ইনসাইড পলিটিক্স

জনপ্রিয় নেতারা কেন বিএনপিতে টিকতে পারেন না

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

কে এম ওবায়দুর রহমান বিএনপির অন্যতম জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। বিএনপির মহাসচিব হিসেবে তিনি চেয়ারপার্সনের মতোই ক্ষমতা ভোগ করতেন এবং দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তার বিপুল জনপ্রিয়তা ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত কে এম ওবায়দুর রহমান বিএনপিতে টিকতে পারেননি। তাকে অন্যায় ভাবে এবং অপমানিত করে বিএনপি থেকে বিদায় করা হয়েছে। 

একই অবস্থা হয়েছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বেলাতেও। বদরুদ্দোজা চৌধুরী অবশ্য কে এম ওবায়দুর রহমান এর চেয়ে বেশি দিন বিএনপিতে টিকে ছিলেন এবং দেশের রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত হয়েছিলেন বিএনপির মনোনয়নে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর যখন তিনি নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছেন, তখন বিএনপির সেটি পছন্দ হয়নি। তাছাড়া রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তার ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ড দিয়ে বদরুদ্দোজা চৌধুরী ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। আর এটিই তার জন্য কাল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত অভিশংসনের মুখে তাকে পদত্যাগ করতে হয়।

কর্নেল অলি আহমদ বিএনপির আরেকজন জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। নেতাকর্মীদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন, সেটাই বলতেন। এ কারণে তার প্রতি কর্মীদের আস্থা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কর্নেল অলি আহমেদের মতো জনপ্রিয় নেতা যিনি জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত বিশ্বস্ত ছিলেন। তিনি বিএনপিতে টিকতে পারেননি। 

বিএনপিতে একই ভাবে টিকতে পারেননি অনেক জনপ্রিয় নেতা। বিএনপিতে যারা জনপ্রিয় হন, যারা দলের মূল নেতাদের মতো জনগণের কাছে পৌঁছে যান এবং জনগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করেন, তাদেরকেই ছেঁটে ফেলা হয়, কোণঠাসা করা হয় অথবা দলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। 

আব্দুল মান্নান ভূঁইয়াও বিএনপিতে এক সময় জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। কিন্তু সংস্কার প্রস্তাবের কারণে তাকে শেষ পর্যন্ত দল থেকে বিদায় করে দেওয়া হয় অত্যন্ত অপমানজনকভাবে। এখন বিএনপিতে যারা জনপ্রিয় নেতা হিসেবে আছেন তাদের অবস্থাও টলটলয়মান।

বিএনপিতে অন্যদের চেয়ে জনপ্রিয় হিসেবে পরিচিত মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন বিএনপিতে আছেন আবার নেই। মাঝখানে তাকে স্বাধীনতা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আর স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে তাকে ডাকা হয়নি। মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন স্পষ্টবাদী, নির্মোহ ভাবে তিনি কথা বলেন, কাজ করেন। এজন্যই তিনি বিএনপিতে অপাঙ্ক্তেয় হয়ে গেছেন। 

বিএনপিতে জনপ্রিয় নেতাদের মধ্যে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এখন ব্যাপক আলোচিত। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। আর এ কারণেই অনেকেই মনে করছেন যে, এবারের টার্গেট ব্যারিস্টার  মাহবুব উদ্দিন খোকন। 

বিএনপির যারা জনপ্রিয় হয় তারাই বিএনপিতে টিকতে পারেন না। বিএনপিতে কিছু নেতা আছেন যাদের সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নেই, জনপ্রিয়তাও নেই। যাদের নির্বাচনী এলাকা বলেও কিছু নেই। কিন্তু তারা কাগজে কলমে বিএনপির অনেক বড় নেতা হয়ে গেছেন। এই সমস্ত নেতাদের ভোটের চিন্তা মাথায় নেই। জনগণের কাছে দায়বদ্ধতার কোন হিসেব নিকেশও নেই। তারা বিএনপি এখন বিরোধী দলে আছে জন্যই তারা ক্ষমতাবান। শুধুমাত্র প্রতিদিন একটি করে বিবৃতি বা তথাকথিত সংবাদ সম্মেলন করে তারা আলোচিত নেতা। এ সমস্ত নেতাদের কর্মী নেই, সমর্থক নেই। নেই কোন নির্দিষ্ট জনপ্রিয়তার মাপ কাঠিও। কিন্তু তারাই হলো এখন বিএনপির বড় নেতা। বিএনপিতে যারা জনপ্রিয়, যারা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা ক্রমশ বিতাড়িত হচ্ছেন এবং সেই বিতাড়িতদের তাদের তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে। 

যাদেরকে বিগত ১৭ বছরে নানা অজুহাতে বিএনপি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাদের প্রত্যেকের গ্রহণযোগ্যতা ছিলো এখন যারা বিএনপির শীর্ষ নেতা আছেন তাদের চেয়ে বেশি। বিশেষ করে তৈমুর আলম খন্দকার, নজরুল ইসলাম মঞ্জু মতো নেতারা বিএনপিতে টিকতে পারেননি। প্রশ্ন উঠেছে জনপ্রিয় নেতাদের দ্বারা কি বিএনপির এখনকার নেতারা ঈষানিত। এ কারণেই কি তাদের অস্তিত্ব ভয় পান? এ কারণেই কি তাদেরকে বিএনপিতে রাখতে চান না?

বিএনপি   জনপ্রিয় নেতা   কর্নেল অলি আহমদ   মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনকে কঠোর বার্তা দিবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্টু ও নিরপেক্ষ করার জন্য কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবেন। এ ব্যপারে তিনি প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দিতে যাচ্ছেন বলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরই মন্ত্রী পরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে উপজেলা নির্বাচন বিষয়ে কথা বলবেন। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে যেন কোন অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা না হয়, প্রশাসনের বিরুদ্ধে যেন কোনরকম পক্ষপাতের অভিযোগ না আসে সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট অনুশাসন জারি করবেন বলেও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। উপজেলা নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত থাকে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে প্রার্থী না করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ বৈঠকে আশঙ্কা করা হয়েছে যে, উপজেলা নির্বাচনকে মন্ত্রী-এমপিরা প্রশাসনকে ব্যবহার করতে পারেন, তাদের পক্ষের প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য। আর এটি যেন না হয়, সেজন্যই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছু কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একদিকে তিনি যেমন দলের নেতা-কর্মীদের বলেছেন যে, দলের নেতা-কর্মীরা দলীয় পরিচয় ব্যবহার করতে পারবে না। দলীয় প্রতীক দেয়া হচ্ছে না উপজেলা নির্বাচনে। মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনদেরকে না দাড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এবং মন্ত্রী এমপিরা যেন নির্বাচনে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে কোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে সেজন্য সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও আওয়ামী লীগের কিছু মন্ত্রী-এমপি তাদের নিজস্ব ব্যক্তিদের নির্বাচনে প্রার্থী করানোর জন্য মাঠে নেমেছেন এবং নির্বাচনে তারা যেন জয়ী হয় এজন্য নানা রকমের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। এ বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতির নজরে এসেছে বলেই জানা গেছে। আর একারনেই তিনি প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পৃথক পৃথকভাবে কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিবেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী যেসমস্ত নির্দেশনা মাঠ প্রশাসনের জন্য দিতে যাচ্ছেন তার মধ্যে রয়েছে..

