বিএনপিতে এখন নেতৃত্বের টানাপোড়েন চলছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক অভিপ্রায় জানিয়েছেন। এ নিয়ে দলের
ভিতর চলছে নানা রকম অস্বস্তি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শেষ পর্যন্ত সরে গেলে দলের
মহাসচিব হিসেবে কে দায়িত্ব নেবেন, তা নিয়ে দলের ভিতর চলছে এক ধরনের অনিশ্চয়তা এবং হতাশা।
কারণ, এই মুহূর্তে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিকল্প নেই।
দলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একদিকে
যেমন তারেক জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়ার অনুগত এবং আস্থাভাজন, অন্যদিকে তিনি সারা দেশের
বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে যোগসূত্র রক্ষা করে চলেছেন। তিনি ছাড়া এই মুহূর্তে অন্য কেউ
মহাসচিব বা ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হলে দলের ভিতর এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হবে বলেও অনেকে
মনে করছেন।
তবে শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরাই নয়, কূটনৈতিকরাও মনে করছেন, এই
সময় বিএনপিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিকল্প নেই। তারা মনে করছেন, মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীরকে শুধু মহাসচিব নয়, তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।
কারণ, তাকে ঘিরে এখন বিএনপির রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে এবং তিনি একদিকে যেমন দায়িত্বশীল
আচরণ করেন, অন্যদিকে কূটনৈতিকদের মনের ভাষা বোঝেন এবং তাদের কথাবার্তা গুলোর সঠিক উত্তর
দিতে পারেন। যদিও কূটনৈতিক অঙ্গনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চেয়ে বেশি পদচারণা করেন
ড. মঈন খান। কিন্তু মঈন খানের চেয়ে এই মুহূর্তে কূটনৈতিকদের পছন্দ মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর।
বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, পশ্চিমা কয়েকটি দেশ এখন বিএনপিতে সংকট
নিরসনের জন্য একটি ফর্মুলা দিয়েছেন। তাদের মতে, এই মুহূর্তে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক
জিয়াকে দলের মূল নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত। তার বদলে এমন একজন ব্যক্তিকে দায়িত্ব
দেওয়া উচিত যিনি দলের সার্বক্ষণিক কাজ করেন এবং সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। আর এক্ষেত্রে
তাদের প্রথম পছন্দ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কূটনৈতিকরা ইতোমধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীরকে বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কূটনৈতিকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, যদি এমন একজন নেতা বিএনপির
দায়িত্ব নেন যার সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যায় এবং যিনি সংবেদনশীল ও কূটনৈতিকদের চাওয়া
চাহিদাগুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা আছে তাহলে পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন হওয়া সম্ভব।
এর ফলে কূটনৈতিকরা কি চাচ্ছেন না চাচ্ছেন সেই বার্তাগুলো সহজেই বিএনপির নীতি নির্ধারকদের
কাছে সঞ্চালিত করা যায়।
কিন্তু এখন বিষয়টি অন্যরকম হচ্ছে। তাদের মতে, বিএনপির নেতারা যখন
কূটনৈতিকদের সঙ্গে বৈঠকে আসছেন তখন তারা কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারছেন না। সব সিদ্ধান্ত
পরবর্তীতে দেওয়ার জন্য সময় নিচ্ছেন। এটির ফলে বিএনপির প্রতি কূটনৈতিকদের আস্থা এবং
বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কূটনৈতিকরা মনে করেন , বিএনপিতে বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছেন যারা যোগ্য
এবং দায়িত্বশীল, দীর্ঘদিন রাজনীতি করার অভিজ্ঞ। তবে যেহেতু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
দীর্ঘদিন ধরে দলের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন এবং অঘোষিতভাবে তিনিই বিএনপির নেতা
সে কারণেই এই মুহূর্তে তাকে ভারপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা উচিত।
তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, তিনি ডিসেম্বর
পর্যন্ত তারেক জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়াকে সময় দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তার যে শারীরিক
অবস্থা এবং পারিবারিক বাস্তবতা, তাতে ডিসেম্বরের পরে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব
নয়। এর মধ্যে তিনি বিএনপির নতুন একজন মহাসচিব খুঁজে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন।
তবে কূটনৈতিক মহল বলছে যে, শেষ পর্যন্ত যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর মহাসচিব না থাকেন, এই পদে যাকেই নেওয়া হোক না কেন বিএনপি নতুন করে সংকটে পড়বে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া মাহমুদুর রহমান মান্না
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।