খলা অটুট রাখতে শক্ত অবস্থান নিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দল ও অঙ্গসংগঠন থেকে নতুন করে আরও তিনজনকে শুক্রবার বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলার হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করছেন। শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোস্তফা (সোনাহার)। তিনি ২নং পৌর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

অপর একজন হলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মংসুইউ চৌধুরী। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।


বিএনপি   বহিষ্কার   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ক্ষমতায় যেতে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৮:৪৪ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?

তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন

মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।






ওবায়দুল কাদের   ক্ষমতায়   বিদেশি   দাসত্ব   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুন্ডুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান,নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস,মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয়, আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ, মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছেন আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব) কে। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিবকে। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছেন এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমানকে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল।

এর আগে ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর রিয়াজ মাহমুদকে সভাপতি ও সাগর আহমেদ শামীমকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং রাজিবুল ইসলাম বাপ্পীকে সভাপতি ও সজল কুন্ডুকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ   ছাত্রলীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিরাই আসল খেলোয়াড়

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব। 

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এবার উপজেলা নির্বাচনে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রথমত, উপজেলা নির্বাচনে তারা দলীয় প্রতীক ব্যবহার করেননি। দ্বিতীয়ত, দলের পক্ষ থেকে এবার নির্বাচনে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তৃতীয়ত, উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করবে তারা দলীয় পরিচয় ব্যবহার করতে পারবে না- এমন ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। চতুর্থত, উপজেলা নির্বাচনে যেন কোন আত্মীয়স্বজন অংশগ্রহণ না করে সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছিল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কেউ মানেনি। যার ফলে উপজেলা নির্বাচনে এখন একটি আতঙ্কের অবস্থা বিরাজ করছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে। 

এই উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিএনপির বেশ কিছু প্রার্থী উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এবং দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। আবার অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো উপজেলা নির্বাচনে আগ্রহ ছিল। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ যেহেতু দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না, সেহেতু এটি প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু এই সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপিরা। 

নির্বাচন কমিশন গতকাল তাদের বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে পারে। নির্বাচন কমিশনের এই আশঙ্কা যে ভুল নয় তা এখন নির্বাচনের মাঠে দেখা যাচ্ছে। প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় এমপি-মন্ত্রীদেরকে প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। এমপিরা নির্বাচনী প্রচারে সরাসরি অংশগ্রহণ করছেন না বটে কিন্তু তাদের লোকজন এবং সমর্থকরা তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা শুরু করেছেন।এটি প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপরও চাপ সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও এমপি-মন্ত্রীরা সরাসরি নিজের আত্মীয়কে প্রার্থী করেছেন। আবার কোথাও কোথাও মাইম্যানদেরকে বসিয়েছেন। আত্মীয়দের চেয়ে  মাইম্যানদের সংখ্যা বেশি। 

আওয়ামী লীগের একজন সদস্য বলছেন যে, আত্মীয়দেরকে চেনা যায় কিন্তু  মাইম্যানদেরকে চেনা যায় না। কোন কোন ক্ষেত্রে  মাইম্যানরা আত্মীয়দের চেয়েও ভয়ঙ্কর বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই সমস্ত  মাইম্যানদেরকে জেতানোর জন্য মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় প্রভাব বিস্তার শুরু করেছেন বলেও বিভিন্ন এলাকার মাঠের খবর থেকে পাওয়া যাচ্ছে। আর মন্ত্রী-এমপিদের এই প্রভাবের ফলে অবাধ, সুষ্ঠু এবং একটি প্রভাবমুক্ত উপজেলা নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কি না সে নিয়ে অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছেন। 

তবে আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রভাবমুক্ত, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর একটি নির্বাচন করতে বদ্ধ পরিকর এবং এ ব্যাপারে তিনি ছাড় দিবেন না। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। তারা যেন কারও পক্ষ অবলম্বন না করে। অন্যান্য যারা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তারাও যেন এই নির্বাচনে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে নির্বাচন করে সে রকম একটি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলে যারা প্রভাবশালী তারা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না এ রকম প্রত্যাশা এখন করা যাচ্ছে না। কারণ প্রভাবশালীরা কারও নির্দেশই মানে না। বিশেষ করে স্বজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ যেভাবে অমান্য হয়েছে তাতে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার না করার জন্য সতর্কবার্তা কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন