বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা লম্বা সময় ধরে দুই বন্ধুর মতো ছিল জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি। তবে ২০১৮ এর একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগ থেকে টানাপোড়েন শুরু হয় এই দুই দলের মধ্যে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকলেও দুই দল নিজস্ব আঙ্গিকেই কর্মসূচি পালন করেছে। কিন্তু দুই দলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে সম্পর্কোন্নয়নের ইঙ্গিত মিলছে।
বিশেষ করে পাঁচ বছর পর গত বৃহস্পতিবার বিএনপির উদ্যোগে রাজনীতিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে জামায়াতের আমিরসহ চারজন কেন্দ্রীয় নেতার অংশগ্রহণ বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে দিয়েছে। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও একমঞ্চে পাশাপাশি বসা রাজনীতিতে নতুন বার্তা বা ইঙ্গিত বলে মনে করছেন অনেকে। এদিকে রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনের সম্মানে আজ শনিবার ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে জামায়াতে ইসলামী। এতে বিএনপির শীর্ষ নেতারা অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কোন্নয়ন হয়েছে, যা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই দেখাশোনা করছেন। তবে এ নিয়ে দল দুটির কেউ কিছু বলতে চাননি। দলটির নীতিনির্ধারকদের মতে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যারাই ৭ জানুয়ারির একদলীয় নির্বাচন বর্জন করেছে, তাদের সবাইকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে জনগণের দাবি আদায়ে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা যায়। বিএনপির এই জাতীয় ঐক্যের ভাবনার বিষয়ে জামায়াতের সঙ্গে কোনো আলোচনা হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নে তারা মুখ খুলছেন না। জামায়াতের এক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বিএনপির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বেড়েছে। আশা করা হচ্ছে, এটি আরও ভালোভাবে এগোবে।
বিএনপি সূত্রের দাবি, রাজনৈতিক কৌশলের কারণেই তারা জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। দলের হাইকমান্ডের পর্যবেক্ষণ, বিগত দুটি (দশম ও একাদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপি ও জামায়াতের জোটবদ্ধ আন্দোলনে কাঙ্ক্ষিত সফলতা আসেনি। বরং ক্ষমতাসীন দলের নেতিবাচক প্রচারণায় ‘বিএনপি-জামায়াত’ সম্পর্ক নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়। যে কারণে জামায়াতকে দূরে রেখে সমমনাদের নিয়ে আন্দোলন করেছে বিএনপি। ভোটের হিসাব-নিকাশে জামায়াত ইস্যুতে কৌশলী ও সতর্ক দলটি।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।’ দলের মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কের স্পষ্ট দূরত্ব তৈরি হয় ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত জামায়াতের একাধিক শীর্ষ নেতার ফাঁসি এবং কারাবন্দি অবস্থায় মৃত্যু হলেও তখন কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি বিএনপি। মূলত ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর থেকে দল দুটির মধ্যে সম্পর্ক ফিকে হতে শুরু করে। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট থেকেই সরে আসে জামায়াত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট’ নামে নতুন জোট গঠন হলে, সেখানে ছিল না জামায়াত। এমনকি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০ দলীয় জোট ভেঙে দিয়ে সমমনা মিত্র দলগুলো নিয়ে যুগপৎ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
কিন্তু যুগপৎ আন্দোলন ও এর কর্মসূচি নিয়েও জামায়াতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা বিএনপি না করায় ক্ষুব্ধ হয় জামায়াত। তবু যুগপৎ আন্দোলনের শুরুর দিকের দুটি কর্মসূচিতে জামায়াতের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর কোনো কর্মসূচিতে অংশ না নিয়ে নিজস্বভাবে কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। আন্দোলন চলাকালেই জামায়াতের আমিরকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিএনপি বিবৃতি না দেওয়ায় জামায়াত আন্দোলন থেকে সরে যায়। সেই থেকে দল দুটি একই অবস্থানে রয়েছে। যদিও ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে বিএনপি দলীয়ভাবে শোক জানায়। কিন্তু সেই শোকবার্তায় সাঈদীর রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করেনি দলটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের জানুয়ারিতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়তে গিয়ে বিএনপি-জামায়াতসহ চারদলীয় জোট গঠিত হয়, যা পরে ২০ দলীয় জোটে রূপান্তরিত হয়। জামায়াত নেতারা জানান, ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া কখনো সংবাদ সম্মেলন করলে জামায়াতের আমির বা শীর্ষ কোনো নেতা পাশে বসতেন। এমনকি তিনি জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগও রক্ষা করতেন। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নিলে, সে বিষয়ে অটল থাকতেন।