১) মাঠ প্রশাসন উপজেলা নির্বাচনে নির্মোহ এবং নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে

২) কোন প্রার্থীর পক্ষে মাঠ প্রশাসন কাজ করবে না এবং কোন চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না

৩) কোন মন্ত্রী-এমপিরা তাদের অন্যায় অনুরোধ করলে তারা শুনবে না এবং সে ব্যাপারে তারা শুনবে না। এজন্য ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে তারা তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করবেন

৪) আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন সুষ্টু করার জন্য কাজ করবেন এবং কোন ভাবেই যেন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা না হয়, সেজন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে।

৫) যাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠবে তাদের ব্যাপারে আইনগত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নির্দেশনায় দেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি চাচ্ছেন উপজেলা নির্বাচনকে একটি অবাধ সুষ্টু নিরপেক্ষ করতে। একটি ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি করাতে। যেন সাধারণ মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায় এবং উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট হয়।


উপজেলা নির্বাচন   প্রশাসন   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আগে বহিষ্কার, পরে সাধারণ ক্ষমার কৌশলে বিএনপি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে এখন টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করেছে সেই তালিকা তৈরি করে ৭৩ জনকে ইতিমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করবে বা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে যারা সহযোগিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর এই ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে ঢালাওভাবে নেতা-কর্মীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপিতে বহিষ্কার অবশ্য এটাই প্রথম নয় এর আগেও যে সমস্ত নেতা-কর্মীরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল বিশেষ করে পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাদেরকেও বহিষ্কার করা হয়েছিল। তবে তাদের বেশির ভাগকেই দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সাধারণ ক্ষমতার আওতায় এ সমস্ত স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ আবার বিএনপির জন্য কাজ করছেন।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, উপজেলা নির্বাচনে যাদেরকে বহিষ্কার করা হলো তাদের ভবিষ্যত কি? তারা কি শেষ পর্যন্ত বিএনপি থেকে বহিষ্কারই থাকবেন নাকি বিএনপি তাদেরকে আবার ফিরিয়ে আনবে?

বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এ ব্যাপারে বিএনপি কৌশলী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। উপজেলা নির্বাচনে যেসমস্ত নেতাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, যারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে তাদের নির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে অনেক কিছু।

বিএনপির একজন সদস্য বলেছেন, আমরা যেহেতু দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যাবে না। কাজেই যারা অংশগ্রহণ করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতেই হবে। তবে তার মধ্যে যদি ভবিষ্যতে এ সমস্ত নেতারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং শাস্তি প্রত্যাহারের বিষয়ে আবেদন করেন তাহলে সেটি দলের হাই কমান্ড বিবেচনা করতে পারে। এর আগেও বিএনপিতে ৩ শতাধিক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য। এর মধ্যে বেশীর ভাগই আবার বিএনপিতে ফিরে এসেছেন বলে বিএনপির এই স্থায়ী সদস্য জানান। তিনি বলেন, যারা ক্ষমা করেছেন এবং যারা ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ড করবে না বলে অঙ্গীকার করছে তাদেরকে দল ফিরিয়ে নিয়েছে। দলের শৃঙ্খলার স্বার্থে এটা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

উপজেলা নির্বাচনেও একইরকম ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে বলে বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের সূত্রে জানা গেছে। যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এবং যারা বিজয়ী হবেন তারা স্থানীয় পর্যায়ে আবার দলের জন্য কাজ করবেন বলে ধারণা করা হয়েছে। তবে সর্বক্ষেত্রেই এটি হবে না বলে মনে করেন অনেকেই। বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, কথায় কথায় বিএনপিতে বহিষ্কার এটি রাজনৈতিক দলের জন্য সুষ্টু চর্চা নয়। বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক দলে বহিষ্কারের নানারকম প্রক্রিয়া থাকে। একজন নেতাকে বা একজন কর্মীকে বহিষ্কার করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। তার দাবী এসব কিছুই এখন অনুসরণ করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র বহিষ্কারাদেশের একটি চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেন তারা নির্বাচন করলেন বা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কি ইত্যাদি জানিয়ে তাদেরকে কোন ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ’ও প্রদান করা হচ্ছে না।

