হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রভাবশালী পাঁচ নেতা পরাজিত হয়েছেন। তারা ধরাশায়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফুর কাছে।
অতীতে আওয়ামী লীগের এমন ভরাডুবি আর কখনো দেখা যায় নি। এ নিয়ে উপজেলাব্যাপী চলছে নানা চুলচেরা বিশ্লেষণ। এমন ভরাডুবির পেছনে কারণ হিসাবে কেউ মনে করছেন দলীয় কোন্দল, আবার কেউ বলছেন আঞ্চলিকতা এবং দলীয় ভোট ভাগাভাগির কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।
আর আওয়ামী লীগ শিবিরের বাইরে বিএনপির বহিষ্কৃত সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফুই ছিলেন একমাত্র প্রার্থী। তাই তার ভোটে ভাগের প্রভাব পড়েনি। ফলে অনেকটা সহজেই জয় পেয়ে যান তিনি। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা মনে করেন যদি তাদের দলের একক প্রার্থী হতেন তাহলে বিএনপি প্রার্থী তাদের সঙ্গে পাত্তাই পেতেন না।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন আহমদ বলেন, নবীগঞ্জে দলের একাধিক প্রার্থী থাকার কারণেই মূলত আমাদের বিজয় হয়নি। কারণ আমাদের ভোট কয়েক ভাগে ভাগ হয়েছে। তবে একক বা দুজন প্রার্থীও যদি নির্বাচনে অংশ নিতেন তাহলে আমাদের বিজয় শতভাগ নিশ্চিত ছিল।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী বিএনপির মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু চিংড়ি মাছ প্রতীকে ২৫ হাজার ১৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৭৫১ ভোট, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৫৬৩ ভোট, জেলা আওয়ামী লীগের অপর সাংগঠনিক সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৪২ ভোট, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৪৭ ভোট ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৩৭৬ ভোট।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
ঈদ তারেক জিয়া পদ বাণিজ্য লন্ডন ছাত্রদল
মন্তব্য করুন
সেন্টমার্টিন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপিতে যে কমিটি নিয়ে নাটক চলছে, সেই নাটকের পেছনে রয়েছে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার অর্থলোভ। টাকার জন্যই তিনি কমিটিগুলো ভাঙছেন, নতুন কমিটি করছেন। বিএনপির বিভিন্ন পদ এখন রীতিমতো নিলামে উঠেছে। যদিও বলা হচ্ছে যে, আন্দোলনের ব্যর্থতার জন্যই যারা নিষ্ক্রিয় তাদের বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে কিন্তু বাস্তবতা হলো এই যে, আন্দোলনের ব্যর্থতার কথাই যদি বলা হবে, তাহলে এতদিন পরে কেন কমিটিগুলো বাতিল করা হচ্ছে। সেটি তো ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পরপরই করার কথা ছিল।
ঈদের আগের তারেক জিয়া বিএনপিকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছেন। একদিকে যেমন ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করা হয়েছে তেমনি বাতিল করা হয়েছে ছাত্রদলের কমিটি। কেন্দ্রীয় কমিটিতে নতুন মুখ ঢোকানো হয়েছে। আবার নতুন করে ছাত্রদলের ২৬০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো বিএনপিতে চলছে এখন ভূমিকম্প। আর এই ভূমিকম্প নিজেই সৃষ্টি করেছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া।