একদফা দাবিতে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন সামনে রেখে ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর ২০ দলীয় জোট ভেঙে দেওয়া হয়। অবশ্য ওই বছরের ২২ ডিসেম্বর বিলুপ্ত জোটের ১২টি দলের সমন্বয়ে ‘১২ দলীয় জোট’ এবং ২৮ ডিসেম্বর আরও ১১টি দল মিলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট গঠিত হয়। তাতেও জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। বরং গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া যুগপৎ আন্দোলনে জামায়াতও পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে।
জামায়াতের কয়েকজন নেতা জানান, বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি ‘ক্ষোভ’ এবং ‘অভিমান’ থেকেই তাদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। কেননা সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি অন্য সব দলের সঙ্গে আলোচনা-পরামর্শ করলেও জামায়াতের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। এর পরও অনেকটা আগ বাড়িয়ে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করেছে। ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩০ ডিসেম্বর যুগপতের গণমিছিল করতে গিয়ে মালিবাগে জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও আহত হন। এ নিয়ে বিএনপির কোনো নেতা বক্তব্য বা বিবৃতি দেননি। এসব বিষয়ে জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ে ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভের জন্ম দেয়। কার্যত এর পরই জামায়াত সিদ্ধান্ত নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচিগুলোতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকেছে। তবে নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে বিএনপির আগে-পরে মাঠে তৎপর ছিল জামায়াত।
আজ ঢাকায় জামায়াতের ইফতার মাহফিল: আজ রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনকে নিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে জামায়াতে ইসলামী। এরই মধ্যে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দলটি। পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন কূটনীতিকসহ পেশাজীবী ও বিশিষ্টজন এতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। জামায়াতের ইফতারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ কয়েকজন নেতা অংশগ্রহণ করবেন বলেও জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনককে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামালের কাছে ব্যারিস্টার খোকন ক্ষমা চাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর রহমান।
২০ এপ্রিল দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির পদ নেয়ায় ব্যারিস্টার খোকনকে বহিষ্কার করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি।
উল্লেখ্য, ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। এরপর ৯ মার্চ রাত দেড়টায় নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক আবুল খায়ের নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে সভাপতি পদে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন নির্বাচিত হন। অন্যদিকে সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থক বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ (সাদা প্যানেল) থেকে নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।
নির্বাচনে সম্পাদক, দুই সহ-সভাপতি, দুই সহ-সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ও সদস্য পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ১০ জন বিজয়ী হন। অন্যদিকে সভাপতিসহ ও তিনটি সদস্যসহ চার পদে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য (নীল) প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হন।
ফলাফল ঘোষণার পর অ্যাডভোকেট এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে সভাপতির দায়িত্ব না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ২৭ মার্চ ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
কিন্তু ফোরামের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ৪ এপ্রিল খোকন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে এই প্যানেল থেকে জয়ী নির্বাচিত অন্য তিন সদস্য দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। পরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তারেক জিয়া ব্যারিস্টার খোকন অব্যাহতি প্রত্যাহার
মন্তব্য করুন
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন থামছে না। আচরণবিধি অনুযায়ী মন্ত্রী-এমপিরা প্রচারসহ কোনো ধরনের নির্বাচনি কাজে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে অনেক মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আসছে নির্বাচন কমিশনে। মন্ত্রী-এমপিরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনি মাঠ রয়েছেন। নির্বাচনি প্রচারে অনেকেই সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। প্রার্থীদের অভিযোগ-নির্বাচন কমিশনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয় না। কমিশন তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।
নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি, খুনোখুনি, কেন্দ্র দখলের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা। এ নির্বাচনের প্রচারের শুরু থেকেই বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে। প্রথম ধাপের নির্বাচন ৮ মে। এ ধাপে ভোট হবে ১৪৮ উপজেলায়। আজ দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২১ মে এ ধাপে ১৫৯ উপজেলায় ভোট। তৃতীয় ধাপে ২৯ মে ১১২ উপজেলায় ভোট। সর্বশেষ চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট হবে ৫ জুন।
অনেকের অভিযোগ, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নানা ধরনের চাপ আসছে। আজ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিনা ভোটে নির্বাচিত হতে অনেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য হুমকিধমকি ও চাপ দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে এ শঙ্কার কথা জানান তাঁরা। নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠ প্রশাসন ও পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা ইসিকে বলেছেন, দলীয় কোন্দল ও মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার ঠেকানোই এ নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ হবে। এ ছাড়া নির্বাচনে কোথাও কোথাও সংঘাতের আশঙ্কার কথাও বলছেন তাঁরা।
তবে এ বিষয়ে অন্যতম নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ভোটারদের বাধাগ্রস্ত করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের জেল হবে। এবারের নির্বাচন প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ হবে।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নির্বাচনে বিরোধী দল নেই। বিকল্প বেছে নেওয়ার সুযোগ নেই। আসলে এটা নির্বাচন নির্বাচন খেলা। তবে নির্বাচনে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো জনগণের অনুপস্থিতি। নির্বাচন হচ্ছে প্রভাবমুক্ত হয়ে বেছে নেওয়া। কিন্তু এ নির্বাচনে প্রভাবমুক্ত হয়ে বেছে নেওয়ার সুযোগ নেই। আসলে এটা নির্বাচন নয়, মূলত প্রতিযোগিতা।’ এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) ইমামুল হক সাগর বলেন, ‘জাতীয় কিংবা স্থানীয় সব নির্বাচনেই পুলিশের বিশেষ কিছু দিকনির্দেশনা থাকে। এবারও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয় এবং স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য যা যা প্রয়োজন সবই করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো এবং অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েনেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর যারাই নির্বাচন ঘিরে অপরাধমূলক কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
শাজাহান খানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ : মাদারীপুরে উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বিরুদ্ধে। গতকাল দুপুরে ডিসির ব্রিজ এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান তাঁর নির্বাচনি অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। তিনি মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। শফিক খান অভিযোগ করেন, উপজেলা নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছেলে আসিবুর রহমান খান। শাজাহান খান তাঁর ছেলেকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ওপর খবরদারি করছেন। কালো টাকা বিলির মাধ্যমে ভোট কেনার চেষ্টা, নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ শফিক খানের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।
শফিক খান বলেন, নির্বাচন কমিশনে ১৫টি অভিযোগ দিলেও সে বিষয়ে কোনো প্রকার পদক্ষেপ নেয়নি কমিশন। তিনি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যকে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা এবং ইলেকটোরাল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আবেদন জানান নির্বাচন কমিশনের কাছে।
তবে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আসিবুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা শাজাহান খান এলাকায় থাকলেও তিনি নির্বাচনি কাজে অংশগ্রহন করছেন না।’ শাজাহান খান নিজেও তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনোভাবেই নির্বাচনি কাজে অংশগ্রহণ করিনি। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার মেয়র আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রিটার্নিং অফিসারের কাছে : লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকারি সুবিধা ব্যবহার করে মেয়র আবদুল মালেক একজন প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন।
সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনি প্রচারের অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী ও দলীয় প্রার্থী পরিচয় দেওয়ায় তাঁকে কারণ দর্শনোর নোটিস দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। ২৪ ঘণ্টার মধ্য তাঁকে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার ও সিনিয়ার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নওয়াবুল ইসলাম বলেন, ‘সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী দলীয় প্রার্থী পরিচয় দিয়ে প্রচার করতে পারেন না। তিনি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না। এ নির্বাচনি আচরণবিধি অঙ্ঘনের অভিযোগে কারণ দর্শানো চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।’ এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সিরাজগঞ্জে সহিংসতা : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি ও কাজিপুর উপজেলায় ৮ মে ভোট। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের মধ্যে লড়াই হচ্ছে। নির্বাচন সামনে রেখে বাগ্যুদ্ধ, হামলা এবং সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে নিজ দলের কর্মীদের রক্ত ঝরানো শুরু হয়েছে। রবিবার রাতে এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান বদি ফকিরের কর্মীরা অন্য প্রার্থী বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলামের দৌলতপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সেকান্দার মার্কেটে নির্বাচনি প্রচার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকিধমকি দেওয়া হচ্ছে।
ভোটারদের বাধাগ্রস্ত করলে সাত বছরের জেল : নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ভোটারদের বাধাগ্রস্ত করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের জেল হবে। এবারের নির্বাচন প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ হবে। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন নির্বিঘ্নে। ভোটে কোনো প্রভাব বিস্তার করতে দেওয়া হবে না। গতকাল চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনি আচরণবিধি ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাচনে এবারই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকছে : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্ত্রধারী সদস্য থাকবে। কেন্দ্রগুলোয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্যসহ ছয়জন অস্ত্রধারী সদস্য থাকবেন। এর আগে কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এত বেশি সদস্য ভোট কেন্দ্রে ছিলেন না। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। সভা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আমাদের ভোট কেন্দ্রের জন্য আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে পরিমাণ সদস্য ছিল, সেটা যথেষ্ট পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিটি স্বাভাবিক কেন্দ্রে অস্ত্রসহ তিন পুলিশ, অস্ত্রসহ আনসারের পিসি ও এপিসি থাকবেন তিনজন। অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্ত্রধারী ছয়জন সদস্য থাকবেন। প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন ১০ জন আনসার সদস্য থাকবেন ও ছয়টির বেশি বুথ আছে এমন জায়গায় একজন করে অতিরিক্ত আনসার সদস্য থাকবেন। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোয় অস্ত্রসহ চার পুলিশ সদস্য ও আনসার থাকবেন তিনজন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোট ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবেন। উপজেলা নির্বাচনে এর আগে কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এত বেশি সদস্য ভোট কেন্দ্রে ছিলেন না।
সিনিয়র সচিব বলেন, যেহেতু ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। এটা পৌঁছানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে আলাপ করে তারা যেটা বলবেন, সেভাবে তারা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায়ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিন ও পরের দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে এবারই এত বেশি অস্ত্রসহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য থাকছেন। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। কাজেই ভোটও বেশি পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় স্থানীয় নির্বাচন সব সময় প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়।
স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, গড়ে পাঁচটি সেন্টারের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে এ মোবাইল ফোর্স গঠন করা হবে। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোয় বিজিবির বদলে কোস্টগার্ড বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম সেন্টারে হেলিকপ্টারে পোলিং কর্মকর্তা ও ভোটের উপকরণ পৌঁছানো হবে। উপজেলা নির্বাচন কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার খবর নেই বলে জানিয়ে সচিব বলেন, আমাদের কাছে এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই। তার পরও প্রতিটি বাহিনী সতর্ক থাকবে। সব বাহিনীর প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটা সমন্বয় সেল হবে। নির্বাচনসংক্রান্ত অভিযোগ ৯৯৯-এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন
মন্তব্য করুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনককে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামালের কাছে ব্যারিস্টার খোকন ক্ষমা চাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন থামছে না। আচরণবিধি অনুযায়ী মন্ত্রী-এমপিরা প্রচারসহ কোনো ধরনের নির্বাচনি কাজে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে অনেক মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আসছে নির্বাচন কমিশনে। মন্ত্রী-এমপিরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনি মাঠ রয়েছেন। নির্বাচনি প্রচারে অনেকেই সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। প্রার্থীদের অভিযোগ-নির্বাচন কমিশনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয় না। কমিশন তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।