এসমস্ত কারনেই বিএনপিতে এখন এক ধরনের অসন্তোষ এবং ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। প্রকাশ্যে বিএনপির নেতারা কিছু না বললেও তৃণমূলের নেতারা বলেছেন, বহিষ্কার আতঙ্ক বিএনপিকে আরো নিষ্ক্রিয় এবং হতাশাগ্রস্থ করবে।  


বহিষ্কার   বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর অবস্থানে যাবে না আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারবে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এনিয়ে একাধিকবার বক্তব্য রেখেছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন যে, যদি মন্ত্রী-এমপিরা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আগামী ৩০ শে এপ্রিল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা। এই বৈঠকে দলের সিদ্ধান্ত যারা লঙ্ঘন করেছে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ স্থানীয় নেতারা বলছেন, নানা বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ এখনই মন্ত্রী এমপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবে না। কোন মন্ত্রী-এমপিকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের জন্য বহিষ্কার করা হবে না বলেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা মনে করছেন। তারা বলছেন, বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতি মনে রাখবেন, ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ঢালাও বহিষ্কার বা একটি সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করলেই তাকে তাৎক্ষণিকভাবে দল থেকে বের করে দেওয়ার নীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ এক্ষেত্রে সংযত ও গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখার নীতি অনুসরণ করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ৩০ এপ্রিলের বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকরা তাদের বিভাগ অনুযায়ী প্রতিবেদন দিবেন। কোন কোন বিভাগে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এবং কোন প্রেক্ষাপটে তারা প্রার্থী হয়েছেন সে বিষয়টিও সাংগঠনিক সম্পাদকদের রিপোর্টে উপস্থাপিত হবে। এরপর যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ‘কারন দর্শানো নোটিশ’ জারি করা হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

এরপর ‘কারন দর্শানোর নোটিশ’এর জবাবের প্রেক্ষাপটে তাদেরকে সতর্ক করা বা স্বজনদেরকে পদ-পদবী থেকে সরিয়ে দেয়ার মতো পদক্ষেপগুলো নেয়া হবে। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নেন না। তিনি সিদ্ধান্ত নেন ধীর স্থীর ভাবে। আর একারণেই দীর্ঘ মেয়াদী কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পরবেন এমপি-মন্ত্রীরা।

যেসমস্ত এমপি-মন্ত্রীরা দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন পরবর্তীতে দলীয় কমিটিগুলোতে তাদের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যাবে। অনেকে কমিটি থেকে বাদ পড়বেন। যেসমস্ত মন্ত্রীরা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, ভবিষ্যতে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির আস্থাভাজনের তালিকা থেকে বাদ যাবেন। অনেক এমপি হয়তো পরবর্তী নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন।

তবে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তারা শেখ হাসিনার সু-নজর থেকে সরে গেলেন। আওয়ামী লীগে এদের ভবিষ্যৎ ধূসর এবং কুয়াসাচ্ছন্ন হয়ে গেল। আওয়ামী লীগ সভাপতি বহিষ্কার করেন খুব কম। তবে দলের রেখে তাদের এমনভাবে গুরুত্বহীন করে ফেলা হয় যে শাস্তি বহিষ্কারের চেয়ে অনেক বেশী। আর এই কৌশলটি অধিকতর কার্যকর বলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মনে করে। তাই ৩০ এপ্রিল বৈঠকে আওয়ামী লীগ দলের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে হুলুস্থুল কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।


মন্ত্রী-এমপি   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আরও ৩ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির সাংগঠনিক শৃঙ্খলা অটুট রাখতে শক্ত অবস্থান নিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দল ও অঙ্গসংগঠন থেকে নতুন করে আরও তিনজনকে শুক্রবার বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলার হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করছেন। শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোস্তফা (সোনাহার)। তিনি ২নং পৌর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

অপর একজন হলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মংসুইউ চৌধুরী। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।


বিএনপি   বহিষ্কার   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ক্ষমতায় যেতে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৮:৪৪ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?

তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন

মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।






ওবায়দুল কাদের   ক্ষমতায়   বিদেশি   দাসত্ব   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন